বহরমপুর, 17 মার্চ : নির্বাচনের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করা হবে । মালদার কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীর এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্ক দানা বেঁধেছে । যদিও ডালুবাবুর দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ৷ তিনি বলেন, "আমাদের লক্ষ্য পরিষ্কার । আমাদের বক্তব্যও পরিষ্কার । আমরা বাংলা দখলের লক্ষ্যে এগোচ্ছি । কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর করার জন্য নয় ।"
2021-এর বিধানসভা নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে ৷ বাংলার মসনদে কে বসবে তা নিয়ে সমীক্ষকদের একাংশ জোর দিয়ে কিছু বলতে পারছে না । তৃণমূল পুনরায় ক্ষমতায় আসবে নাকি ক্ষমতার দখল নেবে গেরুয়া শিবির ? নাকি সংযুক্ত মোর্চা এবার বাজিমাত করে ম্যাজিক ফিগার সংগ্রহ করবে ? এই সমীকরণ এখনও বাংলার ভোটারদের কাছে স্পষ্ট নয় । আর এরই মধ্যে মালদার কোতোয়ালি ভবন থেকে ডালুবাবুর তৃণমূলকে সমর্থন করার মন্তব্য ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে ।
আরও পড়ুন : ভোটের পর তৃণমূলকে সমর্থনের কথা বলায় কংগ্রেসের ডালুকে তোপ আরএসপি-ফরওয়ার্ড ব্লকের
তিনি বলেছিলেন, "ভোটের পর প্রয়োজন পড়লে সরকার গঠনে তৃণমূল কংগ্রসকে সমর্থন করব ৷ কিন্তু বিজেপিকে করব না ৷" বর্ষীয়ান নেতার এই বক্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে । তাঁর এই মন্তব্যের পর বাম-কংগ্রেস জোটের ভবিষ্যত নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ৷ এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ৷ তিনি বলেন, "ডালুবাবু কী বলেছেন আমার জানা নেই । মিডিয়া কী ব্যাখ্যা করছে তাও আমার জানা নেই । ভবিষ্যতে কী হবে তা ভবিষ্যতই বলবে ।" উল্টে তাঁর দাবি, যেভাবে তৃণমূল বিধায়করা বিজেপিতে গিয়ে নাম লেখাচ্ছেন তাতে কোনওদিন হয়ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে পারেন ৷ তাঁর কথায়, "তৃণমূলের বিধায়করা যেভাবে বিজেপিতে লাইন দিয়েছে তাতে জেতার পরও পালাতে পারে । সেই খবর করুন ।"
একইসঙ্গে তিনি বলেন, "আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট ৷ আমরা বাম কংগ্রেস তৃতীয় শক্তি এই বাংলায় ক্ষমতা দখল করতে চাইছি । সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছি । কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করার লক্ষ্য আমাদের নয় । আমাদের লক্ষ্য বাংলা দখল ৷"