ETV Bharat / state

Old Age Allowance : আত্মীয় পৌরসভার কর্মী, শান্তিপুরে অধ্যাপকের বাবা-মা পাচ্ছেন বার্ধক্য ভাতা

ছেলে সরকারি কলেজের অধ্যাপক, বাবার নামে আগেই চালু ছিল সরকারি প্রকল্পের বার্ধক্য ভাতা (Old Age Allowance )। 59 বছরেই মায়ের নামে চালু হল বার্ধক্য ভাতা। স্বচ্ছতা নিয়ে উঠল প্রশ্ন।

Old Age Allowance
ন্তিপুরে অধ্যাপকের বাবা-মা পাচ্ছেন বার্ধক্য ভাতা
author img

By

Published : Apr 23, 2022, 12:31 PM IST

নদিয়া, 23 এপ্রিল : ছেলে সরকারি কলেজের অধ্যাপক ৷ বাবার নামে আগেই চালু ছিল সরকারি প্রকল্পের বার্ধক্য ভাতা (Old Age Allowance ) । এর সঙ্গে 59 বছরেই মায়ের নামেও শুরু বার্ধক্য ভাতা । স্বভাবতই তৃণমূল সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । ঘটনাটি শান্তিপুর পৌরসভার 21 নং ওয়ার্ডের ডক্টর বিসি রায় রোডের ৷

সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর পৌরসভার বাসিন্দা মাধাই ঘোষ নিজে বার্ধক্য ভাতার উপভোক্তা ৷ স্ত্রী আভা ঘোষ বার্ধক্য ভাতার তালিকাভুক্ত হয়েছেন কয়েক বছর আগে । সরকারি নিয়ম অনুযায়ী 60 বছর অতিক্রান্ত হলে তবেই বার্ধক্য ভাতা মেলে ৷ এক্ষেত্রে পারিবারিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমা, বাড়ির ভ্যালুয়েশন, পরিবারে কেউ সরকারি চাকরি করেন না, এই সব দিক খতিয়ে দেখা হয় ।

সুবিশাল অট্টালিকায় একই পরিবারে বসবাসকারী একমাত্র ছেলে সুমিত ঘোষ মুর্শিদাবাদ বেলডাঙা কলেজের অধ্যাপক ৷ সুমিতবাবুর বোনের অন্যত্র বিবাহ হলেও তিনি সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা । ঘটনা জানাজানি হতে এলাকার দরিদ্র প্রবীণেরা ঘোষ পরিবারের দিকে আঙুল তুলেছেন ৷ তাঁরা বলেন, "ওই পরিবারের এক ভাইপো শান্তিপুর পৌরসভার কর্মচারী ৷ হয়তো সে কারণেই সঠিক অনুসন্ধান হয়নি । 59 বছরেই বার্ধক্য ভাতার উপভোক্তা হয়ে প্রতিমাসে নিয়মমতো ভাতা পাচ্ছেন অধ্যাপকের পিতা-মাতা দু'জনেই ।" বহু যোগ্য প্রবীণের অভিযোগ, তাঁদের বয়স ষাটের বেশি হওয়ার পরেও দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে আবেদন জমা পড়ে রয়েছে শান্তিপুর পৌরসভায় ।

শান্তিপুর পৌরসভা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে গৃহ আবাস প্রকল্পের কাগজপত্র শিবির করে সরাসরি জমা নিচ্ছেন ৷ বিভিন্ন ভাতা প্রাপকরা বেঁচে আছেন কি না, অথবা তাঁরা প্রকৃতপক্ষে ভাতা পাওয়ার উপযুক্ত কি না, এই সব বিষয় খতিয়ে দেখতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান । তখনই বেনিয়ম নজরে আসে ৷

