ETV Bharat / state

সদ্য যোগদানকারী খগেন মুর্মুকে মানছে না জেলা BJP ! - cpim

খগেন মুর্মুর BJP-তে যোগদান মেনে নিতে পারছে না জেলা নেতৃত্ব। গতকাল দিল্লির সদর দপ্তরে গিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত ধরে BJP-তে যোগ দেন CPI(M) বিধায়ক খগেন মুর্মু।

খগেন মুর্মু
author img

By

Published : Mar 13, 2019, 10:35 AM IST

মালদা, ১৩ মার্চ : খগেন মুর্মুর BJP-তে যোগদান মেনে নিতে পারছে না জেলা নেতৃত্ব। গতকাল দিল্লির সদর দপ্তরে গিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত ধরে BJP-তে যোগ দেন CPI(M) বিধায়ক খগেন মুর্মু। এরপরই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করে জেলা CPI(M) নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এবার লোকসভা ভোটে উত্তর মালদার BJP-র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে পারেন খগেনবাবু। তবে, তাঁকে উত্তর মালদা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে মানতে নারাজ BJP-র একাংশ।

খগেনবাবুর BJP-তে যোগদান নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জেলার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়। কয়েকদিন আগে তিনি মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে CPI(M) জেলা কমিটির বৈঠকে অংশ নেন। সেসময়, BJP-তে যোগদান নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান। তবে, BJP ও তৃণমূল দুই দল তাঁকে উত্তর মালদা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাতে চাইছে বলে জানান তিনি।

CPI(M) জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, "খগেনবাবুর BJP-তে যোগ দেওয়ার কথা আমরা শুনেছি। আমরা ভারতীয় মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে তাঁকে সরাসরি বহিষ্কার করছি৷ তাঁর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও স্তরের কেউ কোনও সম্পর্ক রাখবেন না৷ দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি সরাসরি বহিষ্কৃত হলেন৷ এর আগেও দল থেকে ছোটো-বড় অনেক নেতা বিভিন্ন প্রলোভনে পা দিয়ে দলত্যাগ করেছেন৷ তাতে কমিউনিস্ট পার্টির কোনও ক্ষতি হয়নি৷ কাল থেকেই কর্মীরা নতুন উদ্যমে কাজে নামবেন৷ যে বেইমানরা এভাবে দলত্যাগ করছে, তাদের জনগণই ত্যাগ করবে৷"

এদিকে, BJP-তে যোগ দেওয়ার পর খগেনবাবু বলেন, "জঙ্গলের রাজত্ব থেকে রাজ্যকে মুক্তি দিতে আমি BJP-তে যোগ দিয়েছি। BJP-তে থেকে আমি উন্নয়নের কাজ করতে চাই৷ CPI(M) থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হলেও আমার কিছু এসে যায় না৷"

BJP- র জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, "খগেন মুর্মুর BJP-তে যোগদানের ব্যাপারে আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। তবে আমি যতটুকু জানি, খগেনবাবু উত্তর মালদা কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন না৷ কারণ, খগেনবাবু এমন কোনও ব্যক্তিত্ব নন যে মানুষ ওঁর নামে ভোট দেবে৷ উনি একটি সাংগঠনিক দলে ছিলেন৷ সংগঠনের জোরেই ভোটে জিততেন৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হবিবপুরে একটি পঞ্চায়েতও জেতাতে পারেননি৷ গাজোলে তাঁর বাড়ি৷ সেখানেও তিনি একটি পঞ্চায়েতও জেতাতে পারেননি। কাজেই ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মা বলে ওঁর কিছু নেই৷ বরং এখন ওঁর দায় রয়েছে৷ আমার মনে হয় একজন কর্মী হিসেবেই তিনি দলে থাকবেন৷ মাস চারেক আগে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আমাকে বলেছিলেন খগেনবাবু BJP-তে যোগ দিতে চান৷ খগেনবাবু আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ আমি কোনও শর্ত ছাড়াই তাঁকে দলে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিলাম। এটাই আমাদের রাজ্য সভাপতির নির্দেশ৷ তারপর আমার সঙ্গে তিনি কোনও যোগাযোগ করেননি৷ গতকাল শুনলাম, দলে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন৷"

