আসানসোল, 29 মার্চ: জোড়া খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও অবরোধে তোলপাড় হীরাপুর থানা চত্বর (Protest and road blockade) ৷ মঙ্গলবার রাতে আদিবাসী ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী কোয়েল হাঁসদার (22) দেহ উদ্ধার হয়েছিল হীরাপুর থানার নিউটাউনে । পাশাপাশি একইদিনে হীরাপুর থানার অন্তর্গত দামোদর নদীর ভূতাবুড়ি ঘাটের পাশে একটি ঝোপে উদ্ধার হয় শুভম আগরওয়াল (14) নামে এক কিশোরের দেহ । দু'টোই খুনের ঘটনা বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। সবমিলিয়ে জোড়া খুনের ঘটনায় সঠিক তদন্তের দাবিতেই এদিনের বিক্ষোভ ৷
আদিবাসী যুবতী ও কিশোরের খুনের ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বুধবার সকাল থেকে দফায়-দফায় বিক্ষোভ দেখায় আসানসোল শিল্পাঞ্চলের আদিবাসী মানুষজন। পাশাপাশি এই বিক্ষোভে যোগ দেয় বিজেপি ও সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরাও। বিক্ষোভকারীরা থানার সামনে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদি এসে বলেন, "শুভম আগরওয়াল খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং কোয়েল খুনের ঘটনাতেও একজনকে আটক করা হয়েছে । খুব দ্রুত এই দুটি খুনের ঘটনার কিনারা হবে।"এই আশ্বাস পাওয়ার পরেই বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ তুলে নেয়।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিল হিরাপুর থানার নিউটাউন সংলগ্ন বিপিএল কলোনির বাসিন্দা তথা আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মেধাবী ছাত্রী কোয়েল হাঁসদা । মঙ্গলবার রাতে তার দেহ উদ্ধার হয় নিউটাউনের একটি ফাঁকা এলাকায় । কোয়েলের বাবা লক্ষীনারায়ণ হাঁসদা খুনের অভিযোগ জানিয়েছেন হিরাপুর থানায় । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করেছে । অভিযুক্ত বাকি দু'জন পলাতক । অন্যদিকে মঙ্গলবারেই দামোদর নদীর ধারে ভtতাবুড়ি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় উদ্ধার হয় শুভম আগরওয়াল নামে এক কিশোরের দেহ । পুলিশ শুভমের পরিবারের লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে দু'জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ।
আরও পড়ুন: আদিবাসী ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য আসানসোলে