কৃষ্ণনগর, 28 মে : স্বপ্ন ছিল বড়, তাই চেষ্টাও যথাসাধ্য করেছিলেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা দেবর্ষি মৈত্র ৷ 23 বছরের দেবর্ষি মৈত্র তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলও পেয়েছেন ৷ গুগলে বার্ষিক 1 কোটি 40 লক্ষ টাকা বেতনের চাকরি পেয়েছেন তিনি (Nadia Resident Debarshi Maitra Gets a Job at Google) ৷ আর ছেলে গুগলে চাকরি পেয়েছে এটা শুনেই খুশি তাঁর মা-বাবা ৷ আত্মীয় পরিজনদের মতে, দেবর্ষি বড় কিছু করবেন এটা তাঁদের বিশ্বাস ছিলই ৷ তাই গুগলের মত সংস্থায় চাকরি পাওয়ার খবর শুনে তাঁরা খুবই খুশি ৷
2016 সালে কৃষ্ণনগর হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক ও 2018 সালে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন দেবর্ষি ৷ তার পর জয়েন্ট পরীক্ষা দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন মেধাবী এই ছাত্র (Jadavpur University Student Debarshi Maitra) ৷ ইঞ্জিনিয়ারিং এর চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শেষ হলেও রেজাল্ট এখনও হাতে পাননি তিনি ৷ এরই মধ্যে অসাধ্য সাধন করে ফেলেছেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির বাসিন্দা দেবর্ষি মৈত্র ৷ তিনি গুগলের লন্ডন অফিসে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের সুযোগ পেয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : Piyali Basak Conquers Mount Everest : অক্সিজেন সিলিন্ডার ছাড়াই এভারেস্ট চূড়ায় বঙ্গকন্যা পিয়ালী
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবর্ষির ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল গুগলের মত বড় সংস্থায় কাজ করার ৷ সেই মত স্নাতক এর চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শেষে নিজেই গুগলের চাকরির জন্য আবেদন করেন ৷ তার পর বিভিন্ন ধাপে ধাপে পরীক্ষার মাধ্যমে গুগলের চাকরির যোগ্যতা অর্জন করেছেন দেবর্ষি ৷ দিন দুয়েক আগেই সংস্থার তরফে ই-মেইলে তার চাকরি নিশ্চিত কার হয় ৷ কিছুদিনের মধ্যেই দেবর্ষি লন্ডনের অফিসে চাকরিতে যোগ দিতে রওনা দেবেন ৷ তাঁর এই সাফল্য অর্জনের নেপথ্যে পরিবারের অনুপ্রেরণা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকা কখনওই ভোলার নয় বলে জানিয়েছেন দেবর্ষি ৷
আরও পড়ুন : Piyali Basak : এভারেস্টের পর এবার লোৎসে, অক্সিজেন ছাড়া চতুর্থ উচ্চতম শৃঙ্গ জয় পিয়ালীর
দেবর্ষির বাবা বাদল মৈত্র গ্রিলের ব্যবসায়ী ৷ মা বকুল দেবী গৃহবধূ ৷ তাঁর দিদি শর্মিষ্ঠা মৈত্র স্কুল শিক্ষিকা ৷ বাদল মৈত্র জানান, ছোট থেকেই ছেলে মেয়েকে স্নেহ দিয়েই মানুষ করেছেন ৷ সন্তানদের সাফল্য বাবা-মায়ের কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ৷ এর আগেও দেবর্ষি বেশ কয়েকটি নামী আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন বলে জানান বাদল মৈত্র ৷ তবে দেবর্ষির ইচ্ছে ছিল গুগলের হয়ে কাজ করার ৷ তাই দেবর্ষির স্বপ্নপূরণ হতে চলায় খুশি তাঁর মা-বাবা ৷