জামুড়িয়া,31 জানুয়ারি: ECL-র অফিসের ভিতরে এক নিরাপত্তারক্ষীর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হল৷ ঘটনাস্থান থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করে জামুড়িয়া থানার পুলিশ । ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীপুর এরিয়া অফিসে ।
আজ সকালে ECL-র শ্রীপুর এরিয়া অফিসের গাড়ির স্ট্যান্ড থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই নিরাপত্তারক্ষীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থান থেকে উদ্ধার হয় একটি আগ্নেয়াস্ত্র । মৃতের নাম মহেন্দ্রকুমার দাস (59) । তাঁর বাড়ি নিঘা এলাকায়। ECL-র নিরাপত্তা রক্ষীর মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় অফিস চত্বরে । ঘটনাস্থানে জামুরিয়া থানার পুলিশ পৌঁছলে মৃতের পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখায় । পরে ECL কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর বিক্ষোভ তুলে নেন তারা৷ জামুরিয়া থানার পুলিশ ওই নিরাপত্তারক্ষীর মৃতদেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ।
মৃত ECL নিরাপত্তারক্ষী মহেন্দ্র কুমার দাসের আর মাত্র একদিন ডিউটি বাকি ছিল । তারপরই তিনি রিটায়ার করতেন ৷ রিটায়ার হওয়ার একদিন আগেই খুন হলেন ECL-র ওই নিরাপত্তারক্ষী ।
মৃত নিরাপত্তারক্ষীর পরিবারের সদস্য বিক্রম দাস জানান " সকালে আমরা খবর পেয়ে ছুটে আসি ECL-র এরিয়া অফিসে। ECL- রএরিয়া অফিসের ভেতরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায় মহেন্দ্র দাসকে । মহেন্দ্র দাসকে খুন করা হয়েছে । কারণ বেশ কয়েকবার লোহা মাফিয়াদের হাতে আক্রান্ত হন।
মৃতের পরিবারের এক সদস্য বলেন ‘‘ECL-র এরিয়া অফিসের ক্যাম্পাসের ভিতরে কিভাবে একজন নিরাপত্তারক্ষী গুলিবিদ্ধ হয়? ECL-র লোহা চুরি করতে আসা লোহা মাফিয়াদের হাতেও তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন আগে৷ তিনি হয়তো লোহা মাফিয়াদের হাতেই খুন হয়েছেন’’ । তাদের দাবি ‘‘ পরিবারের কোনও এক সদস্যকে অবিলম্বে চাকরি দিতে হবে’’।
ECL-র এক নিরাপত্তা রক্ষী জানান ‘‘ আজ সকাল থেকে মহেন্দ্রকে চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি । পরে অফিসের ভেতরে তার গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া যায় ।
ECL-র শ্রীপুর এরিয়ার আধিকারিক এ.কে পাত্র বলেন ‘‘ ECL- র নিরাপত্তারক্ষী মহেন্দ্র দাসের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে জামুরিয়া থানার পুলিশ । তদন্তের পরেই জানা যাবে আসল সত্য । আজ শেষ দিন ছিল ওই নিরাপত্তারক্ষীর । যেহেতু উনি ডিউটি চলাকালীন মারা গিয়েছেন, সেই অনুযায়ী তাঁর পরিবারকে চাকরি দেওয়ার যে নিয়ম রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা চলছে । ECL-র অফিসের বিভিন্ন জায়গায় যে সিসি টিভি লাগানো রয়েছে, সেগুলির ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।