ETV Bharat / bharat

কুকিদের বিরুদ্ধে 'অল-আউট' অভিযান চালানো হোক, দাবি মণিপুরের বিধায়কদের

মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন মুখ্য়মন্ত্রী বীরেন সিং ৷ বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷

MANIPUR VIOLENCE
মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক (এএনআই)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 2 hours ago

ইম্ফল, 19 নভেম্বর: কুকিদের বিরুদ্ধে আগামী 7 দিন অল-আউট অপারেশন চালানো হোক ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবার কেন্দ্রের কাছে এমনই দাবি জানালেন মণিপুরের ক্ষমতায় থাকা বিধায়করা ৷ তাঁদের দাবি, জিরিবাম জেলায় নিরীহ মহিলা ও শিশুদের অপহরণ করে খুনের ঘটনায় জড়িত কুকিদের 'বেআইনি সংগঠন' হিসেবে ঘোষণা করুক কেন্দ্র ৷

মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার গভীর রাতে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং ৷ সেই বৈঠকের পর অল-আউট অভিযান-সহ কেন্দ্রের কাছে একাধিক দাবি জানান বিধায়করা ৷ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মহিলার খুনের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানান তাঁরা ৷ উল্লেখ্য, গত 14 নভেম্বর রাজ্যের একাধিক থানা এলাকায় আফস্পা (AFSPA) লাগু করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এদিনের বৈঠকের পর সেই বিষয়ে কেন্দ্রের বিচারের দাবিও জানান বিধায়করা ৷ আগামী 7 দিনের মধ্য়ে তাঁদের এই দাবি পূরণ না-হলে, রাজ্যবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন এনডিএ বিধায়করা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে ৷ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে এদিনের বৈঠকের পর জানান মুখ্য়মন্ত্রী বীরেন সিং ৷

এদিকে, মণিপুরের পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও 50 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র ৷ সোমবার দেশের উত্তর-পূর্ব রাজ্যের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ সেই বৈঠকের পর অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানোর কথা জানান তিনি ৷ সুতরাং, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্য পুলিশ ও সেনার সঙ্গে মণিপুরে মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরাও ৷

শনিবার বরাক নদী থেকে উদ্ধার হয় উদ্বাস্তু ক্যাম্প থেকে নিঁখোজ হয়ে যাওয়া তিন জনের দেহ ৷ তারপরই আছড়ে পরে জনরোষ ৷ হামলা চলে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়কের বাড়িতে ৷ মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের বাড়িতেও হামলা চালানোর চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা ৷ এরপর রাজ্যজুড়ে কার্ফু লাগু করা হয় ৷ বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা ৷ বন্ধ বাজার, দোকান ও যান চলাচল ৷

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইম্ফলের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ বিশেষ করে রাজ্য বিজেপি-র সদর দফতর ও রাজ ভবন এলাকায় একনাগাড়ে টহল দিচ্ছেন নিরাপত্তাবাহিনী ৷ এই আবহে, রাজ্যের উতপ্ত পরিস্থিতি কিছুতেই শান্ত করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং ৷ এই অভিযোগে বিজেপির জোট সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে কনরাড সাংমার ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ৷

পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে মণিপুরে যাওয়ার পরামর্শ, শাহের পদত্যাগের দাবি কংগ্রেসের

ইম্ফল, 19 নভেম্বর: কুকিদের বিরুদ্ধে আগামী 7 দিন অল-আউট অপারেশন চালানো হোক ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবার কেন্দ্রের কাছে এমনই দাবি জানালেন মণিপুরের ক্ষমতায় থাকা বিধায়করা ৷ তাঁদের দাবি, জিরিবাম জেলায় নিরীহ মহিলা ও শিশুদের অপহরণ করে খুনের ঘটনায় জড়িত কুকিদের 'বেআইনি সংগঠন' হিসেবে ঘোষণা করুক কেন্দ্র ৷

মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার গভীর রাতে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং ৷ সেই বৈঠকের পর অল-আউট অভিযান-সহ কেন্দ্রের কাছে একাধিক দাবি জানান বিধায়করা ৷ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মহিলার খুনের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানান তাঁরা ৷ উল্লেখ্য, গত 14 নভেম্বর রাজ্যের একাধিক থানা এলাকায় আফস্পা (AFSPA) লাগু করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এদিনের বৈঠকের পর সেই বিষয়ে কেন্দ্রের বিচারের দাবিও জানান বিধায়করা ৷ আগামী 7 দিনের মধ্য়ে তাঁদের এই দাবি পূরণ না-হলে, রাজ্যবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন এনডিএ বিধায়করা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে ৷ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে এদিনের বৈঠকের পর জানান মুখ্য়মন্ত্রী বীরেন সিং ৷

এদিকে, মণিপুরের পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও 50 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র ৷ সোমবার দেশের উত্তর-পূর্ব রাজ্যের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ সেই বৈঠকের পর অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানোর কথা জানান তিনি ৷ সুতরাং, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্য পুলিশ ও সেনার সঙ্গে মণিপুরে মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরাও ৷

শনিবার বরাক নদী থেকে উদ্ধার হয় উদ্বাস্তু ক্যাম্প থেকে নিঁখোজ হয়ে যাওয়া তিন জনের দেহ ৷ তারপরই আছড়ে পরে জনরোষ ৷ হামলা চলে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়কের বাড়িতে ৷ মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের বাড়িতেও হামলা চালানোর চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা ৷ এরপর রাজ্যজুড়ে কার্ফু লাগু করা হয় ৷ বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা ৷ বন্ধ বাজার, দোকান ও যান চলাচল ৷

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইম্ফলের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ বিশেষ করে রাজ্য বিজেপি-র সদর দফতর ও রাজ ভবন এলাকায় একনাগাড়ে টহল দিচ্ছেন নিরাপত্তাবাহিনী ৷ এই আবহে, রাজ্যের উতপ্ত পরিস্থিতি কিছুতেই শান্ত করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং ৷ এই অভিযোগে বিজেপির জোট সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে কনরাড সাংমার ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ৷

পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে মণিপুরে যাওয়ার পরামর্শ, শাহের পদত্যাগের দাবি কংগ্রেসের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.