আরও পড়ুন : 3 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের

তবে এ ব্যাপারে শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারপার্সন সুব্রত ঘোষ জানিয়েছেন, পৌর কর্মীদের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শুভজিৎ দে বলেন, "বৃদ্ধের বার্ধক্য ভাতা কথা জানলেও তাঁর স্ত্রীর ভাতা সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছি ।" তিনি অধ্যাপক সুমিত ঘোষের বাড়িতে বিষয়টি জানতে গিয়েছিলেন ৷ সেখানে আলোচনার মাঝেই বাবা ভাতা প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করেন । অধ্যাপক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি, এমনকি ছবি তুলতেও পর্যন্ত বাধা দিয়েছেন ।

নদিয়া, 23 এপ্রিল : ছেলে সরকারি কলেজের অধ্যাপক ৷ বাবার নামে আগেই চালু ছিল সরকারি প্রকল্পের বার্ধক্য ভাতা (Old Age Allowance ) । এর সঙ্গে 59 বছরেই মায়ের নামেও শুরু বার্ধক্য ভাতা । স্বভাবতই তৃণমূল সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । ঘটনাটি শান্তিপুর পৌরসভার 21 নং ওয়ার্ডের ডক্টর বিসি রায় রোডের ৷

সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর পৌরসভার বাসিন্দা মাধাই ঘোষ নিজে বার্ধক্য ভাতার উপভোক্তা ৷ স্ত্রী আভা ঘোষ বার্ধক্য ভাতার তালিকাভুক্ত হয়েছেন কয়েক বছর আগে । সরকারি নিয়ম অনুযায়ী 60 বছর অতিক্রান্ত হলে তবেই বার্ধক্য ভাতা মেলে ৷ এক্ষেত্রে পারিবারিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমা, বাড়ির ভ্যালুয়েশন, পরিবারে কেউ সরকারি চাকরি করেন না, এই সব দিক খতিয়ে দেখা হয় ।

সুবিশাল অট্টালিকায় একই পরিবারে বসবাসকারী একমাত্র ছেলে সুমিত ঘোষ মুর্শিদাবাদ বেলডাঙা কলেজের অধ্যাপক ৷ সুমিতবাবুর বোনের অন্যত্র বিবাহ হলেও তিনি সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা । ঘটনা জানাজানি হতে এলাকার দরিদ্র প্রবীণেরা ঘোষ পরিবারের দিকে আঙুল তুলেছেন ৷ তাঁরা বলেন, "ওই পরিবারের এক ভাইপো শান্তিপুর পৌরসভার কর্মচারী ৷ হয়তো সে কারণেই সঠিক অনুসন্ধান হয়নি । 59 বছরেই বার্ধক্য ভাতার উপভোক্তা হয়ে প্রতিমাসে নিয়মমতো ভাতা পাচ্ছেন অধ্যাপকের পিতা-মাতা দু'জনেই ।" বহু যোগ্য প্রবীণের অভিযোগ, তাঁদের বয়স ষাটের বেশি হওয়ার পরেও দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে আবেদন জমা পড়ে রয়েছে শান্তিপুর পৌরসভায় ।

শান্তিপুর পৌরসভা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে গৃহ আবাস প্রকল্পের কাগজপত্র শিবির করে সরাসরি জমা নিচ্ছেন ৷ বিভিন্ন ভাতা প্রাপকরা বেঁচে আছেন কি না, অথবা তাঁরা প্রকৃতপক্ষে ভাতা পাওয়ার উপযুক্ত কি না, এই সব বিষয় খতিয়ে দেখতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান । তখনই বেনিয়ম নজরে আসে ৷

আরও পড়ুন : 3 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের

তবে এ ব্যাপারে শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারপার্সন সুব্রত ঘোষ জানিয়েছেন, পৌর কর্মীদের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শুভজিৎ দে বলেন, "বৃদ্ধের বার্ধক্য ভাতা কথা জানলেও তাঁর স্ত্রীর ভাতা সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছি ।" তিনি অধ্যাপক সুমিত ঘোষের বাড়িতে বিষয়টি জানতে গিয়েছিলেন ৷ সেখানে আলোচনার মাঝেই বাবা ভাতা প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করেন । অধ্যাপক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি, এমনকি ছবি তুলতেও পর্যন্ত বাধা দিয়েছেন ।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.