ETV Bharat / state

National Education Policy: জাতীয় শিক্ষানীতি 2023, কী বলছেন পড়ুুয়া-শিক্ষক ?

author img

By

Published : Mar 29, 2023, 8:50 AM IST

Updated : Mar 29, 2023, 9:53 AM IST

জুলাই মাস থেকে চালু হতে চলেছে জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy started from July) ৷ আর এই নতুন শিক্ষানীতিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের পঠন-পাঠনের পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে ৷ এই নয়া পরিকাঠামোয় অনলাইনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ৷

National Education Policy
জুলাই থেকে চালু হচ্ছে NEP 2023

জুলাই থেকে চালু হচ্ছে জাতীয় শিক্ষানীতি

মেদিনীপুর, 28 মার্চ: জাতীয় শিক্ষানীতি 2023 (National Education policy) চালু হতে চলেছে জুলাই মাসে ৷ এই নতুন শিক্ষানীতিতে স্নাতক এবং মাস্টার ডিগ্রি সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পড়াশোনার পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানো হয়েছে । অনলাইনের উপর যেমন গুরুত্ব বেশি আরোপ করা হয়েছে, সেই সঙ্গে একাধিক কোর্সের উপর জোর দেওয়া হয়েছে (student and teacher opinion on this policy) ।

শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে চলেছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার । নতুন এই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্তরে প্রশ্ন উঠেছে ৷ জাতীয় শিক্ষানীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে চার বছরে স্নতক ডিগ্রি পাবেন পড়ুয়ারা ৷ আগের মত 3 বছর শেষে স্নাতক স্তরের ডিগ্রি কোর্স এবং দু‘বছর শেষে মাস্টার ডিগ্রি কোর্স বাতিল করা হয়েছে ৷ জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রতি বছরই সেমিস্টার ভিত্তিক সার্টিফিকেট দেওয়া-সহ অনলাইনে একাধিক কোর্সের সুবিধা থাকবে ।

জাতীয় শিক্ষানীতির নির্দেশিকা ইতিমধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে । আর সেই শিক্ষানীতি নিয়েই এখন চর্চা রয়েছে পড়ুয়া-সহ সমস্ত শিক্ষক কুলে । কারণ এই শিক্ষানীতিতে জোর দেওয়া হয়েছে অনলাইনের উপর ৷ যেমন প্রতিটা কোর্সের উপর জোর দেওয়া হয়েছে । কিন্তু বর্তমানে জেলাশহর এবং ব্লকের যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার পরিকাঠামগত অভাব অভিযোগ রয়েছে । বহু মানুষ ডিজিটাল যুগের বাইরেও রয়েছে, যারা দিন আনা ও দিন খাওয়া পরিস্থিতিতে কোনক্রমে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ শুধুমাত্র ডিগ্রি অর্জনের জন্য ৷ ফলে এই শিক্ষা নীতি কতটা সুবিধা হবে বা কতটাই অসুবিধে ফেলবে আগামী প্রজন্মকে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা । কিন্তু এই শিক্ষানীতি আনতে বদ্ধপরিকর দুই সরকার ৷কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের পড়ার মান নির্ধারণ হবে ৷ ।

জাতীয় শিক্ষা নীতির সুবিধা : -
1.এক বছর পড়লে -সার্টিফিকেট (2টি সেমিস্টার)
2. দু’বছর পড়লে- ডিপ্লোমা (4টি সেমিস্টার)
3. তিন বছর পড়লে- স্নাতক ডিগ্রি (6’টা সেমিস্টার)
4.চার বছর পড়লে- ব্যাচেলর ডিগ্রি উইথ অনার্স অর রিসার্চ (8টি সেমিস্টার)

5.চতুর্থ বছরে রিসার্চ স্ট্রিম ৷ তবে যারা নেবে তাদের ব্যাচেলর ডিগ্রি উইথ রিসার্চ বলা হবে ৷
6. প্রথম 6 টি সেমিস্টারে 75% নং পেলেই তবে অনার্স পড়ার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা ৷

স্নাকোত্তর ডিগ্রির ক্ষেত্রে:-

1.চার বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি উইথ অনার্স অর রিসার্চ থাকলে এক বছরের স্নাকোত্তর করার সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা ৷
2.যারা তিন বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি করেছে তাদের জন্য দু’বছরের স্নাতকোত্তর করতে পারবেন ৷ ফাইলান ইয়ারে সম্পূর্ন রিসার্চ ওরিয়েন্টেড কাজ করতে হবে ৷
3. পিএইচডি করার জন্য স্নাকোত্তর বা চার বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি উইথ অনার্স অর রিসার্চ করতে হবে ৷
4.যে কোন সময়ে শিক্ষাকেন্দ্র পরিবর্তনের পাশাপাশি নিজের পছন্দের বিষয় নেওয়া যাবে ৷ পড়াশোনার মাধ্যমও পরিবর্তন করা যাবে ৷

আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ ইস্যুতে এআইডিএসও-টিএমসিপি সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়

যদিও পড়ুয়াদের মতে এই শিক্ষা নীতি অনেকটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে । তাছাড়া এই পরিকাঠামো ইতিমধ্যেই এখন মেদিনীপুর-সহ জঙ্গলমহলে কোথাও গড়ে ওঠেনি । নতুন করে অধ্যাপক-অধ্যাপিকা নিয়োগ হয়নি ৷ চাকরির অবস্থা বেহাল হওয়ায় এই ধরনের শিক্ষা নিতে ভ্রান্ত নীতি বলেই মত পড়ুয়াদের । শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মত এইটা ভ্রান্ত নীতি নয় এটা সুবিধা হবে ছাত্র-ছাত্রীদের এবং আমূল পরিবর্তন আসবে ভবিষ্যতে প্রজন্মের কাছে।

