ETV Bharat / state

Vande Bharat Driver: জঙ্গলমহলের ছেলের হাতে বন্দে ভারতের স্টিয়ারিং, গর্বিত গ্রামবাসীরা - পশ্চিম মেদিনীপুরের ছেলে বন্দে ভারতের ড্রাইভার

বন্দে ভারত ৷ শুরুর দিন থেকে বিভিন্ন বিতর্ক হয়েছে দেশের মধ্যে প্রথম সেমি হাইস্পিড এই ট্রেনকে ঘিরে ৷ সেই ট্রেনই চালাচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রাম সবংয়ের বাসিন্দা চন্দন দাস ৷

Etv Bharat
চন্দন দাস
author img

By

Published : Jun 29, 2023, 9:37 PM IST

বন্দে ভারত চালাচ্ছেন সবংয়ের বাসিন্দা চন্দন দাস

সবং, 29 জুন: চন্দন দাস জঙ্গলমহলের ভূমিপুত্র। তবে এই মুহূর্তে তাঁর আরও একটা পরিচয় রয়েছে । তিনি খড়গপুর ডিভিশনে বন্দে ভারতের লোকো পাইলট । তাঁর হাতেই রয়েছে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারতের স্টিয়ারিং। যে ট্রেনটিকে নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের প্রচুর আগ্রহ রয়েছে । মাথা ঠান্ডা করে তাঁকেই নিয়ম করে যাত্রীদের পৌঁছে দিতে হয় গন্তব্যে। কয়েকদিন আগেই এই যাত্রাপথেই একটা বড় রেল দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে । এই অবস্থায় খুব স্বাভাবিকভাবে বন্দে ভারতের মতো দেশের প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেনের চালক হিসাবে তাঁর দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ । জঙ্গলমহলে তারই মুখোমুখি হয়েছিলাম আমরা। নিজের মুখেই তিনি জানালেন তার অভিজ্ঞতা এবং লক্ষ্যের কথা ।

প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা চন্দনের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল লাগোয়া সবং ব্লকের নওগাঁ অঞ্চলের হরিপুরা গ্রামে তাঁর বাড়ি । ছোটবেলা থেকেই কষ্ট করেই এই জায়গায় উঠে এসেছেন তিনি । একটা সময় মাউথ অর্গান বাজাতে ভালোবাসতেন । আজ কাজের ব্যস্ততায় সেটাই অতীত হতে বসেছে ।

মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে চন্দন গ্রামের স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর পলিটেকনিকে ভর্তি হন। প্রথম দিন থেকেই স্বপ্ন দেখতেন বড় কিছু হওয়ার। কিন্তু পরিবারের চাপে প্রথম জীবনে একাধিক ছোট ছোট জায়গায় চাকরি করতে হয়েছে তাঁকে। একাধিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতেও অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি। অবশেষে 2018 সালে ভারতীয় রেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটের পরীক্ষা দেন তিনি। সেখান থেকে চারটি ধাপ উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পান চন্দন।

এরপর ধাপে ধাপে প্রথমে বাণিজ্যিক মালগাড়ি, পরে প্যাসেঞ্জার ট্রেনও চালিয়েছেন তিনি। এরপর 2020 সালে বন্দে ভারত ট্রেন চালানোর সুযোগ আসে ৷ প্রশিক্ষণের জন্য চেন্নাইতে যেতে হয়। তারপরই বন্দে ভারত চালানোর শুরু হয় ৷ তবে শুধু বন্দে ভারতই নয়, রাজধানী থেকে শুরু শতাব্দী এক্সপ্রেস সবই চালান তিনি ৷

আরও পড়ুন : পাঁচটি রুটে বন্দে ভারত মেট্রো এক্সপ্রেস চালানোর সুপারিশ পূর্ব রেলের

এই মুহূর্তে সবংয়ের হরিপুরা গ্রামের চন্দনকে সবাই এক ডাকে চেনে । দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেনের চালক তিনি ৷ তাই এলাকায় তার গুরুত্বই আলাদা । এই মুহূর্তে গ্রামের মানুষের কাছে প্রশংসিত তার মাউথ অর্গান প্রতিভাও । পাড়া-প্রতিবেশীদের মুখে মুখে ফেরে তার প্রতিভা তার মাউথ অর্গানের সুরের কথা । যদিও এখন কাজের চাপে নিয়ম করে গ্রামে ফেরা হয় না চন্দনের ।

খড়গপুরে বসেই গ্রামের বাড়ি মাঠঘাট পুকুর এগুলোকে মিস করেন তিনি। তবে এই সাফল্যেই থেমে যেতে চান না বন্দে ভারতের এই লোকো পাইলট । তিনি চান ধাপে ধাপে আরও উত্তরণ। আর তার পাড়া তার পরিচিত মানুষজন চান আরও বড় হোক এই জঙ্গলমহলের ছেলেটি ।