সঞ্জিতবাবু আরও বলেন, "এই মুহূর্তে জেলার আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক আমাদের দিকে চলে এসেছে৷ একটি ভোটও অন্য কোথাও যাবে না৷ তাই অনেক অঙ্ক কষেই খগেনবাবু BJP-তে যোগ দিয়েছেন৷ তাঁর BJP-তে যোগদান অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না৷ এনিয়ে আমার কাছে অনেক ফোন আসছে৷ আমি যতটা পারি তাঁদের বোঝাচ্ছি৷ তবে আমি জেলার কোনও কেন্দ্রে প্রার্থী হতে রাজি নই৷ শুধু জেলার দুটি কেন্দ্রে দলের প্রার্থীদের জেতাতে চাই৷ খগেনবাবুকে দল প্রার্থী করলে আমাদের তা মানতে হবে৷ কারণ, আমাদের কাছে দলের স্বার্থই আগে৷ তবে আমরা তৃণমূলস্তরে কাজ করি৷ সেখানকার পরিস্থিতিটা ভালো বুঝব৷"

মালদা, ১৩ মার্চ : খগেন মুর্মুর BJP-তে যোগদান মেনে নিতে পারছে না জেলা নেতৃত্ব। গতকাল দিল্লির সদর দপ্তরে গিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত ধরে BJP-তে যোগ দেন CPI(M) বিধায়ক খগেন মুর্মু। এরপরই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করে জেলা CPI(M) নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এবার লোকসভা ভোটে উত্তর মালদার BJP-র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে পারেন খগেনবাবু। তবে, তাঁকে উত্তর মালদা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে মানতে নারাজ BJP-র একাংশ।

খগেনবাবুর BJP-তে যোগদান নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জেলার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়। কয়েকদিন আগে তিনি মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে CPI(M) জেলা কমিটির বৈঠকে অংশ নেন। সেসময়, BJP-তে যোগদান নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান। তবে, BJP ও তৃণমূল দুই দল তাঁকে উত্তর মালদা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাতে চাইছে বলে জানান তিনি।

CPI(M) জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, "খগেনবাবুর BJP-তে যোগ দেওয়ার কথা আমরা শুনেছি। আমরা ভারতীয় মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে তাঁকে সরাসরি বহিষ্কার করছি৷ তাঁর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও স্তরের কেউ কোনও সম্পর্ক রাখবেন না৷ দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি সরাসরি বহিষ্কৃত হলেন৷ এর আগেও দল থেকে ছোটো-বড় অনেক নেতা বিভিন্ন প্রলোভনে পা দিয়ে দলত্যাগ করেছেন৷ তাতে কমিউনিস্ট পার্টির কোনও ক্ষতি হয়নি৷ কাল থেকেই কর্মীরা নতুন উদ্যমে কাজে নামবেন৷ যে বেইমানরা এভাবে দলত্যাগ করছে, তাদের জনগণই ত্যাগ করবে৷"

এদিকে, BJP-তে যোগ দেওয়ার পর খগেনবাবু বলেন, "জঙ্গলের রাজত্ব থেকে রাজ্যকে মুক্তি দিতে আমি BJP-তে যোগ দিয়েছি। BJP-তে থেকে আমি উন্নয়নের কাজ করতে চাই৷ CPI(M) থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হলেও আমার কিছু এসে যায় না৷"

BJP- র জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, "খগেন মুর্মুর BJP-তে যোগদানের ব্যাপারে আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। তবে আমি যতটুকু জানি, খগেনবাবু উত্তর মালদা কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন না৷ কারণ, খগেনবাবু এমন কোনও ব্যক্তিত্ব নন যে মানুষ ওঁর নামে ভোট দেবে৷ উনি একটি সাংগঠনিক দলে ছিলেন৷ সংগঠনের জোরেই ভোটে জিততেন৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হবিবপুরে একটি পঞ্চায়েতও জেতাতে পারেননি৷ গাজোলে তাঁর বাড়ি৷ সেখানেও তিনি একটি পঞ্চায়েতও জেতাতে পারেননি। কাজেই ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মা বলে ওঁর কিছু নেই৷ বরং এখন ওঁর দায় রয়েছে৷ আমার মনে হয় একজন কর্মী হিসেবেই তিনি দলে থাকবেন৷ মাস চারেক আগে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আমাকে বলেছিলেন খগেনবাবু BJP-তে যোগ দিতে চান৷ খগেনবাবু আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ আমি কোনও শর্ত ছাড়াই তাঁকে দলে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিলাম। এটাই আমাদের রাজ্য সভাপতির নির্দেশ৷ তারপর আমার সঙ্গে তিনি কোনও যোগাযোগ করেননি৷ গতকাল শুনলাম, দলে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন৷"

