ETV Bharat / state

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হল না বিজেপি বিধায়ক-সাংসদকে - nadia

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীর দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হলেন বিজেপির বিধায়ক-সাংসদরা । বাধা পান রানাঘাট লোকসভাকেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার সহ বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ এবং অসীম সরকার সহ অন্যান্যরা ।

kalyani university
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হল না বিজেপি বিধায়ক-সাংসদকে
author img

By

Published : Jul 16, 2021, 8:36 PM IST

কল্যাণী, 16 জুলাই: কয়েকদিন ধরেই কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল । শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যান বিজেপির বিধায়ক-সাংসদরা । বিজেপি বিধায়ক-সাংসদকে আটকে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা । কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হল না সাংবাদিকদেরও । আবারও 2 জুলাইয়ের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল আজ । নিরাপত্তারক্ষীদের বাধা পেয়ে অবশেষে ফিরে গেলেন বিজেপির বিধায়ক-সাংসদরা ।

রানাঘাট লোকসভাকেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, "কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ইউজিসি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আজ দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ উপাচার্য্য ড: মানস কুমার সান্যালের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তার ঘরের সামনে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা জানান উপাচার্য মিটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন । পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছিলাম মূলত তিনি দেখা করতে চাইছেন না । এরপর কিছুটা জোড় করে দরজা খুলে দেখি উপাচার্য বসে আছেন । আমাকে দেখে রীতিমতো কাঁপছেন এবং ব্যস্ততার অজুহাতে সহ-উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে বলেন । এমনকি আমার সঙ্গে থাকা স্থানীয় চাকদা এবং হরিণঘাটা এলাকার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ এবং অসীম সরকারকে বাদ দিয়ে তবেই দেখা করার অনুমতি মেলে । স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ছাড়া আমি দেখা করব না বলে ফিরে আসি । সবচেয়ে আশ্চর্য এত বড় বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাউন্ডের মধ্যে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধের কারণ জানতে চাই । তবে কোনও সদুত্তর পাইনি । "

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হল না বিজেপি বিধায়ক-সাংসদকে

আরও পড়ুন: অব্যাহত ভোট পরবর্তী হিংসা, জগদ্দলে ভাঙচুর বিজেপি সমর্থকের দোকান-বাড়ি

তিনি আরও বলেন, "70 কোটি টাকার দুর্নীতি ঢাকার অপচেষ্টা করা হচ্ছে । রোস্টার না মেনে অবৈধ কর্মচারী নিয়োগ করা হচ্ছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন শাসকদলের কর্মীদের দখলে থাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি বেদখল হয়ে যাওয়া, কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ফান্ড পাওয়া সত্ত্বেও তপশিলি হোস্টেল না দেওয়া সহ বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত । আমি ইউজিসির সংসদীয় কমিটির সদস্য হওয়ার সুবাদে বিষয়টি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক, ইউজিসি গ্রান্ট কমিশন, এসসি কমিশন এবং দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ জানাব ভিসির বিরুদ্ধে । "

কল্যাণী, 16 জুলাই: কয়েকদিন ধরেই কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল । শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যান বিজেপির বিধায়ক-সাংসদরা । বিজেপি বিধায়ক-সাংসদকে আটকে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা । কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হল না সাংবাদিকদেরও । আবারও 2 জুলাইয়ের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল আজ । নিরাপত্তারক্ষীদের বাধা পেয়ে অবশেষে ফিরে গেলেন বিজেপির বিধায়ক-সাংসদরা ।

রানাঘাট লোকসভাকেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, "কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ইউজিসি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আজ দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ উপাচার্য্য ড: মানস কুমার সান্যালের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তার ঘরের সামনে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা জানান উপাচার্য মিটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন । পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছিলাম মূলত তিনি দেখা করতে চাইছেন না । এরপর কিছুটা জোড় করে দরজা খুলে দেখি উপাচার্য বসে আছেন । আমাকে দেখে রীতিমতো কাঁপছেন এবং ব্যস্ততার অজুহাতে সহ-উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে বলেন । এমনকি আমার সঙ্গে থাকা স্থানীয় চাকদা এবং হরিণঘাটা এলাকার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ এবং অসীম সরকারকে বাদ দিয়ে তবেই দেখা করার অনুমতি মেলে । স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ছাড়া আমি দেখা করব না বলে ফিরে আসি । সবচেয়ে আশ্চর্য এত বড় বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাউন্ডের মধ্যে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধের কারণ জানতে চাই । তবে কোনও সদুত্তর পাইনি । "

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হল না বিজেপি বিধায়ক-সাংসদকে

আরও পড়ুন: অব্যাহত ভোট পরবর্তী হিংসা, জগদ্দলে ভাঙচুর বিজেপি সমর্থকের দোকান-বাড়ি

তিনি আরও বলেন, "70 কোটি টাকার দুর্নীতি ঢাকার অপচেষ্টা করা হচ্ছে । রোস্টার না মেনে অবৈধ কর্মচারী নিয়োগ করা হচ্ছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন শাসকদলের কর্মীদের দখলে থাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি বেদখল হয়ে যাওয়া, কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ফান্ড পাওয়া সত্ত্বেও তপশিলি হোস্টেল না দেওয়া সহ বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত । আমি ইউজিসির সংসদীয় কমিটির সদস্য হওয়ার সুবাদে বিষয়টি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক, ইউজিসি গ্রান্ট কমিশন, এসসি কমিশন এবং দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ জানাব ভিসির বিরুদ্ধে । "

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.