দুর্গাপুর, ৭ মার্চ : নির্বাচনের সময় প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা সীমান্ত পার করে এসে নির্বাচনে হিংসা ছড়ায়। এই অভিযোগ বারবার উঠেছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বীরভূম জেলায় বহিরাগত দুষ্কৃতীরা অশান্তি করেছে বলে অভিযোগ তোলে শাসকদল। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই সীমান্ত পেরিয়ে এসে দুষ্কৃতীরা যাতে এরাজ্যে বা এরাজ্য থেকেও যাতে প্রতিবেশী রাজ্যে গিয়ে নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে তাই আগেভাগেই বৈঠক সারল পুলিশ। গতকাল দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অতিথিশালায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ছিলেন IG (পশ্চিমাঞ্চল) রাজীব মিশ্রা ও ঝাড়খণ্ডের DIG (বোকারো) প্রভাত কুমার। এছাড়াও ছিলেন বোকারো, জামতাড়া, রাঁচিসহ ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলার পুলিশ আধিকারিকরা। রাজ্যের পক্ষ থেকে ছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার লক্ষীনারায়ণ মীনা, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বীরভূম জেলার পুলিশ সুপারসহ অন্য পুলিশ কর্তারা।
গতকাল বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়ে তিন ঘণ্টা চলে এই বৈঠক। সীমান্তবর্তী জেলাগুলির পুলিশ সুপাররা তাঁদের সমস্যার কথা আদানপ্রদান করেন। এছাড়াও যেসব অপরাধীদের তথ্য রয়েছে, তাদের নির্বাচনের সময় যাতে বিহার, ঝাড়খণ্ড পুলিশ নিজেদের হেপাজতে নিয়ে নেয় তা নিয়ে আলোচনা হয়। এই বৈঠকে সীমান্তঘেঁষা এলাকাগুলিতে নাকাচেকিং আরও জোরদার করার প্রসঙ্গ উঠে আসে। প্রোজেক্টারের মাধ্যমে বর্ডার এলাকাগুলি দেখিয়ে কোথা কোথা দিয়ে কীভাবে এই দুষ্কৃতীরা প্রবেশ করতে পারে তাও দেখানো হয়। আগামী লোকসভা নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করানো যায় এবং সীমান্তপার করে আসা দুষ্কৃতীরা যাতে কোনওরকম অশান্তি ছড়াতে না পারে তা নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।
বোকারোর DIG প্রভাত কুমার বলেন, "আমরা একে অপরের হাতে ২০০জন অপরাধীদের তালিকা তুলে দিলাম। এরা অনেকেই বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। অনেকেই গা ঢাকা দিয়ে আছে। ৩০ জন সন্ত্রাসবাদীও আছে এই তালিকায়। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আছে। নাকাচেকিং আরও জোরদার করা হবে। নির্বাচন দুই রাজ্যেই যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে করা যায় সেই নিয়েই এই বৈঠক।" একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন IG পশ্চিমাঞ্চল রাজীব মিশ্রা।