শান্তিপুর, 7 নভেম্বর: মন আর ইচ্ছেশক্তির জোর যদি থাকে তবে যে কোনও বাধায় অতিক্রম করা যায় ৷ একাধিকবার এই কথা প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন বয়সি মানুষ ৷ যা আমাদের সকলের কাছে অনুপ্রেরণাস্বরূপ ৷ তেমনই আর এক সাফল্যের কাহিনি রইল আজ ৷ যা আপনার, আমার, আমাদের সবার মনের জোর বাড়াতে বাধ্য ৷ আবার যারা শারীরিক উচ্চতা নিয়ে অপরের সমালোচনা করি তাদেরও জবাব দেবে এই কাহিনি ৷
উচ্চতা মাত্র তিন ফুট, কিন্তু তাতে কী ? প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে সর্বভারতীয় ইউজিসি নেট পরীক্ষায় 99.31 শতাংশ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নদিয়ার মেয়ে পিয়াসা মহলদার (Specially Able Young Lady Passed with 99 Percent Marks in UGC NET)। নদিয়ার শান্তিপুর থানার পটেশ্বরী স্ট্রিটের বাসিন্দা পিয়াসার ছোট থেকেই শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে । নিজে থেকে খুব বেশি চলাফেরা করতে পারেন না । কিন্তু তবুও শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে ছোট থেকেই পড়াশোনায় আগ্রহ ছিল তাঁর ।
মাধ্যমিক থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে পাস করেছেন । সেপ্টেম্বর মাসে কল্যাণীর এক পরীক্ষার সেন্টারে নেট পরীক্ষায় বসেন তিনি । কার্যত শুয়ে শুয়েই কম্পিউটারের মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে হয়েছে তাঁকে । পরীক্ষার ফলাফলে তিনি 99.31 শতাংশ নম্বর পেয়েছেন । তাঁর এই সাফল্য প্রকাশ্যে আসতেই গোটা শান্তিপুর জুড়ে খুশির হাওয়া ৷ সংবর্ধনা আসছে বিভিন্ন স্তর থেকে ।
তাঁর কথায়, "জেআরএফ পেয়ে নেট উত্তীর্ণ হতে পেরে আমি খুব খুশি ৷ সবার সঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছি ৷ তবে টেবলে শুয়ে শুয়ে পরীক্ষা দিয়েছি ৷ ভবিষ্যতে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করতে চাই রবীন্দ্র সাহিত্যের কোনও একটি বিষয়ে ৷ তবে এর মধ্যে কলেজ সার্ভিস কমিশনের সুযোগ এলে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবেও যোগদান করার ইচ্ছে রয়েছে ৷"
মনের জোর যে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকেও হার মানাতে পারে তা ফের প্রমাণ করলেন শান্তিপুরের পিয়াসা ৷ তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন ইচ্ছেশক্তির কাছে হার মানে সবকিছু ৷
আরও পড়ুন : নেট পরীক্ষায় বাজিমাত আফরুজার, বাংলা বিষয়ে প্রথম কোচবিহারের কন্যা