রানাঘাট, 13 অগস্ট: যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে স্বপ্নদীপ । তার গায়ে সিগারেটের একাধিক ছ্যাঁকা-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে । প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট দেখে তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী । রবিবার নদিয়ার রানাঘাটের স্বপ্নদীপের মামার বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তিনি ৷ তাঁকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বপ্নদীপের মা । সন্তান হারা মাকে জড়িয়ে ধরেন অনন্যা চক্রবর্তী । দোষীরা যাতে উপযুক্ত শাস্তি পায় সেই আশ্বাস দেন পরিবারকে ।
অনন্যা চক্রবর্তীর কথায়, "কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে স্বপ্নদীপের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটল তাতে আমরা খুবই মর্মাহত । আমরা জানতে পারি স্বপ্নদীপের 18 বছর পূর্ণ হয়নি, তাহলে সে মাইনোরটির মধ্যে পড়ছে । সংবাদমাধ্যমের কাছে বিনীত আবেদন এখন থেকে ওর নামটি আর নেবেন না, কারণ সে একজন নাবালক ।"
অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, "একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কেন সিসি ক্যামেরা থাকবে না ? রেজিস্টার খাতা প্রতিদিন আপডেট কেন থাকবে না ? তাহলে কি হস্টেল দাদাগিরিতে পরিণত হয়েছে ? হস্টেলে যা ইচ্ছে তাই হবে ? আমরা সব রিপোর্ট কেন্দ্র সরকারের কাছে তুলে ধরব । আমরা স্বপ্নদীপের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি ৷ এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেব, সেখানে কীভাবে স্বপ্নদীপের মৃত্যু হল তার তদন্ত করব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যে উপাচার্য রয়েছে তাঁকেও আমাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে । আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব । কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে একজন নাবালকের সঙ্গে যদি এই ঘটনা ঘটে আগামী দিনে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ কী হবে ? প্রাথমিক তদন্তে এটাই পরিষ্কার যে স্বপ্নদীপের সঙ্গে ব়্যাগিং করা হয়েছে, তাকে বিবস্ত্র করে মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছে । দোষীদের অবশ্যই শাস্তি হবে, এমনকি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে ।"
অনন্যা দেবীর দাবি, ছাত্র মৃত্যুর দায় নিতে হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে । তদন্তে কোনওরকম গাফিলতি সেক্ষেত্রে বরদাস্ত নয় ।
আরও পড়ুন : 'ছেলে পরোপকারী, সব অভিযোগ মিথ্যে'; বললেন যাদবপুর ছাত্র-মৃত্যুতে ধৃত ছাত্রের মা