জঙ্গলমহলের এই ছেলেটির সাফল্যে উচ্ছসিত জেলার মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক মানস ভুঁইয়াও । তিনি বলছেন, "চন্দন খুব ভালো ছেলে ৷ ও আরও বড় হোক । আমাদের সবংয়ের নাম উজ্জ্বল করেছে । তবে একটু সাবধানে গাড়ি চালাক ৷ কারণ বন্দে ভারতে ট্রেনে অনেক গণ্ডগোল হচ্ছে । ও সাবধানে গাড়ি চালাক । ওকে আশীর্বাদ করি । আরও বড় হোক ।"

বন্দে ভারত চালাচ্ছেন সবংয়ের বাসিন্দা চন্দন দাস

সবং, 29 জুন: চন্দন দাস জঙ্গলমহলের ভূমিপুত্র। তবে এই মুহূর্তে তাঁর আরও একটা পরিচয় রয়েছে । তিনি খড়গপুর ডিভিশনে বন্দে ভারতের লোকো পাইলট । তাঁর হাতেই রয়েছে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারতের স্টিয়ারিং। যে ট্রেনটিকে নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের প্রচুর আগ্রহ রয়েছে । মাথা ঠান্ডা করে তাঁকেই নিয়ম করে যাত্রীদের পৌঁছে দিতে হয় গন্তব্যে। কয়েকদিন আগেই এই যাত্রাপথেই একটা বড় রেল দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে । এই অবস্থায় খুব স্বাভাবিকভাবে বন্দে ভারতের মতো দেশের প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেনের চালক হিসাবে তাঁর দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ । জঙ্গলমহলে তারই মুখোমুখি হয়েছিলাম আমরা। নিজের মুখেই তিনি জানালেন তার অভিজ্ঞতা এবং লক্ষ্যের কথা ।

প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা চন্দনের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল লাগোয়া সবং ব্লকের নওগাঁ অঞ্চলের হরিপুরা গ্রামে তাঁর বাড়ি । ছোটবেলা থেকেই কষ্ট করেই এই জায়গায় উঠে এসেছেন তিনি । একটা সময় মাউথ অর্গান বাজাতে ভালোবাসতেন । আজ কাজের ব্যস্ততায় সেটাই অতীত হতে বসেছে ।

মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে চন্দন গ্রামের স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর পলিটেকনিকে ভর্তি হন। প্রথম দিন থেকেই স্বপ্ন দেখতেন বড় কিছু হওয়ার। কিন্তু পরিবারের চাপে প্রথম জীবনে একাধিক ছোট ছোট জায়গায় চাকরি করতে হয়েছে তাঁকে। একাধিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতেও অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি। অবশেষে 2018 সালে ভারতীয় রেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটের পরীক্ষা দেন তিনি। সেখান থেকে চারটি ধাপ উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পান চন্দন।

এরপর ধাপে ধাপে প্রথমে বাণিজ্যিক মালগাড়ি, পরে প্যাসেঞ্জার ট্রেনও চালিয়েছেন তিনি। এরপর 2020 সালে বন্দে ভারত ট্রেন চালানোর সুযোগ আসে ৷ প্রশিক্ষণের জন্য চেন্নাইতে যেতে হয়। তারপরই বন্দে ভারত চালানোর শুরু হয় ৷ তবে শুধু বন্দে ভারতই নয়, রাজধানী থেকে শুরু শতাব্দী এক্সপ্রেস সবই চালান তিনি ৷

আরও পড়ুন : পাঁচটি রুটে বন্দে ভারত মেট্রো এক্সপ্রেস চালানোর সুপারিশ পূর্ব রেলের

এই মুহূর্তে সবংয়ের হরিপুরা গ্রামের চন্দনকে সবাই এক ডাকে চেনে । দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেনের চালক তিনি ৷ তাই এলাকায় তার গুরুত্বই আলাদা । এই মুহূর্তে গ্রামের মানুষের কাছে প্রশংসিত তার মাউথ অর্গান প্রতিভাও । পাড়া-প্রতিবেশীদের মুখে মুখে ফেরে তার প্রতিভা তার মাউথ অর্গানের সুরের কথা । যদিও এখন কাজের চাপে নিয়ম করে গ্রামে ফেরা হয় না চন্দনের ।

খড়গপুরে বসেই গ্রামের বাড়ি মাঠঘাট পুকুর এগুলোকে মিস করেন তিনি। তবে এই সাফল্যেই থেমে যেতে চান না বন্দে ভারতের এই লোকো পাইলট । তিনি চান ধাপে ধাপে আরও উত্তরণ। আর তার পাড়া তার পরিচিত মানুষজন চান আরও বড় হোক এই জঙ্গলমহলের ছেলেটি ।

জঙ্গলমহলের এই ছেলেটির সাফল্যে উচ্ছসিত জেলার মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক মানস ভুঁইয়াও । তিনি বলছেন, "চন্দন খুব ভালো ছেলে ৷ ও আরও বড় হোক । আমাদের সবংয়ের নাম উজ্জ্বল করেছে । তবে একটু সাবধানে গাড়ি চালাক ৷ কারণ বন্দে ভারতে ট্রেনে অনেক গণ্ডগোল হচ্ছে । ও সাবধানে গাড়ি চালাক । ওকে আশীর্বাদ করি । আরও বড় হোক ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.