ETV Bharat / state

মাাইথনে উদ্ধার বিহারের অপহৃত ব্যবসায়ী, কুলটি থেকে গ্রেপ্তার 6

সঞ্জয়কে সঙ্গে নিয়ে বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে তার পার্টনাররা। কুলটির কল্যানেশ্বরী এলাকায় একটি হোটেল ভাড়া করে সঞ্জয়কে লুকিয়ে রাখে তারা । এরই মাঝে সঞ্জয়ের স্ত্রীকে ফোন করে বলা হয় ৫ লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্টে পাঠাতে। ৫০ হাজার টাকা সঞ্জয়ের স্ত্রী অপহরণকারীদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েওছিল। কিন্তু বাকি টাকা সে যোগাড় করতে পারেনি।

MAITHON
MAITHON
author img

By

Published : Aug 18, 2020, 5:44 AM IST

আসানসোল, 18 আগাস্ট : নিজেদের ব্যবসায়ীক অংশীদারকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ উঠল ৬ জনের বিরুদ্ধে। বিহারের কাইমুর জেলার বাসিন্দা সঞ্জয় কুমার সিংকে অপহরণ করে মাইথনের কাছে কুলটির কল্যানেশ্বরী এলাকায় একটি হোটেলে লুকিয়ে রাখা হয় । এর পর তার ব্যবসায়ীক অংশীদাররা তাঁর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে বলে অভিযোগ ।

সঞ্জয় সিং হোটেল থেকে কোনও রকমে পালিয়ে যায় । এরপর মাইথন ড্যামে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা CISF জওয়ানদের ঘটনাটি বলে। CISF পুলিশকে জানায়। এরপর ঝাড়খন্ডের মাইথন থানার পুলিশ কুলটি থানার পুলিশের সহায়তা নিয়ে ওই ৬ অপহরণকারীকে হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে।

জানা গেছে বিহারের বাসিন্দা সঞ্জয়বকুমার সিং পার্টনারশিপে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। টাকার ভাগ সহ নানা বিষয়ে অংশীদারদের সঙ্গে সমস্যা হয়েছিল । সঞ্জয়ের তিন লাখ টাকা তার অংশীদাররা নিয়ে নিয়েছিল বলে অভি্যোগ। গত ১৪ অগাস্ট সঞ্জয়কে টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে ডাকা হয়। এরপর একটি সুইফট গাড়িতে সঞ্জয়কে জোর করে তুলে নেয় তার পার্টনাররা ।

সঞ্জয়কে সঙ্গে নিয়ে বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে তার পার্টনাররা। কুলটির কল্যানেশ্বরী এলাকায় একটি হোটেল ভাড়া করে সঞ্জয়কে লুকিয়ে রাখে তারা । এরই মাঝে সঞ্জয়ের স্ত্রীকে ফোন করে বলা হয় ৫ লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্টে পাঠাতে। ৫০ হাজার টাকা সঞ্জয়ের স্ত্রী অপহরণকারীদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েওছিল। কিন্তু বাকি টাকা যোগাড় করতে পারেনি। অন্যদিকে স্বামীর জীবনহানির ভয়ে সে পুলিশকেও জানাতে পারেনি অপহরণের কথা।

কোনও ভাবে অপহরণকারীদের চোখ এড়িয়ে সঞ্জয় হোটেল থেকে পালিয়ে যায়। সোজা চলে যায় মাইথন ড্যামে। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা CISF জওয়ানদের পুরো বিষয়টি জানায় । CISF আধিকারিকরা ঝাড়খন্ডের মাইথন থানার খবর পাঠায় । এরপর মাইথন থানার পুলিশ কুলটি থানার কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির সাহা্য্য নিয়ে ওই হোটেলে হানা দেয়। গ্রেপ্তার করা হয় ৬ অপহরণকারীকে। ধৃতদের নাম শশীকুমার সিং, দীনেশ কুমার, বিকাশ কুমার সিং, সুধীর প্রাসাদ, অনিল কুমার এবং আশুতোষ কুমার। ধৃতরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা।

পুলিশ অপহরণে ব্যবহৃত হওয়া দুটি গাড়িও আটক করেছে। ধৃতদের মাইথন থানার পুলিশ নিয়ে যায়। তাদের ধানবাদ কোর্টে তোলা হবে। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইছে শুধুই মুক্তিপণ নাকি অন্য কোনও কারণে অপহরণ করা হয়েছিল। কুলটি থানার চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশও হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

আসানসোল, 18 আগাস্ট : নিজেদের ব্যবসায়ীক অংশীদারকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ উঠল ৬ জনের বিরুদ্ধে। বিহারের কাইমুর জেলার বাসিন্দা সঞ্জয় কুমার সিংকে অপহরণ করে মাইথনের কাছে কুলটির কল্যানেশ্বরী এলাকায় একটি হোটেলে লুকিয়ে রাখা হয় । এর পর তার ব্যবসায়ীক অংশীদাররা তাঁর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে বলে অভিযোগ ।

সঞ্জয় সিং হোটেল থেকে কোনও রকমে পালিয়ে যায় । এরপর মাইথন ড্যামে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা CISF জওয়ানদের ঘটনাটি বলে। CISF পুলিশকে জানায়। এরপর ঝাড়খন্ডের মাইথন থানার পুলিশ কুলটি থানার পুলিশের সহায়তা নিয়ে ওই ৬ অপহরণকারীকে হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে।

জানা গেছে বিহারের বাসিন্দা সঞ্জয়বকুমার সিং পার্টনারশিপে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। টাকার ভাগ সহ নানা বিষয়ে অংশীদারদের সঙ্গে সমস্যা হয়েছিল । সঞ্জয়ের তিন লাখ টাকা তার অংশীদাররা নিয়ে নিয়েছিল বলে অভি্যোগ। গত ১৪ অগাস্ট সঞ্জয়কে টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে ডাকা হয়। এরপর একটি সুইফট গাড়িতে সঞ্জয়কে জোর করে তুলে নেয় তার পার্টনাররা ।

সঞ্জয়কে সঙ্গে নিয়ে বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে তার পার্টনাররা। কুলটির কল্যানেশ্বরী এলাকায় একটি হোটেল ভাড়া করে সঞ্জয়কে লুকিয়ে রাখে তারা । এরই মাঝে সঞ্জয়ের স্ত্রীকে ফোন করে বলা হয় ৫ লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্টে পাঠাতে। ৫০ হাজার টাকা সঞ্জয়ের স্ত্রী অপহরণকারীদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েওছিল। কিন্তু বাকি টাকা যোগাড় করতে পারেনি। অন্যদিকে স্বামীর জীবনহানির ভয়ে সে পুলিশকেও জানাতে পারেনি অপহরণের কথা।

কোনও ভাবে অপহরণকারীদের চোখ এড়িয়ে সঞ্জয় হোটেল থেকে পালিয়ে যায়। সোজা চলে যায় মাইথন ড্যামে। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা CISF জওয়ানদের পুরো বিষয়টি জানায় । CISF আধিকারিকরা ঝাড়খন্ডের মাইথন থানার খবর পাঠায় । এরপর মাইথন থানার পুলিশ কুলটি থানার কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির সাহা্য্য নিয়ে ওই হোটেলে হানা দেয়। গ্রেপ্তার করা হয় ৬ অপহরণকারীকে। ধৃতদের নাম শশীকুমার সিং, দীনেশ কুমার, বিকাশ কুমার সিং, সুধীর প্রাসাদ, অনিল কুমার এবং আশুতোষ কুমার। ধৃতরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা।

পুলিশ অপহরণে ব্যবহৃত হওয়া দুটি গাড়িও আটক করেছে। ধৃতদের মাইথন থানার পুলিশ নিয়ে যায়। তাদের ধানবাদ কোর্টে তোলা হবে। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইছে শুধুই মুক্তিপণ নাকি অন্য কোনও কারণে অপহরণ করা হয়েছিল। কুলটি থানার চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশও হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.