মেদিনীপুর, 2 ফেব্রুয়ারি: জামিনে মুক্তি পেলেন সিপিআইএমের তিন দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ডালিম পাণ্ডে, তপন দে ও অনুজ পাণ্ডে (Netai Massacre Case)। তবে এর মধ্যে অনুজ পাণ্ডের কাগজপত্র সঠিক না থাকার জন্য তাঁর মুক্তি আপাতত স্থগিত আছে ৷ তবে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু'একদিনের মধ্যেই তাঁর কাগজপত্র রেডি হয়ে গেলে তিনিও মুক্তি পেয়ে যাবেন ৷ বাকি ডালিম পাণ্ডে ও তপন দে-কে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ছাড় দেওয়া হয় । এই নেতাদের বরণ করতে উপস্থিত হয়েছিল বামেরা । পার্টি চাইলে আবার সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করবেন বলে এদিন জানান অভিযুক্তরা ।
প্রায় 12 বছর পর মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন লালগড়ের নেতাই গণহত্যা মামলায় অভিযুক্ত তিন সিপিআইএম নেতা । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাইরে বেরোতেই দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁদের সাদরে বরণ করেন ফুলের মালা ও স্তবক দিয়ে । প্রসঙ্গত, 2011 সালের 7 জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে গুলিতে নিহত হয় 9 গ্রামবাসী । আহতের সংখ্যা ছিল 28 ৷ সেই ঘটনায় খুনের অভিযোগ ওঠে 19 জন সিপিআইএম নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে । এরপর একে একে গ্রেফতার হয় 19 জনই । এর মধ্যে এই তিন নেতা পুলিশের খাতায় ফেরার ছিলেন বছর আড়াই ৷ তারপর তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ দীর্ঘ 9 বছর জেলে থাকার পর অবশেষে গত 31 জানুয়ারি হাইকোর্ট তিন সিপিআইএম নেতাকে জামিনের মুক্তির নির্দেশ দেন ।
সিপিআইএম নেতা ডালিম পাণ্ডে ও তপন দে বলেন, "মিথ্যে মামলায় আমাদের ফাঁসানো হয়েছিল । তৎকালীন সময়ে মাওবাদী ও গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় । আর সেই সংঘর্ষেই মাওবাদীদের গুলিতে নিহত হয়েছিল গ্রামবাসীরা । আহত হয়েছিল অনেক গ্রামবাসী ৷ আর সেই ঘটনায় আমাদেরকে ফাঁসানো হয়েছিল । তাই আমরা বিনা কারণে এতগুলো বছর জেল খাটলাম । আমরা দলের অনুগত সৈনিক । যদি দল আমাদের এই পঞ্চায়েত ভোটে রাজনীতিতে নামতে নির্দেশ দেয় তবে আমরা অবশ্যই সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করব । আমরা যেহেতু বিচারাধীন বন্দি । তাই দলের নির্দেশ ছাড়া আমরা কোনওরকমই কাজ করব না ।"
আরও পড়ুন : 8 বছর পর জামিনে মুক্তি, নেতাই মামলায় অভিযুক্ত ফুল্লরাকে বরণ সুশান্তদের