কেশপুর, 3 মার্চ : আড়াই বছর আগে যুবককে খুনের অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মা ৷ অবশেষে আদালতের নির্দেশে আজ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে মৃতদেহ তোলা হয় ৷
মৃত যুবকের নাম শেখ লোকমান আলি ৷ কেশপুরের মাজুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ৷ তাঁর আম্মা শেরজিনা খাতুনের অভিযোগ, ছেলেকে খুন করেছে বউমা ৷ অন্যদিকে মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, সম্পত্তি লোকমানের নামে না লিখে দেওয়ায় আত্মহত্যা করেছিল লোকমান ৷
উল্লেখ 2017 সালের 5 সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় লোকমানের । লোকমানের স্ত্রীর বক্তব্য, সম্পত্তি নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে লোকমানের গন্ডগোল চলছিল ৷ প্রতিদিনই প্রায় অশান্তি হত ৷ অশান্তির জেরেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে লোকমান ৷ পুরো ঘটনায় শেরজিনা খাতুনের মেয়ে-জামাইয়ের ইন্ধন রয়েছে ৷
অন্যদিকে শেরজিনা খাতুনের বক্তব্য, ঘটনার দিন তিনি তাঁর ছোটো মেয়ে ডালিয়া খাতুনের বাড়িতে ছিলেন ৷ রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ তাঁর বউমা মেয়ের বাড়িতে এসে জানিয়েছিলেন তাঁর ছেলে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে ৷ বাড়িতে ফিরে গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় তিনি ছেলেকে পাশের গ্রামের এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেছিলেন ৷ কিন্তু ততক্ষণে তাঁর ছেলে মারা গেছিলেন ৷ তিনি আরও জানান, ঘটনার পরের দিন সন্ধ্যায় বাড়িতে রেজিস্ট্রার ডেকে তাঁর বউমা জমিজমা তাঁর ও তাঁর ছেলে মেয়ের নামে লিখে দিতে বাধ্য করে ৷ শুধু তাই নয়, থানায় অভিযোগ জানানো হলে মেরে ফেলার পর্যন্ত হুমকি দেওয়া হয় ৷
ঘটনায় সোখীসোনা বিবি, আনসারুল মল্লিক, জুলফিকার মল্লিক, আসাদুল মল্লিক ও শেখ আলি আহমেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শেরজিনা খাতুন ৷ আজ সেই মামলায় জেলা আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লোকমানের মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ৷