ETV Bharat / state

৩০ সন্ত্রাসবাদীসহ ২০০ কুখ্যাত দুষ্কৃতীর তালিকা আদানপ্রদান পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড পুলিশের

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই সীমান্ত পেরিয়ে এসে দুষ্কৃতীরা যাতে এরাজ্যে বা এরাজ্য থেকেও যাতে প্রতিবেশী রাজ্যে গিয়ে নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে তাই আগেভাগেই বৈঠক সারল পুলিশ।

বৈঠক সারল পুলিশ
author img

By

Published : Mar 7, 2019, 5:50 AM IST

দুর্গাপুর, ৭ মার্চ : নির্বাচনের সময় প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা সীমান্ত পার করে এসে নির্বাচনে হিংসা ছড়ায়। এই অভিযোগ বারবার উঠেছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বীরভূম জেলায় বহিরাগত দুষ্কৃতীরা অশান্তি করেছে বলে অভিযোগ তোলে শাসকদল। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই সীমান্ত পেরিয়ে এসে দুষ্কৃতীরা যাতে এরাজ্যে বা এরাজ্য থেকেও যাতে প্রতিবেশী রাজ্যে গিয়ে নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে তাই আগেভাগেই বৈঠক সারল পুলিশ। গতকাল দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অতিথিশালায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ছিলেন IG (পশ্চিমাঞ্চল) রাজীব মিশ্রা ও ঝাড়খণ্ডের DIG (বোকারো) প্রভাত কুমার। এছাড়াও ছিলেন বোকারো, জামতাড়া, রাঁচিসহ ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলার পুলিশ আধিকারিকরা। রাজ্যের পক্ষ থেকে ছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার লক্ষীনারায়ণ মীনা, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বীরভূম জেলার পুলিশ সুপারসহ অন্য পুলিশ কর্তারা।

গতকাল বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়ে তিন ঘণ্টা চলে এই বৈঠক। সীমান্তবর্তী জেলাগুলির পুলিশ সুপাররা তাঁদের সমস্যার কথা আদানপ্রদান করেন। এছাড়াও যেসব অপরাধীদের তথ্য রয়েছে, তাদের নির্বাচনের সময় যাতে বিহার, ঝাড়খণ্ড পুলিশ নিজেদের হেপাজতে নিয়ে নেয় তা নিয়ে আলোচনা হয়। এই বৈঠকে সীমান্তঘেঁষা এলাকাগুলিতে নাকাচেকিং আরও জোরদার করার প্রসঙ্গ উঠে আসে। প্রোজেক্টারের মাধ্যমে বর্ডার এলাকাগুলি দেখিয়ে কোথা কোথা দিয়ে কীভাবে এই দুষ্কৃতীরা প্রবেশ করতে পারে তাও দেখানো হয়। আগামী লোকসভা নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করানো যায় এবং সীমান্তপার করে আসা দুষ্কৃতীরা যাতে কোনওরকম অশান্তি ছড়াতে না পারে তা নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।

undefined

বোকারোর DIG প্রভাত কুমার বলেন, "আমরা একে অপরের হাতে ২০০জন অপরাধীদের তালিকা তুলে দিলাম। এরা অনেকেই বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। অনেকেই গা ঢাকা দিয়ে আছে। ৩০ জন সন্ত্রাসবাদীও আছে এই তালিকায়। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আছে। নাকাচেকিং আরও জোরদার করা হবে। নির্বাচন দুই রাজ্যেই যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে করা যায় সেই নিয়েই এই বৈঠক।" একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন IG পশ্চিমাঞ্চল রাজীব মিশ্রা।

দুর্গাপুর, ৭ মার্চ : নির্বাচনের সময় প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা সীমান্ত পার করে এসে নির্বাচনে হিংসা ছড়ায়। এই অভিযোগ বারবার উঠেছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বীরভূম জেলায় বহিরাগত দুষ্কৃতীরা অশান্তি করেছে বলে অভিযোগ তোলে শাসকদল। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই সীমান্ত পেরিয়ে এসে দুষ্কৃতীরা যাতে এরাজ্যে বা এরাজ্য থেকেও যাতে প্রতিবেশী রাজ্যে গিয়ে নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে তাই আগেভাগেই বৈঠক সারল পুলিশ। গতকাল দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অতিথিশালায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ছিলেন IG (পশ্চিমাঞ্চল) রাজীব মিশ্রা ও ঝাড়খণ্ডের DIG (বোকারো) প্রভাত কুমার। এছাড়াও ছিলেন বোকারো, জামতাড়া, রাঁচিসহ ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলার পুলিশ আধিকারিকরা। রাজ্যের পক্ষ থেকে ছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার লক্ষীনারায়ণ মীনা, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বীরভূম জেলার পুলিশ সুপারসহ অন্য পুলিশ কর্তারা।

