মেদিনীপুর, 6 সেপ্টেম্বর: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত পরিযায়ী শ্রমিকদের রেজিস্ট্রেশন চলছে সরকারি দুয়ারে ক্যাম্পে। 2 সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল এই ক্যাম্প ৷ চলে 4 তারিখ পর্যন্ত ৷ এই তিনদিনে পরিযায়ী শ্রমিকদের রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা 12 হাজার ৷ তবে 15টি বিধানসভার মধ্যে দাসপুর ঘাটালের দিকেই এই সংখ্যাটা বেশি বলেই জেলা সূত্রে খবর। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য রেজিস্ট্রেশনের এই সুবিধা শুরু হওয়ায় খুশি পরিবার ৷
এদিন পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার অশোক মণ্ডল ও অনিমা ঘাঁটি মণ্ডল বলেন, "সরকারের এই কর্মসূচি যা দুয়ারে সরকারে অন্তর্ভুক্তি হয়েছে,তাতে আমরা খুশি। এ ক্ষেত্রে একটা নিশ্চয়তা পাওয়া গেল। এরই সঙ্গে বাইরে কাজ করা নিজেদের লোকের তথ্য আমরা অতি সহজে জানতে পারব। যা এই সরকারের কর্মসূচির মাধ্যমেই সম্ভব হল ৷ এর জন্য আমরা সাধুবাদ জানাই।"
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরী বলেন, "এই তিন দিন দুয়ারে ক্যাম্পে প্রায় বারো হাজার শ্রমিক রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন ৷ যদিও এখনও রেজিস্ট্রেশন চলবে। এই দুয়ারে ক্যাম্প থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার ও শ্রমিকরা নিজে রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবেন। আমরা আশা করছি, জেলার সমস্ত শ্রমিকদের জন্যই এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু রাখা হবে।"
মূলত, পরিযায়ী শ্রমিকরা কোথায় কাজ করেন, কী কাজ করেন, তার যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য রেজিস্ট্রেশনে উল্লেখ করা থাকছে ৷ তার জন্য দুয়ারে সরকার একটি পোর্টালও খোলা হয়েছে। এই প্রথম বাইরে কাজ করা শ্রমিকদের জন্য এই ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে ৷ এর ফলে আগামিদিনে কোনও জাতীয় বিপর্যয় এলে বা শ্রমিকের দুর্ঘটনা ঘটলে বা শ্রমিকদের আকস্মিক মৃত্যু হলে, সেক্ষেত্রে সুবিধা পাবে ওই শ্রমিকের পরিবার। সঙ্গে আইনি সহায়তা ও গতিবিধি সম্পর্কেও এই পোর্টাল তথ্য দেবে শ্রমিক এবং শ্রমিকের পরিবারকে।
আরও পড়ুন: রেলের কাজে অসমে গিয়ে দুর্ঘটনা, আবারও মৃত্যু মালদার পরিযায়ী শ্রমিকের
প্রসঙ্গত পশ্চিম মেদিনীপুরের 15টি বিধানসভার কয়েক হাজার শ্রমিক বাইরে কাজ করেন। দিল্লি, মুম্বই, গুজরাত, পঞ্জাব-সহ ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে তাঁরা কাজ করেন ৷ আবার দেশের বাইরেও যান কাজ করতে। বেশিরভাগ শ্রমিক সোনার কাজ, মজুরির কাজ-সহ বিভিন্ন রকম কাজে নিযুক্তি রয়েছেন। সম্প্রতি জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরী সাংবাদিক বৈঠক করেন ৷ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্তিকরণের তথ্য তুলে ধরেন সেই সাংবাদিক বৈঠকে।