ETV Bharat / state

তৃণমূল হয়তো আমাকেও মাওবাদী তকমা দেবে : ভারতী ঘোষ

তৃণমূল আমাকে মাওবাদী তকমা দিতে পারে, কারণ এই সরকারের সামনে মুখ খুললেই তো মাওবাদী বলে : ভারতী ঘোষ

author img

By

Published : Mar 26, 2019, 11:22 PM IST

Updated : Mar 26, 2019, 11:39 PM IST

ফাইল ফোটো

ঘাটাল, 26 মার্চ : "তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার একটা অসুস্থ সরকার, প্রতিবাদ করলেই মাওবাদী বলবে। আমাকেও হয়তো কোনওদিন মাওবাদী বলে দিতে পারে।" ঘাটালের জনসভা থেকে তৃণমূলকে এই ভাষাতে আক্রমণ করলেন ভারতী ঘোষ। BJP-র টিকিটে তাঁকে দাঁড় করানো নিয়ে জল্পনা ছিলই। ঘোষণা হওয়ার পরই প্রচার শুরু করে দেন তিনি। একসময় যে জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন সেই জেলারই অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে লড়ছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেবের বিরুদ্ধে। দেবকেও আক্রমণ করেন ভারতী।

আজ তিনি বলেন, "এই সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই সে মাওবাদী।" বলেন, "উন্নয়নের নামে সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, দু'টাকা কিলো চাল, একশোদিনের কাজসহ প্রত্যেকটা স্কিম এখন টাকা মারার জায়গা হয়ে গেছে। জনসাধারণের টাকা মেরে মেরে এই পার্টি বড়লোক হয়েছে। উন্নয়ন মানে ভিক্ষা নয়, উন্নয়ন মানে কয়েকজন তৃণমূল নেতার উন্নয়ন।"

শুনুন ভারতী ঘোষের বক্তব্য

ঘাটালের দ্বিতীয়বারের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা দেবকেও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, "ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে যে কোনও জায়গায় জিজ্ঞেস করুন, দেব কোনওদিন এসেছিল কিনা। পাঁচ বছরে পাঁচবারও এলাকায় আসেননি। কিছুই করেননি এখানে। জনপ্রতিনিধি এভাবে হয় না। জনপ্রতিনিধির কাজ হল মানুষের পাশে থাকা। মানুষের কথা ভাবা, মানুষের সমস্যা তুলে ধরে প্রকল্প নিয়ে আসা এবং সেই প্রকল্পের দ্বারা মানুষের উন্নয়ন করা গ্রামে বা শহরে। এখন সময় এসে গেছে। যুদ্ধের দামামা বেজে গেছে। এটা ধর্ম যুদ্ধ। তাই আমি আমার চাকরি জীবন ছেড়ে মাথা উঁচু করে বেরিয়ে এসেছি। যেদিন আমি চাকরি ছেড়েছি সেদিন কোনও কেস ছিল না আমার বিরুদ্ধে। তারপর দেখলাম চলে গেলে বিশাল বিপদ। একে তো আটকে রাখতে হবে। তারপরই CID দিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়।" অভিষেক ব্যানার্জিকেও কটাক্ষ করে আজ ভারতী ঘোষ বলেন, "আপনার পায়ে হাওয়াই চটি আপনার ভাই ভাইপোরা কোটিপতি।"

আজ দুপুরে ঘাটালের বিদ্যাসাগর স্কুল মাঠে, সন্ধ্যায় দাসপুরের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন তিনি। এছাড়াও এলাকায় এক জনসভায় তাঁর সমর্থনে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মা।