গতকাল বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়ে তিন ঘণ্টা চলে এই বৈঠক। সীমান্তবর্তী জেলাগুলির পুলিশ সুপাররা তাঁদের সমস্যার কথা আদানপ্রদান করেন। এছাড়াও যেসব অপরাধীদের তথ্য রয়েছে, তাদের নির্বাচনের সময় যাতে বিহার, ঝাড়খণ্ড পুলিশ নিজেদের হেপাজতে নিয়ে নেয় তা নিয়ে আলোচনা হয়। এই বৈঠকে সীমান্তঘেঁষা এলাকাগুলিতে নাকাচেকিং আরও জোরদার করার প্রসঙ্গ উঠে আসে। প্রোজেক্টারের মাধ্যমে বর্ডার এলাকাগুলি দেখিয়ে কোথা কোথা দিয়ে কীভাবে এই দুষ্কৃতীরা প্রবেশ করতে পারে তাও দেখানো হয়। আগামী লোকসভা নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করানো যায় এবং সীমান্তপার করে আসা দুষ্কৃতীরা যাতে কোনওরকম অশান্তি ছড়াতে না পারে তা নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।

undefined

বোকারোর DIG প্রভাত কুমার বলেন, "আমরা একে অপরের হাতে ২০০জন অপরাধীদের তালিকা তুলে দিলাম। এরা অনেকেই বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। অনেকেই গা ঢাকা দিয়ে আছে। ৩০ জন সন্ত্রাসবাদীও আছে এই তালিকায়। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আছে। নাকাচেকিং আরও জোরদার করা হবে। নির্বাচন দুই রাজ্যেই যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে করা যায় সেই নিয়েই এই বৈঠক।" একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন IG পশ্চিমাঞ্চল রাজীব মিশ্রা।

