কলকাতা, 31 অক্টোবর: খড়্গপুর আইআইটি-তে (Kharagpur IIT) ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে সিআইডি (CID) বা সিট (SIT) চেয়ে আদালতের দারস্থ মৃতের পরিবার । উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ তাঁদের ছেলের নয় বলে দাবি ছিল পরিবারের । তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন ওই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা ।
যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই ছাত্র বেশ কিছুদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন । কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে ওই ছাত্র ফয়জল আহমেদের বাবা সেলিম আহমেদ মামলা দায়ের করেন । আগামী বৃহস্পতিবার শুনানি ।
14 অক্টোবর আইআইটি খড়্গপুরের লালা লাজপত রায় হলের একটি ঘর থেকে ফয়জল আহমেদের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় (Kharagpur IIT Student Death) । এরপরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ । ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ।
তারপরেই অসমের (Assam) তিনসুকিয়া থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এসে ছেলেকে খুনের অভিযোগ করেছিলেন ফয়জলের বাবা ও মা । পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তথা ওই জেলার জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, ময়নাতদন্তের পর ছাত্রীর পরিবার ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছিল । তবে এখন তারা জানিয়েছে, আর ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন নেই । অন্যদিকে আইআইটি খড়্গপুরে (IIT Kharagpur) অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ছাত্র বিক্ষোভও হচ্ছে ৷
আগেই ফয়জলের মা জানিয়েছিলেন যে খড়গপুর আইআইটি আর পড়ুয়াদের জন্য নিরাপদ নয় ৷ রেহানা আহমেদ নামে ওই মহিলা অন্য অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন, সন্তানকে পাঠিয়ে যেন তাঁরা নিশ্চিন্ত না থাকতে ৷ শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে চিঠি চালাচালি হয়েছে অসম ও পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের শীর্ষস্তর পর্যন্ত৷ ফয়জলের পরিবারের পক্ষ থেকে সুবিচারের দাবিতে চিঠি লেখা হয় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে (Assam Cm Himanta Biswa Sarma) ৷ তার পর হিমন্ত এই নিয়ে চিঠি লেখেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Bengal CM Mamata Banerjee) ৷ তিনি এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করেন চিঠিতে ৷
এবার পুরো বিষয়টিই চলে এল আদালতের গণ্ডিতে ৷ আগামী বৃহস্পতিবার শুনানি ৷ সেদিন আদালত কী বলে, সেইদিকেই তাকিয়ে সকলে ৷
আরও পড়ুন : 'নিরাপদ নয় আইআইটি খড়গপুর'! দাবি অসমের মৃত পড়ুয়ার মায়ের