ঘাটাল, 26 মার্চ : "তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার একটা অসুস্থ সরকার, প্রতিবাদ করলেই মাওবাদী বলবে। আমাকেও হয়তো কোনওদিন মাওবাদী বলে দিতে পারে।" ঘাটালের জনসভা থেকে তৃণমূলকে এই ভাষাতে আক্রমণ করলেন ভারতী ঘোষ। BJP-র টিকিটে তাঁকে দাঁড় করানো নিয়ে জল্পনা ছিলই। ঘোষণা হওয়ার পরই প্রচার শুরু করে দেন তিনি। একসময় যে জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন সেই জেলারই অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে লড়ছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেবের বিরুদ্ধে। দেবকেও আক্রমণ করেন ভারতী।

আজ তিনি বলেন, "এই সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই সে মাওবাদী।" বলেন, "উন্নয়নের নামে সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, দু'টাকা কিলো চাল, একশোদিনের কাজসহ প্রত্যেকটা স্কিম এখন টাকা মারার জায়গা হয়ে গেছে। জনসাধারণের টাকা মেরে মেরে এই পার্টি বড়লোক হয়েছে। উন্নয়ন মানে ভিক্ষা নয়, উন্নয়ন মানে কয়েকজন তৃণমূল নেতার উন্নয়ন।"

শুনুন ভারতী ঘোষের বক্তব্য

ঘাটালের দ্বিতীয়বারের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা দেবকেও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, "ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে যে কোনও জায়গায় জিজ্ঞেস করুন, দেব কোনওদিন এসেছিল কিনা। পাঁচ বছরে পাঁচবারও এলাকায় আসেননি। কিছুই করেননি এখানে। জনপ্রতিনিধি এভাবে হয় না। জনপ্রতিনিধির কাজ হল মানুষের পাশে থাকা। মানুষের কথা ভাবা, মানুষের সমস্যা তুলে ধরে প্রকল্প নিয়ে আসা এবং সেই প্রকল্পের দ্বারা মানুষের উন্নয়ন করা গ্রামে বা শহরে। এখন সময় এসে গেছে। যুদ্ধের দামামা বেজে গেছে। এটা ধর্ম যুদ্ধ। তাই আমি আমার চাকরি জীবন ছেড়ে মাথা উঁচু করে বেরিয়ে এসেছি। যেদিন আমি চাকরি ছেড়েছি সেদিন কোনও কেস ছিল না আমার বিরুদ্ধে। তারপর দেখলাম চলে গেলে বিশাল বিপদ। একে তো আটকে রাখতে হবে। তারপরই CID দিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়।" অভিষেক ব্যানার্জিকেও কটাক্ষ করে আজ ভারতী ঘোষ বলেন, "আপনার পায়ে হাওয়াই চটি আপনার ভাই ভাইপোরা কোটিপতি।"

আজ দুপুরে ঘাটালের বিদ্যাসাগর স্কুল মাঠে, সন্ধ্যায় দাসপুরের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন তিনি। এছাড়াও এলাকায় এক জনসভায় তাঁর সমর্থনে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মা।

Intro:ট্রেড ফেয়ার 2018 এসে শিল্প নষ্টের কারণ বামদের আন্দোলন কেই দায়ী করলেন পরিবহন মন্ত্রী ।


