কেশপুর, 3 ফেব্রুয়ারি : বিয়ের মাত্র 15 দিনের মাথায় তরুণ অধ্যাপকের অস্বাভাবিক মৃত্যু৷ খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার নববধূ ও তাঁর বাবা৷ ধৃতদের 14 দিনের বিচার বিভাগীয় হেপাজতের নির্দেশ মেদিনীপুর জেলা আদালতের৷
পুলিশ সূত্রে খবর, 18 জানুয়ারি ডেবরার শালকাঠি গ্রামের সুভাষচন্দ্র দে-র মেয়ে ব্রততীর সঙ্গে বিয়ে হয় কেশপুরের বাসিন্দা প্রতীম মাইতির৷ 31 বছরের প্রতীম নাড়াজোল রাজ কলেজের এডুকেশন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন৷ 1 ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ঘুমের মধ্যেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রতীমকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷
প্রতীমের পরিবারের দাবি, নববধূই ঘুমন্ত স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন৷ বাপেরবাড়ির প্ররোচনাতেই তিনি নাকি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতেই ব্রততী ও তাঁর বাবা সুভাষচন্দ্রকে গ্রেপ্তার করে কেশপুর থানার পুলিশ৷ বুধবার তাঁদের মেদিনীপুর জেলা আদালতে পেশ করা হলে জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক৷ বাবা-মেয়ে, দু’জনকেই 14 দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানো হয়৷
আরও পড়ুন: বনগাঁয় যুবককে কুপিয়ে খুন, অভিযুক্ত প্রতিবেশী
প্রতীমের পরিবার সূত্রে খবর, ব্রততী নিজে উচ্চশিক্ষিতা৷ বিয়ের আগে চাকরিও করতেন৷ মাইতি পরিবারের দাবি, চাকরি ছাড়তে হওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন ব্রততী৷ তিনি আবার কাজে যোগ দিতে চাইছিলেন৷ তাছাড়া, গ্রামের বাড়িতে থাকাও তাঁর পছন্দ ছিল না৷ এছাড়া, বিয়ের পর পোশাক পরিচ্ছদ নিয়েও শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে মতবিরোধ শুরু হয়৷ এইসব নিয়ে নবদম্পতির মধ্য়ে ঝামেলা চলছিল বলে দাবি প্রতীমের পরিবারের৷ তার জেরেই ব্রততী তাঁর স্বামীকে খুন করেছেন বলে তাঁদের অভিযোগ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