ETV Bharat / state

Asansol Lawyer Murder: নেপথ্যে অন্য সম্পর্ক ? আইনজীবীকে খুনের পর পেট্রল জ্বেলে পোড়াল স্ত্রী ও শ্বশুর - Asansol News

বাবার সঙ্গে যোগসাজশ করে আইনজীবী স্বামীকে খুনের করার পর পুড়িয়ে দিল স্ত্রী ৷ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেও রেহাই হল না ৷ জেরায় ভেঙে পড়ে সব কথা স্বীকার 'গুণবতী' স্ত্রীর ৷ গ্রেফতার হয়েছে শ্বশুরও ৷

ETV Bharat
মৃত আইনজীবী
author img

By

Published : Jun 15, 2023, 6:57 PM IST

খুনের ঘটনায় স্থানীয় নেতার বক্তব্য

আসানসোল ও অণ্ডাল, 15 জুন: আসানসোল আদালতের এক আইনজীবীকে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বৌমা ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে । মৃতের নাম ব্রজেশ্বর দাস (50)। এই ঘটনায় মৃত ব্রজেশ্বরের স্ত্রী শম্পা দাস ও শ্বশুর তারকনাথ দাসকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ । এই ঘটনার পিছনে আরও কেউ থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান । তাই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহুকাল যাবৎ ব্রজেশ্বরের সঙ্গে স্ত্রী শম্পার বনিবনা ছিল না । সম্ভবত কোনও তৃতীয় মানুষ এসেছিল দু'জনের মাঝে । তাই পথের কাঁটা ব্রজেশ্বরকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে শম্পা । যদিও পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে জেরার মুখে শম্পা স্বীকার করেছে ব্রজেশ্বরকে খুন করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল ।

আসানসোল আদালতের আইনজীবী ছিলেন ব্রজেশ্বর দাস । আসল বাড়ি বাঁকুড়ার শালতোড়া এলাকায় । কিন্তু কাজের জন্য তিনি আসানসোলে গোধূলি রোডে একটি বহুতল আবাসনে ফ্ল্যাট নিয়েছিলেন । সেখানেই এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে স্ত্রী শম্পার সঙ্গে থাকতেন তিনি । স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকবছর ধরে ব্রজেশ্বরের সঙ্গে শম্পার সম্পর্কের অবনতি হয় । তবে তা কী কারণে সেটা কখনও খোলসা করেননি ব্রজেশ্বর । তবে ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, শম্পা সম্ভবত অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল । তা নিয়েই দু'জনের মধ্যে অশান্তি চলত ।

যার জেরে প্রায়শই ব্রজেশ্বর অনান্য আত্মীয়দের বাড়ি চলে যেতেন । বাড়িতেও খুব অবহেলার স্বীকার হতেন তিনি । সম্প্রতি স্ত্রী শম্পা তাঁকে ঠিকঠাকভাবে খেতেও দিতেন না বলে অভিযোগ । ঘনিষ্ঠ মহলে হতাশার কথা জানিয়েছিলেন ব্রজেশ্বর । সম্ভবত আলাদা থাকার কথাও ভাবছিলেন তিনি । কিন্তু গত 10 জুন শম্পা আসানসোল দক্ষিণ থানায় ব্রজেশ্বরের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে । সবাই প্রথমে ভেবেছিল অনান্য আত্মীয়ের বাড়ি চলে গিয়েছেন ব্রজেশ্বর ।

কিন্তু অনান্য আত্মীয়দের কথাবার্তা শুনে পুলিশের সন্দেহ হয় । তারপরই পুলিশ শম্পাকে জেরা করে । জেরার মুখে ভেঙে পড়ে শম্পা জানায়, স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে পুড়িয়ে ফেলেছে সে । এই ঘটনায় তাকে সহায়তা করেছে তার বাবা তারকনাথ দাস ।

আরও পড়ুন : পারিবারিক বিবাদে প্রৌঢ়কে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে

তারকনাথ ইসিএলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী । অণ্ডালের খাসকাজোড়ার আজিরবাগান এলাকায় থাকতেন তিনি । পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আসানসোলের আবাসনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে ব্রজেশ্বরকে বস্তায় বন্দি করে খাসকাজোড়ায় তারকনাথের বাড়িতে নিয়ে পেট্রল জ্বেলে পোড়ানো হয়েছে । পুলিশ এই ঘটনায় ফরেনসিক বিভাগের সাহায্য নিতে পারে ।

