দাসপুর, 8 ডিসেম্বর: ঘুমন্ত মায়ের কোল থেকে উধাও শিশু (Child Death at Daspur)। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর পুকুর থেকে উদ্ধার হয় ওই শিশুর দেহ। এই শিশু মৃত্যুকে ঘিরে ঘনিয়েছে রহস্য ৷ দাসপুর থানার পুলিশ শিশুটির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে (Post-Mortem) পাঠিয়েছে ৷ ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার চাঁইপাট এলাকার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা রতন সিকদার ও তাঁর স্ত্রী রাখি সিকদার তাঁদের দুই সন্তানকে নিয়ে দাসপুরের চাঁইপাটে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। পেশাগত কারণে ভিন দেশে থাকেন রতন (পেশায় সোনার কারিগর)। ওই সিকদার দম্পতির দুই সন্তান। যার মধ্যে ছোট সন্তান রাজ সিকদারের বয়স 5 বছর ৷ সে বিশেষভাবে সক্ষম ৷ হাঁটা-চলা সেভাবে করতে পারে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজের দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি লাগোয়া একটি পুকুর থেকে। মৃতের মা রাখি সিকদার ও প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা যায়, চাঁইপাটের পরিচিত এক ব্যক্তি শিবু জানার দোতলা বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তাঁরা। রাখিদেবী বুধবার রাতে তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ বাদে ঘুম ভাঙতে রাখিদেবী দেখেন বিছানায় রাজ নেই। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি ৷ কিন্তু রাজের সন্ধান না-মেলায় খবর দেওয়া হয় দাসপুর থানায় (Daspur Police)।
আরও পড়ুন: মাঠের মাঝে অস্থায়ী ঝুপড়িতে আগুন, ঝলসে মৃত্যু দুই শবর শিশুকন্যার
অবশেষে, ওই ভাড়া বাড়ি লাগোয়া একটি পুকুর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ জাল ফেলে রাজের দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল দাস বলেন, "গতকাল সাড়ে সাতটার পর থেকে বাচ্চাটিকে বাড়ি থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর সারারাত ধরে বাচ্চাটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। বাচ্চার মা রাজকে না-পেয়ে রাত্রেই পুলিশকে প্রাথমিকভাবে জানায়। এদিন থানায় অভিযোগ করে রাখিদেবী। এরপরই পুকুরে জাল ফেলা হয় এবং সেই জালের মধ্যে রাজকে পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। প্রশ্ন উঠছে, এক বিশেষভাবে সক্ষম ঘুমন্ত বাচ্চার দেহ কী করে পুকুর থেকে পাওয়া গেল ? তদন্ত শুরু করেছে দাসপুর থানার পুলিশ ৷