Intro:নির্বাচনের সময় এরাজ্যের প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে সশস্ত্র দুষ্কৃতিরা সীমান্ত পার করে এসে নির্বাচনে হিংসা ছড়ায়।এমন অভিযোগ বারেবারেই উঠেছে।গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বীরভূম জেলায় বহিরাগত দুষ্কৃতিরা অশান্তি করেছে এমন অভিযোগ রাজ্যের বর্তমান শাসকদলের পক্ষ থেকেও জানানো হয়।সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তাই এবার সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে এসে সশস্ত্র দুষ্কৃতিরা যাতে এরাজ্যে বা এরাজ্য থেকেও যাতে করে কেও প্রতিবেশী রাজ্যগুলির নির্বাচনে ব্যাঘাত না ঘটাতে পারে তার জন্য বুধবার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অতিথিশালায় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়।এই বৈঠকে ঝাড়খণ্ডের ডি আই জি বোকারো প্রভাত কুমার এবং এরাজ্যের আই জি পশ্চিমাঞ্চল রাজীব মিশ্র পৌরহিত্য করেন।যে যে জেলাগুলির সাথে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকা মিশেছে সেই সেই জেলার পুলিশ সুপার দের সাথে বৈঠক করেন আই জি (পশ্চিমাঞ্চল)রাজীব মিশ্রা এবং ডি আই জি বোকারো প্রভাত কুমার।বৈঠকে বোকারো,জামতাড়া,রাঁচী সহ ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলার পুলিশ আধিকারিকরা ছাড়াও এরাজ্যের আসানসোল -দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার লক্ষীনারায়ন মিনা,ঝাড়্গ্রাম,দুই মেদিনীপুর,পুরুলিয়া ও বীরভূম জেলার পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারা উপস্তিত ছিলেন।এদিন দুপুর ১২ টায় এই বৈঠক শুরু হয় শেষ হয় দুপুর তিনটে নাগাদ।সীমান্তবর্তী জেলাগুলির পুলিশ সুপাররা তাদের সমস্যার কথা আদানপ্রদান করেন।এছাড়াও যেসব দাগী অপরাধীদের তথ্য রয়েছে তাদের কে নির্বাচনের সময় যাতে বিহার,ঝাড়খন্ড পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয় তা নিয়ে আলোচনা হয়।এই বৈঠকে সীমান্তঘেঁষা এলাকা গুলিতে নাকাচেকিং আরো জোরদার করার প্রসঙ্গ উঠে আসে।প্রোজেক্টারের মাধ্যমে বর্ডার এলাকাগুলি দেখিয়ে কোথা কোথা দিয়ে কিভাবে এই দুষ্কৃতিকারীরা প্রবেশ করতে পারে তাও দেখানো হয়।আগামী লোকসভা নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করানো যায় এবং তাতে সীমান্তপার করে আসা দুষ্কৃতিকারীরা যাতে কোনওরকম অশান্তি ছড়াতে না পারে তার জন্য এই ম্যারাথন বৈঠক দীর্ঘক্ষন চলে।।বোকারোর ডি আই জি প্রভাত কুমার বলেন "" আমরা একে অপরের হাতে ২০০ জন কুখ্যাত অপরাধীদের তালিকা তুলে দিলাম।এরা অনেকেই বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। এরা কেও পলাতক,কেও বা গা ঢাকা দিয়ে আছে।মাওবাদী সংগঠনের সাথে এবং ৩০ জন উগ্রপন্থী ও আছে এই তালিকায়। সীমান্তবর্তী এলাকা গুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আছে।নাকাচেকিং আরো জোরদার করা হবে।নির্বাচন দুই রাজ্যেই যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে করা যায় সেই নিরিখে এই বৈঠক। "" একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন আই জি পশ্চিমাঞ্চল রাজীব মিশ্রা।গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এরাজ্যের বীরভূম জেলায় ঝাড়খন্ড থেকে লোক এসে নির্বাচন কে নিয়ন্ত্রন করে এবং একজনকে খুন করাও হয়।যা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল এর অভিযোগ ছিল বিরোধী বিজেপি র হয়ে ঝাড়খন্ডের লোকেরা এসে নির্বাচনে অশান্তি বাঁধায় এবং পালটা এই একই অভিযোগ কোথাও কোথাও এরাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে।এছাড়াও পুরুলিয়া জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এই অভিযোগ উঠেছিল।এমন প্রশ্ন শোনার পরেই উত্তর না দিয়ে চলে যান আই জি পশ্চিমাঞ্চল রাজীব মিশ্রা।লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষনা দ্রুত হবে।কিন্তু তার আগেই দুই রাজ্যের পুলিশকর্তারা চাইছে অপরাধীদের তালিকা একে অপরকে দিয়ে তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নিতে।কারন তা না হলে কমিশনের কড়া ধমক খেতে হবে এমনটাও যে এবার আশঙ্কা পুলিশ কর্তাদের।।