আসানসোল, 6 জুন: বালাসোরে জোড়া রেল দুর্ঘটনার পর ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে মানুষজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসে রক্তদান করার জন্য লাইন দিয়েছেন । একদিকে সারিবদ্ধ মৃতদেহের ছবি । তারই পাশে মানবিকতার ডাকে মানুষের এই রক্তদান করার ছবি স্বস্তি দিচ্ছে দেশবাসীকে । কিন্তু শুধু বিপদের সময় নয় ৷ অন্য সময়েও রক্তদানের ক্ষেত্রে আরও বেশি মানুষকে সচেতন করতে হবে । আর সেই উদ্দেশে 21 হাজার কিলোমিটার হেঁটে চলেছেন দিল্লির কিরণ ভার্মা ।
সোমবার তিনি এ রাজ্যে এসে আসানসোল ছুঁয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে যাত্রা করেছেন । 2021 সালের 28 ডিসেম্বর কেরলের তিরুবনন্তপুরম থেকে হেঁটে যাত্রা শুরু করেছিলেন কিরণ । একটাই উদ্দেশ্য তাঁর, মানুষজনকে রক্তদান নিয়ে সচেতন করা । এখনও পর্যন্ত গত দেড় বছরে 13 হাজার 200 কিলোমিটার পথ হেঁটেছেন তিনি । মোট 12টি রাজ্য পেরিয়ে তিনি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন ৷ কিরণ ভার্মা গত রবিবার ঝাড়খণ্ড থেকে ডুবুরডি চেকপোস্ট হয়ে আসানসোলে আসেন ।
এরপর আসানসোলে একটি বৃহৎ রক্তদান শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তিনি । সেখানে মোট 1300 বোতল রক্ত সংগ্রহ হয় । সেই রক্তের মধ্যে বেশ অনেকটা অংশ বালাসোরে পৌঁছনোর তোড়জোড় চলছে । সোমবার বিকেলে কিরণ উত্তরবঙ্গের দিকে যাত্রা শুরু করেছেন । মালদা হয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত যাওয়া তাঁর লক্ষ্য । মোট 21 হাজার কিলোমিটার হেঁটে তিনি মানুষজনকে রক্তদানে সচেতন করবেন বলে জানিয়েছেন ।
আরও পড়ুন: যোগাসন ও পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে দেশজুড়ে পদযাত্রা কর্ণাটকের কৃষ্ণার
কিরণ ভার্মা বলেন, "আমি দিল্লির বাসিন্দা । কিন্তু আমি এই যাত্রা শুরু করেছিলাম কেরল থেকে । সেখান থেকে তামিলনাড়ু, পণ্ডিচেরি, গোয়া, মহারাষ্ট্র কর্ণাটক, দাদারনগর, দমন, দিউ, গুজরাত, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা হয়ে পশ্চিমবঙ্গে এসেছি ।" তাঁর দাবি, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রতিদিন 12 হাজার মানুষের মৃত্যু হয় রক্ত সংকটে । দেশে 50 লক্ষ রক্তদাতার প্রয়োজন । আর তাই মানুষকে সচেতন করতেই তাঁর এই পদযাত্রা । কিরণের লক্ষ্য দেশে একজনও যেন রক্তের অভাবে মারা না যায় । দার্জিলিং থেকে উত্তর পূর্ব ভারতের দিকে রওনা দেবেন তিনি ।