ETV Bharat / state

Benachiti Durgapur: বেনাচিতি বাজারে ফল বিক্রেতাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ

দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে এক ফল বিক্রেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে ৷ এই ফল বিক্রেতার নাম গোবিন্দ হালদার(55) ৷ ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ ৷

Benachiti Durgapur
বেনাচিতি বাজারে ফল বিক্রেতাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে
author img

By

Published : Sep 24, 2021, 6:30 PM IST

দুর্গাপুর, 24 সেপ্টেম্বর: দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে দীর্ঘদিন ফুটপাথে ফল বিক্রি করতেন গোবিন্দ হালদার(55) নামে এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ তিনি যখন ফলের দোকানে ছিলেন, সেই সময় স্থানীয় নিশানহাট বস্তি এলাকার এক মহিলার সঙ্গে গোবিন্দবাবুর বাদানুবাদ হয় ৷ অভিযোগ, এরপর ওই মহিলার ডাকে চার পাঁচজন যুবক এসে গোবিন্দ হালদারকে বেধড়ক মারধর করে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দুর্গাপুর এ-জোন ফাঁড়ির পুলিশ ৷ গোবিন্দ হালদারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের কথায়, গোবিন্দ হালদার একজন পরোপকারী মানুষ ছিলেন। শুধু তাই নয়, বেনাচিতি বাজারে ওই এলাকায় কোনও জ্যাম হলে গোবিন্দ হালদারকে দেখা যেত ব্যবসা ছেড়ে ট্রাফিক পুলিশের কাজ করতে। সহজ-সরল একজন সামান্য ফল ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্তে নেমেছে ৷ গোবিন্দ হালদারের ছোট ভাই বামদেব হালদার বলেন, ‘‘আমরা আউসগ্রামের বাসিন্দা। আমি পুলিশের কাছ থেকে আমার দাদার মৃত্যুর খবর জানতে পারি। স্থানীয়দের কাছে জানতে পারি আমার দাদাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা চাই প্রকৃত সত্য উন্মোচিত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’’ স্থানীয় উত্তরপল্লির ব্যবসায়ী অজয় ধীবর একই দাবি জানান। পাশাপাশি অজয়বাবুর দাবি, বেনাচিতি বাজারের ব্যবসায়ীরা আজ আতঙ্কিত। এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনেকেই ৷ প্রশাসনের কাছে তাঁদের দাবি, এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম পুরুষ ছিলেন এই গোবিন্দ হালদার। তার মৃত্যুতে তার পরিবারের সবাই দিশেহারা।

বেনাচিতি বাজারে ফল বিক্রেতাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে

আরও পড়ুন: বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় বাইক আরোহীর থেকে উদ্ধার 25 আগ্নেয়াস্ত্র

বেনাচিতি উত্তরপল্লি এলাকায় গোবিন্দ হালদারের মৃত্যুর পর থেকেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরোপকারী এই মানুষটির মৃত্যু কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ । শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে গোবিন্দ হালদারের মৃত্যুর আসল কারণ।

দুর্গাপুর, 24 সেপ্টেম্বর: দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে দীর্ঘদিন ফুটপাথে ফল বিক্রি করতেন গোবিন্দ হালদার(55) নামে এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ তিনি যখন ফলের দোকানে ছিলেন, সেই সময় স্থানীয় নিশানহাট বস্তি এলাকার এক মহিলার সঙ্গে গোবিন্দবাবুর বাদানুবাদ হয় ৷ অভিযোগ, এরপর ওই মহিলার ডাকে চার পাঁচজন যুবক এসে গোবিন্দ হালদারকে বেধড়ক মারধর করে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দুর্গাপুর এ-জোন ফাঁড়ির পুলিশ ৷ গোবিন্দ হালদারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের কথায়, গোবিন্দ হালদার একজন পরোপকারী মানুষ ছিলেন। শুধু তাই নয়, বেনাচিতি বাজারে ওই এলাকায় কোনও জ্যাম হলে গোবিন্দ হালদারকে দেখা যেত ব্যবসা ছেড়ে ট্রাফিক পুলিশের কাজ করতে। সহজ-সরল একজন সামান্য ফল ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্তে নেমেছে ৷ গোবিন্দ হালদারের ছোট ভাই বামদেব হালদার বলেন, ‘‘আমরা আউসগ্রামের বাসিন্দা। আমি পুলিশের কাছ থেকে আমার দাদার মৃত্যুর খবর জানতে পারি। স্থানীয়দের কাছে জানতে পারি আমার দাদাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা চাই প্রকৃত সত্য উন্মোচিত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’’ স্থানীয় উত্তরপল্লির ব্যবসায়ী অজয় ধীবর একই দাবি জানান। পাশাপাশি অজয়বাবুর দাবি, বেনাচিতি বাজারের ব্যবসায়ীরা আজ আতঙ্কিত। এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনেকেই ৷ প্রশাসনের কাছে তাঁদের দাবি, এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম পুরুষ ছিলেন এই গোবিন্দ হালদার। তার মৃত্যুতে তার পরিবারের সবাই দিশেহারা।

বেনাচিতি বাজারে ফল বিক্রেতাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে

আরও পড়ুন: বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় বাইক আরোহীর থেকে উদ্ধার 25 আগ্নেয়াস্ত্র

বেনাচিতি উত্তরপল্লি এলাকায় গোবিন্দ হালদারের মৃত্যুর পর থেকেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরোপকারী এই মানুষটির মৃত্যু কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ । শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে গোবিন্দ হালদারের মৃত্যুর আসল কারণ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.