দুর্গাপুর, 9 অক্টোবর: হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের দানে গ্রামে গড়ে উঠল লক্ষ্মীর মন্দির । শুধু তাই নয়, উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ একযোগে মেতে উঠেছেন ধনদেবীর আরাধনায় (Lakshmi Puja) । এমনই সম্প্রীতির দৃশ্য দেখা গিয়েছে লাউদোহার তিলাবনি গ্রামে ।
ধর্মের বিভেদ ভুলে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আগেই দেবীর মন্দির স্থাপন করেছে ৷ এর আগে একত্রিতভাবে চাঁদা দিয়ে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিলেন এই গ্রামেই । এবার ধনদেবীর আরাধনাতেও হিন্দু-মুসলিম সকলকেই হাত লাগাতে দেখা গিয়েছে । পুজোর কাজে হাত লাগিয়েছেন সৈয়দ মইনুদ্দিন হোসেন, তাপস বাউড়িরা (Communal Harmony) ।
গত 8 বছর ধরে এই গ্রামে সর্বজনীনভাবে লক্ষ্মীপুজো হয়ে আসছে । মণ্ডপ করে এতদিন করা হত ধনদেবীর আরাধনা ৷ ছিল না কোনও মন্দির । আর্থিক সংকটের জেরে মন্দির নির্মাণও করতে পারছিলেন না এলাকাবাসীরা । শেষমেষ একযোগে চাঁদা তুলে করে শুরু হয় লক্ষ্মীমন্দির নির্মাণ ।
আরও পড়ুন: ধনদেবীর আরাধনায় 'লক্ষ্মীছাড়া' বাজার, দামের আগুনে হাত পুড়ছে আম-আদমির
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আগের দিনে উদ্বোধন হয় মন্দিরের । উদ্বোধন করেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুজিত মুখোপাধ্যায় । লক্ষ্মীপুজোর সকাল থেকে হিন্দু-মুসলিম সকলেই আনন্দে মেতে উঠেছেন । জাতিভেদ ভুলে সমস্ত ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একাকার হয়ে সম্প্রীতির অনন্য নজির সৃষ্টি করলেন তিলাবনি গ্রামে ।