Body:আগে একটা বাৎসরিক বনধ হতো আর সেই বনধের দিনে তাস খেলে , হইহুল্লোড় করে , পিকনিক করে একটা কর্মদিবস নষ্ট করে দিত তৎকালীন বাম সরকার সহ তাবড় তাবড় নেতারা । আমরা এসে শিল্পের পরিবেশ তৈরি করেছি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বনধ কড়া হাতে দমন করে আজ শিল্পকে একটা নতুন দিশা দেখিয়েছেন এরকমই মন্তব্য করলেন পরিবহন মন্ত্রী তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী । এদিন তিনি মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গনের এসেছিলেন ন্যাশনাল লেভেল ভেন্ডার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম কাম এম এস এম ই ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেয়ার 2018 উদ্বোধন অনুষ্ঠানে । এই মেলার আয়োজক কনফেডারেশন অফ পূর্ব এন্ড পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি , এই মেলা চলবে আগামী কয়েকদিন । এ বছরে মেলা দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করল, মূলত কৃষি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কে উৎসাহ দিতেই এ মেলার আয়োজন । এখানে 25 টি প্যাভেলিয়ন সহ মোট 65 টি স্টল রয়েছে , এই স্টলে উৎসাহী যুবক-যুবতীরা যারা পড়াশোনা করে কোন চাকরি পায়নি তারা নিজেদের কর্মদক্ষতা ও কৌশল কে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন হস্তশিল্প ও কর্ম শিল্পের নিপুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে তাদের ছোট ছোট ব্যবসা পত্রের জিনিস স্টলে রেখেছেন যা নজর কাড়ছে । সেই মেলায় উদ্বোধনে এসে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন বিগত 2-3 বছর আগে বাম সরকার একটা বাৎসরিক বনধ ডাকত , যে বনধ কর্মনাশা বনধ এবং হৈ-হুল্লোড় তাস খেলে তারা একটি দিন কাটিয়ে দিত । সেইটা মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে বন্ধ করা গেছে , তাছাড়া বিগত বাম সরকারের আমলে বনধ এর জন্য বহু কোম্পানি এই রাজ্য ছেড়ে এবং জেলা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে । তাই মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হয়েছেন বনধ কোনোভাবেই করা যাবে না । আগে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ছিল ধু ধু মাঠ সেই মাঠ এখন শিল্পের জন্য উপযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে গড়ে উঠেছে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক । যেকোনো তাবড় তাবড় নেতারা এই বনধ ডেকে দিত এবং গল্প-গুজব পিকনিকের মাধ্যমে বনধ কে তারা উপভোগ করত কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই সব বনধে আমাদের রাজ্য সচল করে রেখেছেন , তাই একটা নেগেটিভ জায়গা থেকে বেরিয়ে এসেছে আমাদের এই রাজ্য তথা জেলা যার অনুপ্রেরণা সম্পূর্ণ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই । আমরা বেরিয়ে এসেছি ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও পুড়িয়ে দাও রাজনীতি থেকে , যা তৎকালীন বামফ্রন্টের সরকার এগুলি করত এবং শ্রমিক সংকট এবং শ্রমিকদের প্রতি হুলিয়া জারি করে এই ধরনের বনধ করতো যাতে করে বহু শিল্পউদ্যোগী পালাতে বাধ্য হয়েছেন । আজ একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্রেন্ডলি এনভারমেন্ট তৈরি হয়েছে যা মুখ্যমন্ত্রী হাত ধরেই , তাছাড়া তিনি বলেন বর্তমানে কেন্দ্র সরকার যে ধরনের জি এস টি ও নোট বন্দি করেছেন তাতে অনেকাংশে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভূত ক্ষতি হয়েছে এ ক্ষেত্রে অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে এম এস এম ই । তবে তা তারা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে আমরাও অনেক ভাবে হেল্প করেছি আগামী দিনে আরো ভালোভাবে গড়ে উঠবে শিল্পাঞ্চল । এভাবে বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী বলা বাহুল্য এই দিন শুভেন্দু অধিকারীর ছবি তুলতে গিয়ে শুভেন্দু বাবুর দেহরক্ষীর হাতে কিছুটা হেনস্থার শিকার হলেন সাংবাদিকরা । এদিন শুভেন্দু বাবু যখন মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন তখন সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয় । বাধার পাশাপাশি কে কতটা ছবি তুলবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে বসেন সাংবাদিকদের শুভেন্দু বাবুর দেহরক্ষীরা , টিভিতে এতটা দেখাবেন না তো তুলছেন কেন । এই ঘটনায় কিছুটা ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা শুভেন্দু বাবুর মঞ্চ ছাড়েন ।


Conclusion:শিল্প না আসার কারণ বিরোধীদের বনধ কেই দায়ী করলেন শুভেন্দু
Last Updated : Mar 26, 2019, 11:39 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.