Body:নির্বাচনের সময় এরাজ্যের প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে সশস্ত্র দুষ্কৃতিরা সীমান্ত পার করে এসে নির্বাচনে হিংসা ছড়ায়।এমন অভিযোগ বারেবারেই উঠেছে।গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বীরভূম জেলায় বহিরাগত দুষ্কৃতিরা অশান্তি করেছে এমন অভিযোগ রাজ্যের বর্তমান শাসকদলের পক্ষ থেকেও জানানো হয়।সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তাই এবার সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে এসে সশস্ত্র দুষ্কৃতিরা যাতে এরাজ্যে বা এরাজ্য থেকেও যাতে করে কেও প্রতিবেশী রাজ্যগুলির নির্বাচনে ব্যাঘাত না ঘটাতে পারে তার জন্য বুধবার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অতিথিশালায় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়।এই বৈঠকে ঝাড়খণ্ডের ডি আই জি বোকারো প্রভাত কুমার এবং এরাজ্যের আই জি পশ্চিমাঞ্চল রাজীব মিশ্র পৌরহিত্য করেন।যে যে জেলাগুলির সাথে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকা মিশেছে সেই সেই জেলার পুলিশ সুপার দের সাথে বৈঠক করেন আই জি (পশ্চিমাঞ্চল)রাজীব মিশ্রা এবং ডি আই জি বোকারো প্রভাত কুমার।বৈঠকে বোকারো,জামতাড়া,রাঁচী সহ ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলার পুলিশ আধিকারিকরা ছাড়াও এরাজ্যের আসানসোল -দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার লক্ষীনারায়ন মিনা,ঝাড়্গ্রাম,দুই মেদিনীপুর,পুরুলিয়া ও বীরভূম জেলার পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারা উপস্তিত ছিলেন।এদিন দুপুর ১২ টায় এই বৈঠক শুরু হয় শেষ হয় দুপুর তিনটে নাগাদ।সীমান্তবর্তী জেলাগুলির পুলিশ সুপাররা তাদের সমস্যার কথা আদানপ্রদান করেন।এছাড়াও যেসব দাগী অপরাধীদের তথ্য রয়েছে তাদের কে নির্বাচনের সময় যাতে বিহার,ঝাড়খন্ড পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয় তা নিয়ে আলোচনা হয়।এই বৈঠকে সীমান্তঘেঁষা এলাকা গুলিতে নাকাচেকিং আরো জোরদার করার প্রসঙ্গ উঠে আসে।প্রোজেক্টারের মাধ্যমে বর্ডার এলাকাগুলি দেখিয়ে কোথা কোথা দিয়ে কিভাবে এই দুষ্কৃতিকারীরা প্রবেশ করতে পারে তাও দেখানো হয়।আগামী লোকসভা নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করানো যায় এবং তাতে সীমান্তপার করে আসা দুষ্কৃতিকারীরা যাতে কোনওরকম অশান্তি ছড়াতে না পারে তার জন্য এই ম্যারাথন বৈঠক দীর্ঘক্ষন চলে।।বোকারোর ডি আই জি প্রভাত কুমার বলেন "" আমরা একে অপরের হাতে ২০০ জন কুখ্যাত অপরাধীদের তালিকা তুলে দিলাম।এরা অনেকেই বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। এরা কেও পলাতক,কেও বা গা ঢাকা দিয়ে আছে।মাওবাদী সংগঠনের সাথে এবং ৩০ জন উগ্রপন্থী ও আছে এই তালিকায়। সীমান্তবর্তী এলাকা গুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আছে।নাকাচেকিং আরো জোরদার করা হবে।নির্বাচন দুই রাজ্যেই যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে করা যায় সেই নিরিখে এই বৈঠক। "" একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন আই জি পশ্চিমাঞ্চল রাজীব মিশ্রা।গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এরাজ্যের বীরভূম জেলায় ঝাড়খন্ড থেকে লোক এসে নির্বাচন কে নিয়ন্ত্রন করে এবং একজনকে খুন করাও হয়।যা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল এর অভিযোগ ছিল বিরোধী বিজেপি র হয়ে ঝাড়খন্ডের লোকেরা এসে নির্বাচনে অশান্তি বাঁধায় এবং পালটা এই একই অভিযোগ কোথাও কোথাও এরাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে।এছাড়াও পুরুলিয়া জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এই অভিযোগ উঠেছিল।এমন প্রশ্ন শোনার পরেই উত্তর না দিয়ে চলে যান আই জি পশ্চিমাঞ্চল রাজীব মিশ্রা।লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষনা দ্রুত হবে।কিন্তু তার আগেই দুই রাজ্যের পুলিশকর্তারা চাইছে অপরাধীদের তালিকা একে অপরকে দিয়ে তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নিতে।কারন তা না হলে কমিশনের কড়া ধমক খেতে হবে এমনটাও যে এবার আশঙ্কা পুলিশ কর্তাদের।।