ঝাড়গ্রাম, 16ই মে : কোরোনা রোগী অদল-বদল ঝাড়গ্রামে । পজ়িটিভ ভাইয়ের পরিবর্তে কোরোনা নেগেটিভ দাদাকে হাসপাতালে রেখে চলল চিকিৎসা । পরে স্বাস্থ্য বিভাগ ভুল বুঝতে পেরে ভাইকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করে । যদিও এই বিষয় নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন নীরব ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ভুলের মাশুল ভোগ করতে হল এক পরিবারকে । ঘটনাটি ঝাড়গ্রামের । স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম থেকে 5 কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামে 18 বছরের এক যুবকের কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে 10 মে । সেই দিন রাতে তাঁকে পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে জেলা প্রশাসন । কিন্তু আক্রান্ত যুবককে আনতে গিয়ে ভুল করে তাঁর দাদাকে নিয়ে আসে পুলিশ । তাঁকে পাঠানো হয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য । এর 4 দিন পর জানা যায় পুলিশ ভুল ব্যক্তিকে নিয়ে এসেছে ।কোরোনা পজ়িটিভ হল তাঁর ভাই । চটজলদি নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন । স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওড়িশার সম্বলপুর সোনার কারিগরে হিসেবে কর্মরত ছিল আক্রান্তের দাদা । এরপর সেখানে দাদার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে লকডাউনে আটকে পড়ে আক্রান্ত যুবক । পরে দু'জনেই বাড়ি ফিরে আসে । এরপর দু'জনেই ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিজেদের সোয়াব টেস্ট করে । পরে 10ই মে দুই ভাইয়ের পরীক্ষার রিপোর্ট আসে । সেখানে ভাইয়ের পজ়িটিভ এবং তাঁর দাদার নেগেটিভ পাওয়া যায় । রিপোর্ট আসার পর পুলিশ ভুল করে ভাই এর পরিবর্তে দাদাকে নিয়ে চলে যায় বড়মা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে । 4 দিন ধরে কোরোনা হাসপাতালের চিকিৎসার পর যুবকে বয়স নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাগ শুরু করে হাসপাতাল থেকে । এরপরই তড়িঘড়ি তারা রিপোর্ট পাঠায় ঝাড়গ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনে । ততক্ষণে আক্রান্ত যুবকের দাদাও জানতে পারে সে COVID-19 আক্রান্ত নয় । তাঁর ভাই পজ়িটিভ ।
এই দিকে ভাইয়ের নেগেটিভ রিপোর্ট জানার পর সে স্থানীয় এলাকায় ইতিমধ্যেই ঘুরে বেড়িয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী । ফলে সে কার কার সংস্পর্শে এসেছে সেই খোঁজখবর শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ । তবে ভাইয়ের বদলে দাদাকে কীভাবে নিয়ে চলে গেল চিকিৎসা করাতে সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন । যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জেলা প্রশাসন । এই বিষয়ে BJP-র জেলা সভাপতি সুখময় সৎপতি বলেন, " পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । জঙ্গলমহলের মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন । এই মহামারী সময় প্রশাসন ধামাচাপা দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে । এখানকার জেলা প্রশাসন ও জেলা শাসক সঠিক তথ্য দেন না গ্রামবাসীকে।"