ঘটনার পর স্থানীয় এলাকাবাসীরা অণ্ডালের খাসকাজোড়ায় ওই বাড়িটি দেখতে ভিড় জমায় । পুলিশ সিল করে দিয়েছে বাড়িটি । স্থানীয়দের মতে প্রায়শই ওই বাড়িতে কয়লা-সহ নানা সামগ্রী জ্বালানো হত । তবে কী আগের থেকেই মৃতদেহ পোড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল শম্পা ও তার বাবার ? যাতে ধোঁয়া দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ না হয় । আপাতত দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের মোটিভ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ । এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, তা জানতে উদগ্রীব আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ।

খুনের ঘটনায় স্থানীয় নেতার বক্তব্য

আসানসোল ও অণ্ডাল, 15 জুন: আসানসোল আদালতের এক আইনজীবীকে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বৌমা ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে । মৃতের নাম ব্রজেশ্বর দাস (50)। এই ঘটনায় মৃত ব্রজেশ্বরের স্ত্রী শম্পা দাস ও শ্বশুর তারকনাথ দাসকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ । এই ঘটনার পিছনে আরও কেউ থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান । তাই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহুকাল যাবৎ ব্রজেশ্বরের সঙ্গে স্ত্রী শম্পার বনিবনা ছিল না । সম্ভবত কোনও তৃতীয় মানুষ এসেছিল দু'জনের মাঝে । তাই পথের কাঁটা ব্রজেশ্বরকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে শম্পা । যদিও পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে জেরার মুখে শম্পা স্বীকার করেছে ব্রজেশ্বরকে খুন করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল ।

আসানসোল আদালতের আইনজীবী ছিলেন ব্রজেশ্বর দাস । আসল বাড়ি বাঁকুড়ার শালতোড়া এলাকায় । কিন্তু কাজের জন্য তিনি আসানসোলে গোধূলি রোডে একটি বহুতল আবাসনে ফ্ল্যাট নিয়েছিলেন । সেখানেই এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে স্ত্রী শম্পার সঙ্গে থাকতেন তিনি । স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকবছর ধরে ব্রজেশ্বরের সঙ্গে শম্পার সম্পর্কের অবনতি হয় । তবে তা কী কারণে সেটা কখনও খোলসা করেননি ব্রজেশ্বর । তবে ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, শম্পা সম্ভবত অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল । তা নিয়েই দু'জনের মধ্যে অশান্তি চলত ।

যার জেরে প্রায়শই ব্রজেশ্বর অনান্য আত্মীয়দের বাড়ি চলে যেতেন । বাড়িতেও খুব অবহেলার স্বীকার হতেন তিনি । সম্প্রতি স্ত্রী শম্পা তাঁকে ঠিকঠাকভাবে খেতেও দিতেন না বলে অভিযোগ । ঘনিষ্ঠ মহলে হতাশার কথা জানিয়েছিলেন ব্রজেশ্বর । সম্ভবত আলাদা থাকার কথাও ভাবছিলেন তিনি । কিন্তু গত 10 জুন শম্পা আসানসোল দক্ষিণ থানায় ব্রজেশ্বরের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে । সবাই প্রথমে ভেবেছিল অনান্য আত্মীয়ের বাড়ি চলে গিয়েছেন ব্রজেশ্বর ।

কিন্তু অনান্য আত্মীয়দের কথাবার্তা শুনে পুলিশের সন্দেহ হয় । তারপরই পুলিশ শম্পাকে জেরা করে । জেরার মুখে ভেঙে পড়ে শম্পা জানায়, স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে পুড়িয়ে ফেলেছে সে । এই ঘটনায় তাকে সহায়তা করেছে তার বাবা তারকনাথ দাস ।

আরও পড়ুন : পারিবারিক বিবাদে প্রৌঢ়কে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে

তারকনাথ ইসিএলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী । অণ্ডালের খাসকাজোড়ার আজিরবাগান এলাকায় থাকতেন তিনি । পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আসানসোলের আবাসনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে ব্রজেশ্বরকে বস্তায় বন্দি করে খাসকাজোড়ায় তারকনাথের বাড়িতে নিয়ে পেট্রল জ্বেলে পোড়ানো হয়েছে । পুলিশ এই ঘটনায় ফরেনসিক বিভাগের সাহায্য নিতে পারে ।

ঘটনার পর স্থানীয় এলাকাবাসীরা অণ্ডালের খাসকাজোড়ায় ওই বাড়িটি দেখতে ভিড় জমায় । পুলিশ সিল করে দিয়েছে বাড়িটি । স্থানীয়দের মতে প্রায়শই ওই বাড়িতে কয়লা-সহ নানা সামগ্রী জ্বালানো হত । তবে কী আগের থেকেই মৃতদেহ পোড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল শম্পা ও তার বাবার ? যাতে ধোঁয়া দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ না হয় । আপাতত দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের মোটিভ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ । এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, তা জানতে উদগ্রীব আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.