সঞ্জিতবাবু আরও বলেন, "এই মুহূর্তে জেলার আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক আমাদের দিকে চলে এসেছে৷ একটি ভোটও অন্য কোথাও যাবে না৷ তাই অনেক অঙ্ক কষেই খগেনবাবু BJP-তে যোগ দিয়েছেন৷ তাঁর BJP-তে যোগদান অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না৷ এনিয়ে আমার কাছে অনেক ফোন আসছে৷ আমি যতটা পারি তাঁদের বোঝাচ্ছি৷ তবে আমি জেলার কোনও কেন্দ্রে প্রার্থী হতে রাজি নই৷ শুধু জেলার দুটি কেন্দ্রে দলের প্রার্থীদের জেতাতে চাই৷ খগেনবাবুকে দল প্রার্থী করলে আমাদের তা মানতে হবে৷ কারণ, আমাদের কাছে দলের স্বার্থই আগে৷ তবে আমরা তৃণমূলস্তরে কাজ করি৷ সেখানকার পরিস্থিতিটা ভালো বুঝব৷"

Intro:মালদা, ১২ মার্চ : শেষ পর্যন্ত জল্পনার অবসান হল৷ দিল্লিতে বিজেপির হাত ধরলেন মালদার একমাত্র সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মু৷ দল পালটানোর পরেই তাঁকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছে জেলা সিপিএম৷ এদিকে তাঁর বিজেপিতে যোগদান খোলা মনে মেনে নিতে পারছে না জেলার গেরুয়া শিবিরও৷ এই অবস্থায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ জানাচ্ছেন, খগেনবাবুকেই লোকসভা ভোটে উত্তর মালদার দলীয় প্রার্থী করা হতে পারে৷ এই পরিস্থিতিতে যদি সত্যিই তাঁকে উত্তর মালদার প্রার্থী করা হয়, তবে জেলার গেরুয়া শিবিরের অবস্থান ঠিক কী হতে চলেছে, তা দেখার জন্য প্রহর গুনছে রাজনৈতিক মহল৷ Body:         বেশ কিছুদিন থেকেই জেলার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়, লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন হবিবপুর কেন্দ্রের ৩ বারের সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মু৷ এনিয়ে খগেনবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য সরাসরি কিছু বলেননি৷ কয়েকদিন আগে মহম্মদ সেলিমের উপস্থিতিতে সিপিএমের জেলা কমিটির বৈঠকেও অংশ নেন তিনি৷ সেদিনও তিনি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন এড়িয়ে যান৷ বলেন, তিনি সিপিএমেই আছেন৷ তবে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের আসন সমঝোতা নিয়ে নিজের ক্ষোভ গোপন রাখেননি৷ তিনি সিপিএমের গঠনতন্ত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলেন৷ তবে তিনি স্বীকার করেছিলেন, বিজেপি ও তৃণমূল, দুই দলই তাঁকে উত্তর মালদা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করাতে চাইছে৷
         এই অবস্থায় আজ দিল্লিতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে পা রাখলেন বাম ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা৷ তবে দলবদলের পরেই সিপিএম থেকে খগেনবাবুকে বহিষ্কার করা হয়েছে৷ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, "একটু আগে খগেন মুর্মু দল বদল করেছেন৷ তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ আমরা ভারতীয় মার্কসবাদি কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে তাঁকে সরাসরি বহিষ্কার করছি৷ তাঁর সঙ্গে আর আমাদের দলের কোনও স্তরের কেউ কোনোরূপ সম্পর্ক রাখবেন না৷ দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি সরাসরি বহিষ্কৃত হলেন৷ তবে এর আগেও দল থেকে ছোটোবড়ো অনেক নেতা বিভিন্ন প্রলোভনে পড়ে দলত্যাগ করেছেন৷ তাতে কমিউনিস্ট পার্টির কোনও ক্ষতি হয়নি৷ কাল থেকেই কর্মীরা নতুন উদ্যমে কাজে নামবেন৷ যে বেইমানরা এভাবে দলত্যাগ করছেন, তাদের জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন৷" এদিকেবিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দিল্লি থেকে খগেনবাবু জানান, জঙ্গলের রাজত্ব থেকে রাজ্যকে মুক্তি দিতেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ একই সঙ্গে বিজেপিতে থেকে তিনি উন্নয়নের কাজও করতে চান৷ সিপিএম তাঁকে বহিষ্কার করলেও তাঁর কিছু যায় আসে না৷