জুলাই থেকে চালু হচ্ছে জাতীয় শিক্ষানীতি

মেদিনীপুর, 28 মার্চ: জাতীয় শিক্ষানীতি 2023 (National Education policy) চালু হতে চলেছে জুলাই মাসে ৷ এই নতুন শিক্ষানীতিতে স্নাতক এবং মাস্টার ডিগ্রি সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পড়াশোনার পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানো হয়েছে । অনলাইনের উপর যেমন গুরুত্ব বেশি আরোপ করা হয়েছে, সেই সঙ্গে একাধিক কোর্সের উপর জোর দেওয়া হয়েছে (student and teacher opinion on this policy) ।

শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে চলেছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার । নতুন এই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্তরে প্রশ্ন উঠেছে ৷ জাতীয় শিক্ষানীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে চার বছরে স্নতক ডিগ্রি পাবেন পড়ুয়ারা ৷ আগের মত 3 বছর শেষে স্নাতক স্তরের ডিগ্রি কোর্স এবং দু‘বছর শেষে মাস্টার ডিগ্রি কোর্স বাতিল করা হয়েছে ৷ জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রতি বছরই সেমিস্টার ভিত্তিক সার্টিফিকেট দেওয়া-সহ অনলাইনে একাধিক কোর্সের সুবিধা থাকবে ।

জাতীয় শিক্ষানীতির নির্দেশিকা ইতিমধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে । আর সেই শিক্ষানীতি নিয়েই এখন চর্চা রয়েছে পড়ুয়া-সহ সমস্ত শিক্ষক কুলে । কারণ এই শিক্ষানীতিতে জোর দেওয়া হয়েছে অনলাইনের উপর ৷ যেমন প্রতিটা কোর্সের উপর জোর দেওয়া হয়েছে । কিন্তু বর্তমানে জেলাশহর এবং ব্লকের যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার পরিকাঠামগত অভাব অভিযোগ রয়েছে । বহু মানুষ ডিজিটাল যুগের বাইরেও রয়েছে, যারা দিন আনা ও দিন খাওয়া পরিস্থিতিতে কোনক্রমে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ শুধুমাত্র ডিগ্রি অর্জনের জন্য ৷ ফলে এই শিক্ষা নীতি কতটা সুবিধা হবে বা কতটাই অসুবিধে ফেলবে আগামী প্রজন্মকে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা । কিন্তু এই শিক্ষানীতি আনতে বদ্ধপরিকর দুই সরকার ৷কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের পড়ার মান নির্ধারণ হবে ৷ ।

জাতীয় শিক্ষা নীতির সুবিধা : -
1.এক বছর পড়লে -সার্টিফিকেট (2টি সেমিস্টার)
2. দু’বছর পড়লে- ডিপ্লোমা (4টি সেমিস্টার)
3. তিন বছর পড়লে- স্নাতক ডিগ্রি (6’টা সেমিস্টার)
4.চার বছর পড়লে- ব্যাচেলর ডিগ্রি উইথ অনার্স অর রিসার্চ (8টি সেমিস্টার)

5.চতুর্থ বছরে রিসার্চ স্ট্রিম ৷ তবে যারা নেবে তাদের ব্যাচেলর ডিগ্রি উইথ রিসার্চ বলা হবে ৷
6. প্রথম 6 টি সেমিস্টারে 75% নং পেলেই তবে অনার্স পড়ার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা ৷

স্নাকোত্তর ডিগ্রির ক্ষেত্রে:-

1.চার বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি উইথ অনার্স অর রিসার্চ থাকলে এক বছরের স্নাকোত্তর করার সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা ৷
2.যারা তিন বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি করেছে তাদের জন্য দু’বছরের স্নাতকোত্তর করতে পারবেন ৷ ফাইলান ইয়ারে সম্পূর্ন রিসার্চ ওরিয়েন্টেড কাজ করতে হবে ৷
3. পিএইচডি করার জন্য স্নাকোত্তর বা চার বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি উইথ অনার্স অর রিসার্চ করতে হবে ৷
4.যে কোন সময়ে শিক্ষাকেন্দ্র পরিবর্তনের পাশাপাশি নিজের পছন্দের বিষয় নেওয়া যাবে ৷ পড়াশোনার মাধ্যমও পরিবর্তন করা যাবে ৷

আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ ইস্যুতে এআইডিএসও-টিএমসিপি সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়

যদিও পড়ুয়াদের মতে এই শিক্ষা নীতি অনেকটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে । তাছাড়া এই পরিকাঠামো ইতিমধ্যেই এখন মেদিনীপুর-সহ জঙ্গলমহলে কোথাও গড়ে ওঠেনি । নতুন করে অধ্যাপক-অধ্যাপিকা নিয়োগ হয়নি ৷ চাকরির অবস্থা বেহাল হওয়ায় এই ধরনের শিক্ষা নিতে ভ্রান্ত নীতি বলেই মত পড়ুয়াদের । শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মত এইটা ভ্রান্ত নীতি নয় এটা সুবিধা হবে ছাত্র-ছাত্রীদের এবং আমূল পরিবর্তন আসবে ভবিষ্যতে প্রজন্মের কাছে।

Last Updated : Mar 29, 2023, 9:53 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.