আসানসোল, 29 মার্চ : দেশজুড়ে চলছে লকডাউন ৷ বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ । স্বাভাবিকভাবেই জিম, প্রাতঃভ্রমণ বা সান্ধ্যকালীন ভ্রমণ, সবই বন্ধ । খাওয়া-দাওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে পারছেন না অনেকেই । এই অবস্থায় সুস্থ থাকবেন কী করে? ঘরে বসে সুস্থ থাকার ফর্মুলা জানাচ্ছেন আসানসোলের জিম, জুম্বা প্রশিক্ষক ও ডায়েটিশিয়ানরা ।
আসানসোলের জুম্বা প্রশিক্ষক রুচিকা ডাং সাকুজা, জানালেন সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললে বাড়িতে বসেই সুস্থ থাকা যায় । তাঁর কথায়, সকালে উঠে সুর্য নমস্কারের যে 12টি আসন রয়েছে সেইগুলি করে নিতে হবে নিয়ম করে । তার সঙ্গেই সাধারণ কিছু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম ও প্রাণায়াম করতে হবে । এই লকডাউনের সময় রুচিকা প্রায় 200 জন শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে সুস্থ থাকার পাঠ দিচ্ছেন । তবে সুর্য নমস্কারের আসন বা ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম যে কোনও অনলাইন সাইটেই পাওয়া যায়, একবার দেখে নিলেই শেখা যায় বলে রুচিকার পরামর্শ । তাঁর মতে সাধারণ ব্যায়ামের পাশপাশি ভালো স্বাস্থ্য সম্মত ডায়েট মেনে চলতে হবে । এই সময় ফাইবার যুক্ত সবজি বেশি করে খেতে বলছেন রুচিকা । এতে ডায়জেস্ট সিস্টেম ভালো থাকবে । রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়বে । রুচিকার মতে পান করতে হবে প্রচুর পরিমানে জল ৷ সিনেমন ওয়াটার (Cinnamon Water) বাড়িতেই বানানো যায় । সেই প্রক্রিয়াও নেটে পাওয়া যায় ৷ এই জল খেলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে । এছাড়া শরীরের ওজন ঠিকঠাক রাখা যাবে । এই সময়ে ভিটামিন C যুক্ত ফল খেতে হবে বেশি করে । এছাড়া অর্ধেক লেবু গ্লাসে দিয়ে সেই জল পান করতে পারেন । অনান্য ফল কেটে এক গ্লাস জলে দিয়ে “ইনফিউসড ওয়াটার” তৈরি করে খাওয়া যায় । তাতেও শরীরের বাড়তি ওজন কমবে ও সারাদিন ফ্রেস থাকা যাবে ।
আসানসোলের একটি জিমের প্রশিক্ষক তারক কুণ্ডু জানাচ্ছেন, এই সময় যারা বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না তাদের জন্য স্কিপিং সবচেয়ে উপকারি এক্সারসাইজ । বাড়িতে সামান্য একটু হাঁটাহাটি করার পর স্কিপিং করতে হবে অন্তত 10মিনিট ৷ এই প্রক্রিয়া সারাদিনে বারবার করে যেতে হবে ৷ এছাড়া ফ্লোর এক্সারসাইজ করা যেতে পারে । বিভিন্ন ফ্লোর এক্সারসাইজ অনলাইনে পাওয়া যায় । সেগুলি দেখে নিয়মিত অনুশীলন করা যেতে পারে ৷
প্রত্যহ কিছু ব্যায়মের সঙ্গে নিয়ম করে মেডিটেশন করলেও মনে প্রচুর পজ়িটিভ এনার্জি আসবে, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের । এই সময় চারিদিকে গুজব ছড়াচ্ছে ৷ সেই সব গুজবে কান না দিয়ে, ভয় না পেয়ে, নিজের মত করে মেডিটেশন করতে হবে ৷ আধঘণ্টা মেডিটেশন করলে মন থেকে আতঙ্ক দূর হবে । মেডিটেশন বা ধ্যানের সঙ্গে প্রাণায়ম করা ভালো । এর ফলে প্রচুর পরিমানে অক্সিজেন শরীরে যায় । অনলাইন সাইটে দেখেও প্রাণায়াম শেখা যায় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের ।