আসানসোল, ২১ অক্টোবর: রহস্যজনকভাবে দামোদরে তলিয়ে গেল তিন নাবালিকা। ঘটনা কুলটির চিনাকুড়ি এলাকার৷ স্থানীয় এক বাসিন্দার তৎপরতায় একজনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে৷
জানা গিয়েছে, চিনাকুড়ি লাইনপাড়া এলাকার বাসিন্দা মিথিলেশ ঠাকুরকে দেখা যায় তাঁর তিন কন্যাসন্তানকে নিয়ে দামোদর নদীর দিকে যেতে। ওই তিন নাবালিকার নাম পিঙ্কি কুমারী(১২), লক্ষ্মী কুমারী(৬) ও চাঁদনি কুমারী(২)। অভিযোগ, তিন সন্তানকে নিয়ে তাদের বাবা দামোদরে নেমে সন্তানদের জলে ফেলে দেন৷ পাম্প হাউসের কর্মী রাজকুমার চৌধুরী বলেন, "আমি দেখি ওই ব্যক্তি তিন নাবালিকাকে নিয়ে নদীতে নেমে তাঁর বুক জল অবধি গিয়ে নাবালিকাদের ভাসিয়ে দেন। দেখতে পেয়েই জলে ঝাঁপ দিই। বড় মেয়েটিকে উদ্ধার করতে পারি। কিন্তু বাকি দুজনকে পারিনি।"
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় মিথিলেশকে। মিথিলেশের বড় মেয়ে পিঙ্কিকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজনের খোঁজে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের নামানো হলেও বিকেল অবধি তাদের খোঁজ মেলেনি।
এদিকে, অভিযোগ উঠলেও ঘটনার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, আটক মিথিলেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা হচ্ছে সত্যিই তিনি তাঁর সন্তানদের দামোদরে ফেলে দেন কিনা৷ পুলিশকে পিঙ্কির সুস্থ হয়ে ওঠা পর্যন্তও অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কারণ, এই ঘটনায় পিঙ্কির বয়ান গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে৷