ডেবরা, 30 এপ্রিল : আতঙ্ক বাড়িয়ে জঙ্গলমহলে ফের মাওবাদীদের সক্রিয়তার ইঙ্গিত মিলেছে ৷ গত এক মাস ধরে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া গিয়েছে সাদা কাগজের উপর লাল কালিতে লেখা পোস্টার ৷ তবে এতে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর মতে, জঙ্গলমহলে মাও কার্যকলাপের পিছনে রয়েছে বিজেপি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করলেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari slams mamata banerjee) ৷ তাঁর দাবি, "গত নির্বাচনে 500 জন তৃণমূল নেতাকে মাওবাদীদের নাম করে চাকরি দেওয়া হয়েছে রাজ্যে।"
আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় গিয়ে শুভেন্দু বলেন, "মাও পোস্টার কারা ফেলেছে বা কেন ফেলেছে তা বলতে পারব না ৷ তবে এটা অবশ্যই বলব যে লোকসভা নির্বাচনের আগে মাওবাদীদের নাম করে বিরোধীদের জব্দ করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাছাড়া মাওবাদীদের নাম করে অস্ত্র কেনার টাকা ঝাড়ার ধান্দাতেও রয়েছেন ৷" তিনি বলেন, "মাওবাদীদের নাম করে 500 জন তৃণমূল নেতাকে চাকরি দিয়েছে এই সরকার । তাই জঙ্গলমহলের ছেলেমেয়েরা মাওবাদী মাওবাদী করে লাফাচ্ছে ৷ ভাবছে হয়ত এই কথা শুনেই মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র কনস্টেবল বা সিভিক হোম গার্ডের চাকরি দিয়ে দেবে । এ রাজ্যে চলছে 'গো অ্যাজ ইউ লাইক'-এর প্রতিযোগিতা ৷ যেখানে সার্টিফিকেটের কোনও মূল্য নেই ।"
আরও পড়ুন : Maynaguri News : খাট ভেঙেছিলেন শুভেন্দু ! চটজলদি নতুন এল তৃণমূলের সৌজন্যে
বেকারত্ব প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, "গরীব পরিবারের ছেলেরা বড় ডিগ্রি নিয়েও চাকরি পায় না ৷ আনারুল বা ভাদু শেখের মতো লোকেরা মানুষ কেটে খুন করলে তবেই চাকরি মিলবে ৷ একমাত্র মানুষ খুন করলে কমপেনসেশন হিসেবে পুলিশ সুপারের কাছ থেকে চাকরি পেতে পারেন । এছাড়া চাকরি পাওয়ার অন্যতম পন্থা হল মাওবাদী সাজা ৷ একটা ভাঙা বন্দুক কাঁধে নিয়ে ঘুরলেই এ রাজ্যে চাকরি পাওয়া যায় ।"
সবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী' বলেও কটাক্ষ করেন তিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ব্লক নেতা বলে কটাক্ষ করায় বলেন, "এই ব্লকের নেতার কাছেই হেরেছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় । নিজের অটোবায়োগ্রাফিতে তাঁকে লিখতে হবে, খোদ নিজের বিধানসভায় হেরেছেন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ।"