ETV Bharat / state

সুকুমার হাঁসদার শেষকৃত্যের সময় বচসা, চিতায় দীর্ঘক্ষণ পড়ে রইল দেহ - Sukumar Hansda death

সুকুমারবাবুর মরদেহ নিয়ে আসার পর ঘটনাস্থানে কয়েকজন আদিবাসী জড়ো হন । তাঁরা মৃতদেহ সৎকারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন । ঝাড়গ্রামের IC, BDO, SDPO দফায় দফায় আলোচনা করেন । তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন ।

jhargramjhargram
jhargram
author img

By

Published : Oct 30, 2020, 8:18 PM IST

ঝাড়গ্রাম, 30 অক্টোবর : সুকুমার হাঁসদার দেহ সৎকার ঘিরে প্রশাসনের সঙ্গে বচসা বাঁধল আদিবাসীদের । শেষে গ্রামবাসীদের শান্ত করে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমারবাবুর দেহ সৎকার করা হয় ।

গত সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম পৌঁছায় সুকুমার হাঁসদার মৃতদেহ । রাতে ঝাড়গ্রামে রঘুনাথপুরের বাড়িতে দেহ রাখা ছিল । পরিবারের তরফে প্রশাসনকে জানানো হয়, সকালে সাপধরা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুবরাজপর গ্রামে দেশের বাড়িতে সৎকার ও পারলৌকিক কাজ হবে । কিন্তু ছেলে সুরজিৎ হাঁসদা বলেন, পারলৌকিক কাজ ঝাড়গ্রামের বাড়িতে হবে । এই নিয়ে মতবিরোধ হয় গ্রামের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে । এরপর জারালাটায় সৎকার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।

দুবরাজপুরে কাঠ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । কিন্তু সেখানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়নি । জারালাটা গ্রামের ক্যানেলপাড়ের কাছে সুকুমারবাবুর পরিবারিক জায়গা ছিল । সেখানেই আজ সৎকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । দুপুরে জারলাটায় নিয়ে আসা হয় তাঁর মরদেহ । প্রশাসনের তরফে গান স্যালুটের আয়োজন করা হয় । জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র আসেন । মানস ভুঁইয়াও আসেন । অজিত মাহাত, উত্তরা সিংহ হাজরাও আসেন ।

সুকুমারবাবুর মরদেহ নিয়ে আসার পর ঘটনাস্থানে কয়েকজন আদিবাসী জড়ো হন । তাঁরা মৃতদেহ সৎকারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন । ঝাড়গ্রামের IC, BDO, SDPO দফায় দফায় আলোচনা করেন । তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন । গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, এখানে সৎকার করা হলে এই জায়গাকে শ্মশান হিসেবে ঘোষণা করতে হবে । চিতায় মরদেহ তুলতেই তুমুল গন্ডগোল শুরু করেন জারালাটা গ্রামের বাসিন্দারা । তাঁরা চিতা থেকে কাঠ টেনে ফেলার চেষ্টা করেন । গ্রামের মহিলারা জলের বালতি নিয়ে আসেন । মহিলারা জানিয়ে দেন, চিতায় আগুন ধরানো হলে তাঁরা নিভিয়ে দেবেন । দীর্ঘক্ষণ বচসা চলে ।

পুলিশ চিতাকে চারদিকে ব্যারিকেড করে রাখে । একঘণ্টা ধরে মৃতদেহ চিতার উপর পড়ে থাকে । গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করেন SP, DM । সুকুমার হাঁসদার পরিবার গ্রামবাসীদের তিনকাঠা জমিতে শ্মশান তৈরি করতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় । তারপরই সুকুমার হাঁসদার দেহ সৎকার করতে দেন ।

পুলিশের পক্ষ থেকে গান স্যালুট দেওয়া হয় । রাজ্যসভার সাসংদ মানস ভুঁইয়া বলেন, "আমরা চাই আদিবাসী সমাজকে কোনও দুঃখ না দিতে । তাঁদের কোনও অসম্মান না করে পরিবার ও সমাজ এক হয়ে মিলিত হয়ে কাজ করুক । আদিবাসী সমাজের রীতিনীতি পারিবারিক সমস্যার মেলবন্ধন হয়ে গেলে সবটাই মিটে যাবে । এতে প্রশাসনের কোনও ব্যাপার নেই । এই ব্যাপারটা হল একান্ত পারিবারিক ও আদিবাসী সমাজের ।"