         অন্যদিকে বিজেপিও খগেনবাবুকে নিজেদের দলে খোলা মনে মেনে নিতে পারছে না৷ তাঁকে উত্তর মালদা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবেও অনেকে মানতে চাইছেন না বলে দলীয় সূত্রে খবর৷ দলের জেলা সভাপতি সঞ্জিৎ মিশ্র প্রথমে ফোনে ইটিভি ভারতকে বলেন, "আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে খগেন মুর্মুকে দলে নেওয়া হয়েছে৷ তবে আমার যতটুকু জানা আছে, খগেনবাবু উত্তর মালদা কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছন না৷ কারণ, খগেনবাবু এমন কোনও ব্যক্তিত্ব নন যে মানুষ ওঁর নামে ভোট দেবে৷ উনি একটি সাংগঠনিক দলে ছিলেন৷ সংগঠনের জোরেই ভোটে জিততেন৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিধায়ক হিসাবে হবিবপুরে তিনি একটি পঞ্চায়েতও জেতাতে পারেননি৷ গাজোলে তাঁর বাড়ি৷ সেখানেও একটি পঞ্চায়েত তাঁর জেতানোর ক্ষমতা হয়নি৷ কাজেই ব্যক্তিগত ক্যারিশমা বলে ওনার কিছু নেই৷ বরং এখন ওনার দায় রয়েছে৷ আমার মনে হয় একজন কর্মী হিসাবেই তাঁকে দলে যোগ দেওয়ানো হয়েছে৷ মাস ৩-৪ আগে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আমাকে খগেনবাবু সম্পর্কে একবার বলেছিলেন, তিনি নাকি বিজেপি দলে যোগ দিতে চান৷ দিলীপবাবু ওনাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলেই যা করার তাঁকে করতে হবে৷ খগেনবাবু আমার সঙ্গে যোগাযোগও করেন৷ আমি তাঁকে জানিয়ে দিয়েছিলাম, কোনও শর্ত ছাড়াই তাঁকে দলে যোগ দিতে হবে৷ এটাই আমাদের রাজ্য সভাপতির নির্দেশ৷ কিন্তু তিনি তারপর আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেননি৷ হঠাৎ আজ শুনলাম, তিনি দলে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন৷ তাই যিনি খগেনবাবুকে দলে যোগদান করিয়েছেন, তিনিই এব্যাপারে কিছু বলতে পারবেন৷" সঞ্জিতবাবু আরও বলেন, "এই মুহূর্তে জেলার আদিবাসী ভোট ব্যাংক সম্পূর্ণ আমাদের দিকে চলে এসেছে৷ একটি ভোটও অন্য কোথাও নেই৷ তাই অনেক অংক কষেই খগেনবাবু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ তবে তাঁর বিজেপিতে যোগদান অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না৷ এনিয়ে আমার কাছে অনেক ফোন আসছে৷ আমি যতটা পারি তাদের বোঝাচ্ছি৷ তবে আমি জেলার কোনও কেন্দ্রে প্রার্থী হতে রাজি নই৷ আমি শুধু জেলার দুটি কেন্দ্রে দলের প্রার্থীদের জেতাতে চাই৷ খগেনবাবুকে দল প্রার্থী করলে আমাদের তা মানতে হবে৷ কারণ, আমাদের কাছে দলের স্বার্থই আগে৷ তবে আমরা তৃণমূলস্তরে কাজ করি৷ আমরা সেখানকার পরিস্থিতিটা ভালো বুঝব৷"
Conclusion:         পরে সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আরও আক্রমণাত্মক হন সঞ্জিতবাবু৷ তখন তিনি বলেন, "বেশ কয়েকদিন ধরে মালদায় গুঞ্জন চলছে, খগেন মুর্মু উত্তর মালদা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন৷ আমি জানি না, কে বা কারা তাঁকে নিয়ে এমন স্বপ্ন দেখছেন৷ দলের যে কোনও কর্মীকে দাঁড় করালেই ওই আসনে আমরা জিতব৷ সাধারণ মানুষের সেটাই ধারনা৷ সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, বিজেপি কি মৌসম নূরকে জেতাতেই ওই আসনে খগেন মুর্মুকে প্রার্থী করছে? সাধারণ মানুষ ধরে নিয়েছে, মৌসম নূরের হয়ে বিজেপিতে কেউ এমন কাজ করছে৷ এনিয়ে আমিও চিন্তিত৷"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.