Conclusion:নির্বাচনের সময় এরাজ্যের প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে সশস্ত্র দুষ্কৃতিরা সীমান্ত পার করে এসে নির্বাচনে হিংসা ছড়ায়।এমন অভিযোগ বারেবারেই উঠেছে।গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বীরভূম জেলায় বহিরাগত দুষ্কৃতিরা অশান্তি করেছে এমন অভিযোগ রাজ্যের বর্তমান শাসকদলের পক্ষ থেকেও জানানো হয়।সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তাই এবার সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে এসে সশস্ত্র দুষ্কৃতিরা যাতে এরাজ্যে বা এরাজ্য থেকেও যাতে করে কেও প্রতিবেশী রাজ্যগুলির নির্বাচনে ব্যাঘাত না ঘটাতে পারে তার জন্য বুধবার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অতিথিশালায় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়।এই বৈঠকে ঝাড়খণ্ডের ডি আই জি বোকারো প্রভাত কুমার এবং এরাজ্যের আই জি পশ্চিমাঞ্চল রাজীব মিশ্র পৌরহিত্য করেন।যে যে জেলাগুলির সাথে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকা মিশেছে সেই সেই জেলার পুলিশ সুপার দের সাথে বৈঠক করেন আই জি (পশ্চিমাঞ্চল)রাজীব মিশ্রা এবং ডি আই জি বোকারো প্রভাত কুমার।বৈঠকে বোকারো,জামতাড়া,রাঁচী সহ ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলার পুলিশ আধিকারিকরা ছাড়াও এরাজ্যের আসানসোল -দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার লক্ষীনারায়ন মিনা,ঝাড়্গ্রাম,দুই মেদিনীপুর,পুরুলিয়া ও বীরভূম জেলার পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারা উপস্তিত ছিলেন।এদিন দুপুর ১২ টায় এই বৈঠক শুরু হয় শেষ হয় দুপুর তিনটে নাগাদ।সীমান্তবর্তী জেলাগুলির পুলিশ সুপাররা তাদের সমস্যার কথা আদানপ্রদান করেন।এছাড়াও যেসব দাগী অপরাধীদের তথ্য রয়েছে তাদের কে নির্বাচনের সময় যাতে বিহার,ঝাড়খন্ড পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয় তা নিয়ে আলোচনা হয়।এই বৈঠকে সীমান্তঘেঁষা এলাকা গুলিতে নাকাচেকিং আরো জোরদার করার প্রসঙ্গ উঠে আসে।প্রোজেক্টারের মাধ্যমে বর্ডার এলাকাগুলি দেখিয়ে কোথা কোথা দিয়ে কিভাবে এই দুষ্কৃতিকারীরা প্রবেশ করতে পারে তাও দেখানো হয়।আগামী লোকসভা নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করানো যায় এবং তাতে সীমান্তপার করে আসা দুষ্কৃতিকারীরা যাতে কোনওরকম অশান্তি ছড়াতে না পারে তার জন্য এই ম্যারাথন বৈঠক দীর্ঘক্ষন চলে।।বোকারোর ডি আই জি প্রভাত কুমার বলেন "" আমরা একে অপরের হাতে ২০০ জন কুখ্যাত অপরাধীদের তালিকা তুলে দিলাম।এরা অনেকেই বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। এরা কেও পলাতক,কেও বা গা ঢাকা দিয়ে আছে।মাওবাদী সংগঠনের সাথে এবং ৩০ জন উগ্রপন্থী ও আছে এই তালিকায়। সীমান্তবর্তী এলাকা গুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আছে।নাকাচেকিং আরো জোরদার করা হবে।নির্বাচন দুই রাজ্যেই যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে করা যায় সেই নিরিখে এই বৈঠক। "" একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন আই জি পশ্চিমাঞ্চল রাজীব মিশ্রা।গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এরাজ্যের বীরভূম জেলায় ঝাড়খন্ড থেকে লোক এসে নির্বাচন কে নিয়ন্ত্রন করে এবং একজনকে খুন করাও হয়।যা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল এর অভিযোগ ছিল বিরোধী বিজেপি র হয়ে ঝাড়খন্ডের লোকেরা এসে নির্বাচনে অশান্তি বাঁধায় এবং পালটা এই একই অভিযোগ কোথাও কোথাও এরাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে।এছাড়াও পুরুলিয়া জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এই অভিযোগ উঠেছিল।এমন প্রশ্ন শোনার পরেই উত্তর না দিয়ে চলে যান আই জি পশ্চিমাঞ্চল রাজীব মিশ্রা।লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষনা দ্রুত হবে।কিন্তু তার আগেই দুই রাজ্যের পুলিশকর্তারা চাইছে অপরাধীদের তালিকা একে অপরকে দিয়ে তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নিতে।কারন তা না হলে কমিশনের কড়া ধমক খেতে হবে এমনটাও যে এবার আশঙ্কা পুলিশ কর্তাদের।।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.