ঘাটাল, 7 জুলাই: প্রধান শিক্ষিকা নাকি পড়ুয়াদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ৷ সেই কারণেই ছাত্রছাত্রীদের সংখ্য়া কমতে কমতে নয়ে এসে ঠেকেছে ! যদিও বাস্তবে সংখ্যাটা তিন বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের ৷ তাঁদের আশঙ্কা, যে কোনও দিন পাকাপাকিভাবেই স্কুলের সদরে তালা পড়ে যাবে ৷ আর তার জন্য প্রধান শিক্ষিকা এবং তাঁর স্বামীকেই দায়ী করছেন এলাকার মানুষ ৷ যদিও প্রধান শিক্ষিকার পালটা দাবি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার ৷ ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই তাঁর স্কুল থেকে পড়ুয়াদের ভুল বুঝিয়ে অন্য স্কুলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ! যদিও কারা এমনটা করছেন, তা খোলসা করেননি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা ৷ প্রশ্ন উঠছে তাঁর স্বামীর ভূমিকা নিয়েও ৷ সব মিলিয়ে এক আজব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের খড়ার সাঁতরাপাড়া প্রাথমিক বিদ্য়ালয়ে (Ghatal School Controversy) ৷
তথ্য বলছে, 1972 সালে এই স্কুলটি স্থাপিত হয় ৷ স্কুলে পড়ুয়াদের ভিড় এর আগে কখনও কমতে দেখা যায়নি ৷ বছর কয়েক আগেও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় 100 ৷ কিন্তু, ব্রততী হাজরা প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই নাকি ছবিটা পাল্টাতে শুরু করে ! অনুপ পাল নামে এলাকারই বাসিন্দা দাবি করেছেন, ব্রততী বাচ্চাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ৷ তাঁর স্বামীর আচরণও অত্যন্ত খারাপ ৷ সেই কারণেই নাকি ছাত্রছাত্রীরা ওই স্কুলে যেতে চায় না ! এমনকী, প্রধান শিক্ষিকার মানসিক সমস্যা রয়েছে বলেও দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি ৷
আরও পড়ুন: Mid-Day Meal Distribution: বর্ধিত গরমের ছুটিতে 20-25 জুন স্কুল থেকে দেওয়া হবে মিড-ডে মিলের সামগ্রী
স্কুল চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, সেখানকার পড়ুয়ার সংখ্যা খাতায়-কলমে নয় (9) হলেও উপস্থিত রয়েছে তার থেকেও কম ছাত্রছাত্রী ৷ প্রধান শিক্ষিকা এবং তাঁর স্বামী তপোজয় মণ্ডল স্কুলের এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করলেও অন্য কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকার দেখা মেলেনি ৷ অথচ, স্কুলে আরও একজন শিক্ষিকা রয়েছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর ৷ এ দিকে, স্কুলের ছবি তুলতে গেলে প্রধান শিক্ষিকার স্বামী সাংবাদিকদের বাধা দেন ৷ কোথায় কোথায় ছবি তোলা যাবে, তাও কার্যত ঠিক করে দেন তিনি ! অথচ, স্কুলের ভিতর তিনি নিজে কী করছেন, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তপোজয় ৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে কার্যত পালিয়ে বাঁচেন তিনি ৷
এরপর প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুলের এই হাল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ষড়যন্ত্র করে স্কুলটি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ কিন্তু, সরাসরি কারও নাম করেননি তিনি ৷ ব্রততীর দাবি, স্কুলে রোজ মিড-ডে মিল রান্না করা হয় ৷ অথচ রান্নার কোনও বন্দোবস্ত চোখে পড়েনি ৷ যদিও স্কুলে পঠনপাঠনের পরিকাঠামোয় কোনও খামতি নেই ৷ এই বিষয়ে কথা বলার জন্য অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বহ্নিশিখা দে-র সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