আসানসোল, 26 নভেম্বর: 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের (Bengal Assembly Elections 2021) আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) ব্রিগেড সম্মেলন থেকে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) ৷ তার পর থেকে ভোটের প্রচারে হোক, কিংবা দলের কর্মিসভা, বারবার দেখা গিয়েছে এই অভিনেতাকে ৷ কিন্তু অধুনা গেরুয়া শিবিরে থাকলেও শনিবার আসানসোল বসে তিনি জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ই (Mamata Banerjee) তাঁর রাজনৈতিক গুরু ৷ একই সঙ্গে স্পষ্ট করে দিলেন যে বিজেপির সঙ্গে না থাকলেও তাঁর টিআরপি কমবে না ৷
দিন কয়েক আগে বাংলায় এসেছেন মিঠুন ৷ শুরু করেছেন জেলা সফর ৷ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া হয়ে শনিবার তিনি পৌঁছান আসানসোলে ৷ সেখানে মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের ৷ সেখানে নানা প্রশ্নের মাঝে কিছু অপ্রিয় প্রশ্নেরও মুখোমুখি হতে হয় ৷ তার মধ্যে অন্যতম হল সিপিএম (CPIM) থেকে তৃণমূল হয়ে বিজেপি, বারবার তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় বদলেছে, সেই তাঁকে প্রায়ই কটাক্ষ করে তৃণমূল ও বামেরা ৷
এই প্রশ্নের উত্তর মিঠুন সরাসরি দেননি ৷ বরং কৌশলে উদাহরণ হিসেবে হাজির করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ৷ বলেছেন, "আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন বড় ফলোয়ার । উনিই আমার রাজনৈতিক গুরু । উনি রাজনৈতিক জীবনে যা যা করেছেন, আমিও তাই তাই করেছি । উনি কংগ্রেস করতেন । আমিও কংগ্রেস করতাম । ছাত্র জীবনে আমি ছাত্র পরিষদ করেছি । এরপর আমি একটি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হই, মুখে বলছি না । উনিও তাই করেছেন । সিপিএমকে হারাতে ওদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন । উনি দশ বছর বিজেপি করেছেন, আমি এখন বিজেপিতে । সুতরাং উনি যা যা করেছেন আমিও তাই করছি ।’’
এদিকে বিজেপির হয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর প্রচারকে রোজই কটাক্ষ করছে তৃণমূল ৷ দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও (Kunal Ghosh) সম্প্রতি কটাক্ষ করেছেন মহাগুরুকে ৷ এই নিয়ে তাঁর কাছে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয় ৷ যা শুনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন ‘ফাটাকেষ্ট’ ৷ কুণালের নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, ‘‘ওই লোকগুলোর কাছ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিটা সরিয়ে নিন, ওই লোকগুলোর আর কাল থেকে কোনও পরিচয় থাকবে না । কিন্তু আমার মাথার উপর থেকে বিজেপির নাম সরে গেলেও আমার টিআরপি একই থাকবে । গোটা পৃথিবীর মানুষের কাছে আমি পরিচিত হয়ে থাকব ।’’
একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, "এলি তেলি গঙ্গারামদের মন্তব্যের আমার নাম জুড়ে টিআরপি বাড়াবেন না । ওই লোকটি মুখ্যমন্ত্রীকে সবচেয়ে কটূ ভাষায় গালাগালি করেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর হাতে একটি থালা ধরিয়ে দিয়েছেন এবং রোজ সকালে তিনি সেই থালাতে থুতু ফেলেন এবং নিজের থুতু নিজেই চাটেন ।’’
আরও পড়ুন: তৃণমূলকে উৎখাত করতে বামেদের সঙ্গে জোটে জোর সওয়াল মিঠুনের