মুর্শিদাবাদ , 18 ফেব্রুয়ারি : সকাল থেকেই থমথমে নিমতিতা স্টেশন চত্বর ৷ গতকালের হাড়হিম করা ঘটনার পর ব্যস্ত নিমতিতা স্টেশনের চেনা ছবিটা হঠাৎই যেন ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে ৷ স্টেশনে না আছে চেনা ভিড়, না আছে ট্রেনের মুর্হুমহু আনাগোনা ৷ এখনও 2 নম্বর প্লাটফর্মে স্পষ্ট চাপ চাপ রক্তের ছাপ ৷ সব মিলিয়ে চেনা নিমতিতা আজ যেন অচেনা ৷
গতকাল রাতে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর বোমাবাজির হামলার অভিযোগ ওঠে ৷ তার জেরে গুরুতর আহত হন তিনি ৷ কে বা কারা এই ঘটনার নেপথ্যে তা এখনও অস্পষ্ট ৷ তারপর থেকেই পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ স্টেশন এলাকা ৷ আজ সকালেই নিমতিতা স্টেশনে পৌঁছান ফরেনসিক দল ৷ গোটা স্টেশন চত্বর পরিদর্শন করেন তাঁরা ৷ বিশেষ করে স্টেশনের 2 নম্বর প্লাটফর্ম খতিয়ে দেখেন ৷ যত্রতত্র এখনও ছড়িয়ে বিস্ফোরণের হাজারও চিহ্ন ৷ এদিন ঘটনাস্থান থেকে বিস্ফোরণের নমুনাও সংগ্রহ করে ফরেনসিক দল ৷
আরও পড়ুন : জাকিরকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল : মমতা
প্রসঙ্গত, গতকাল রাতে কলকাতা যাওয়ার জন্য নিমতিতা স্টেশনে যাচ্ছিলেন তিনি । স্টেশনে গাড়ি থেকে নামার পরেই তাঁর উপর বোমা হামলা করা হয় বলে অভিযোগ । বোমার সপ্লিন্টারে জখম হন তিনি । তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে মহিষাইল গ্রামীণ হাসপাতালে আনা হলে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । সূত্রের খবর, বোমায় মন্ত্রীর পা গুরুতরভাবে জখম হয়েছে । জাকির হোসেনের বেশ কয়েকজন অনুগামীও জখম হয়েছেন । তাঁদেরকেও হাসপাতালে ভরতি করা হয় ।
উন্নত চিকিৎসার জন্য় আজ তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায় ৷ এসএসকেএম হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভরতি করা হয় তাঁকে । একইসঙ্গে সুজন বিশ্বাস নামে জখম আরও একজনকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে ।