বেঙ্গালুরু, 6 জানুয়ারি: হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস সংক্ষেপে এইচএমপিভি ৷ চিনে এই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের মাঝেই ভারতে হানা দিল ভাইরাস। বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আট মাস ও তিন মাসের দুই শিশু ৷ পাশাপাশি আমেদাবাদের একটি হাসপাতালেও এক শিশুর শরীরে হানা দিয়েছে ভাইরাস। এরপর জানা যায় কলকাতাতেও হানা দিয়েছে নয়া ভাইরাস। কিছুদিন আগে মাস পাঁচেকের ওই শিশুর চিকিৎসা হয়েছে শহরের একটি নামী হাসপাতালে।
এই তিনজনের শরীরে HMPV-র লক্ষণ দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক ৷ চিনে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবরে আতঙ্কে অনেকেই ৷ কারণ করোনা অতিমারির ঘা এখনও দগদগে বিশ্ববাসীর মনে ৷
#HealthForAll
— Ministry of Health (@MoHFW_INDIA) January 6, 2025
Update on #HMPV
.@ICMRDELHI Detects Two Cases of Human Metapneumovirus (HMPV) in Karnataka through routine surveillance
Surveillance System Robust, No Unusual Surge in ILI or SARI cases in the countryhttps://t.co/uXIgltmOdE
এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, 3 মাস বয়সি শিশুকন্যাটি বেঙ্গালুরুর ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত হয় ৷ চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ অন্যদিকে, 8 মাস বয়সি শিশুপুত্রটির গত 3 জানুয়ারি HMPV-র জন্য নমুনা পরীক্ষা করা হয় ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ৷ সে এখন সুস্থ, কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ তবে সবথেকে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, আক্রান্ত রোগীদের কারোরই আন্তর্জাতিক ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই। পাশাপাশি আমেদাবাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুর বয়স মাত্র দু'মাস।
দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে কেন্দ্র সম্প্রতি জানিয়েছে, এইচএমপিভি-র মতো ভাইরাসের অস্তিত্ব দেশে ইতিমধ্যেই রয়েছে। এখন স্বাস্থ্য পরিষেবার যা পরিকাঠামো, তাতে এই রোগের মোকাবিলা করায় কোনও সমস্যা নেই। তাই দেশবাসীকে শান্ত এবং সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পাশাপাশি, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার কথাও বলেছে তারা। কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডুরাও বলেন, "যে খবর সম্প্রতি সামনে আসছে, যে ভারতে প্রথম HMPV-র হানা ৷ একথা সত্যি নয় ৷ এটা কোনও নতুন কেস নয় ৷ ওই শিশুদের কোনও বাইরে ভ্রমণের ইতিহাস নেই ৷"
রবিবারই দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরে একটি অ্যাডভাইসরি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনও রোগীর শরীরে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন (SARI) দেখা গেলে তাঁর রক্ত এবং লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে। একইসঙ্গে প্যারাসিটামল, কফ সিরাপ, অ্যান্টিহিস্টামাইন, ব্রঙ্কোডাইলেটরসের মতো ওষুধগুলি মজুত রাখার কথা বলা হয়েছে। সন্দেহভাজন HMPV আক্রান্তদের আইসোলেশনে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।