ঝাড়গ্রাম, 30 অক্টোবর : সুকুমার হাঁসদার দেহ সৎকার ঘিরে প্রশাসনের সঙ্গে বচসা বাঁধল আদিবাসীদের । শেষে গ্রামবাসীদের শান্ত করে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমারবাবুর দেহ সৎকার করা হয় ।

গত সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম পৌঁছায় সুকুমার হাঁসদার মৃতদেহ । রাতে ঝাড়গ্রামে রঘুনাথপুরের বাড়িতে দেহ রাখা ছিল । পরিবারের তরফে প্রশাসনকে জানানো হয়, সকালে সাপধরা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুবরাজপর গ্রামে দেশের বাড়িতে সৎকার ও পারলৌকিক কাজ হবে । কিন্তু ছেলে সুরজিৎ হাঁসদা বলেন, পারলৌকিক কাজ ঝাড়গ্রামের বাড়িতে হবে । এই নিয়ে মতবিরোধ হয় গ্রামের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে । এরপর জারালাটায় সৎকার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।

দুবরাজপুরে কাঠ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । কিন্তু সেখানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়নি । জারালাটা গ্রামের ক্যানেলপাড়ের কাছে সুকুমারবাবুর পরিবারিক জায়গা ছিল । সেখানেই আজ সৎকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । দুপুরে জারলাটায় নিয়ে আসা হয় তাঁর মরদেহ । প্রশাসনের তরফে গান স্যালুটের আয়োজন করা হয় । জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র আসেন । মানস ভুঁইয়াও আসেন । অজিত মাহাত, উত্তরা সিংহ হাজরাও আসেন ।

সুকুমারবাবুর মরদেহ নিয়ে আসার পর ঘটনাস্থানে কয়েকজন আদিবাসী জড়ো হন । তাঁরা মৃতদেহ সৎকারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন । ঝাড়গ্রামের IC, BDO, SDPO দফায় দফায় আলোচনা করেন । তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন । গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, এখানে সৎকার করা হলে এই জায়গাকে শ্মশান হিসেবে ঘোষণা করতে হবে । চিতায় মরদেহ তুলতেই তুমুল গন্ডগোল শুরু করেন জারালাটা গ্রামের বাসিন্দারা । তাঁরা চিতা থেকে কাঠ টেনে ফেলার চেষ্টা করেন । গ্রামের মহিলারা জলের বালতি নিয়ে আসেন । মহিলারা জানিয়ে দেন, চিতায় আগুন ধরানো হলে তাঁরা নিভিয়ে দেবেন । দীর্ঘক্ষণ বচসা চলে ।

পুলিশ চিতাকে চারদিকে ব্যারিকেড করে রাখে । একঘণ্টা ধরে মৃতদেহ চিতার উপর পড়ে থাকে । গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করেন SP, DM । সুকুমার হাঁসদার পরিবার গ্রামবাসীদের তিনকাঠা জমিতে শ্মশান তৈরি করতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় । তারপরই সুকুমার হাঁসদার দেহ সৎকার করতে দেন ।

পুলিশের পক্ষ থেকে গান স্যালুট দেওয়া হয় । রাজ্যসভার সাসংদ মানস ভুঁইয়া বলেন, "আমরা চাই আদিবাসী সমাজকে কোনও দুঃখ না দিতে । তাঁদের কোনও অসম্মান না করে পরিবার ও সমাজ এক হয়ে মিলিত হয়ে কাজ করুক । আদিবাসী সমাজের রীতিনীতি পারিবারিক সমস্যার মেলবন্ধন হয়ে গেলে সবটাই মিটে যাবে । এতে প্রশাসনের কোনও ব্যাপার নেই । এই ব্যাপারটা হল একান্ত পারিবারিক ও আদিবাসী সমাজের ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.