ঘাটাল, 26 মার্চ : "তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার একটা অসুস্থ সরকার, প্রতিবাদ করলেই মাওবাদী বলবে। আমাকেও হয়তো কোনওদিন মাওবাদী বলে দিতে পারে।" ঘাটালের জনসভা থেকে তৃণমূলকে এই ভাষাতে আক্রমণ করলেন ভারতী ঘোষ। BJP-র টিকিটে তাঁকে দাঁড় করানো নিয়ে জল্পনা ছিলই। ঘোষণা হওয়ার পরই প্রচার শুরু করে দেন তিনি। একসময় যে জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন সেই জেলারই অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে লড়ছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেবের বিরুদ্ধে। দেবকেও আক্রমণ করেন ভারতী।
আজ তিনি বলেন, "এই সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই সে মাওবাদী।" বলেন, "উন্নয়নের নামে সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, দু'টাকা কিলো চাল, একশোদিনের কাজসহ প্রত্যেকটা স্কিম এখন টাকা মারার জায়গা হয়ে গেছে। জনসাধারণের টাকা মেরে মেরে এই পার্টি বড়লোক হয়েছে। উন্নয়ন মানে ভিক্ষা নয়, উন্নয়ন মানে কয়েকজন তৃণমূল নেতার উন্নয়ন।"
ঘাটালের দ্বিতীয়বারের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা দেবকেও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, "ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে যে কোনও জায়গায় জিজ্ঞেস করুন, দেব কোনওদিন এসেছিল কিনা। পাঁচ বছরে পাঁচবারও এলাকায় আসেননি। কিছুই করেননি এখানে। জনপ্রতিনিধি এভাবে হয় না। জনপ্রতিনিধির কাজ হল মানুষের পাশে থাকা। মানুষের কথা ভাবা, মানুষের সমস্যা তুলে ধরে প্রকল্প নিয়ে আসা এবং সেই প্রকল্পের দ্বারা মানুষের উন্নয়ন করা গ্রামে বা শহরে। এখন সময় এসে গেছে। যুদ্ধের দামামা বেজে গেছে। এটা ধর্ম যুদ্ধ। তাই আমি আমার চাকরি জীবন ছেড়ে মাথা উঁচু করে বেরিয়ে এসেছি। যেদিন আমি চাকরি ছেড়েছি সেদিন কোনও কেস ছিল না আমার বিরুদ্ধে। তারপর দেখলাম চলে গেলে বিশাল বিপদ। একে তো আটকে রাখতে হবে। তারপরই CID দিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়।" অভিষেক ব্যানার্জিকেও কটাক্ষ করে আজ ভারতী ঘোষ বলেন, "আপনার পায়ে হাওয়াই চটি আপনার ভাই ভাইপোরা কোটিপতি।"
আজ দুপুরে ঘাটালের বিদ্যাসাগর স্কুল মাঠে, সন্ধ্যায় দাসপুরের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন তিনি। এছাড়াও এলাকায় এক জনসভায় তাঁর সমর্থনে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মা।