ETV Bharat / state

ইউনেস্কোর ঘোষণায় আন্তর্জাতিক পর্যটনের ঠিকানা বাংলা, বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্যের তকমা ধরে রাখতে সরকার সদা তৎপর বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ দিঘায় তৈরি হওয়া জগন্নাথ মন্দিরের কথা উল্লেখ করেন তিনি ৷

BENGAL INTERNATIONAL TOURISM
ইউনেস্কোর বাংলাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণার কথা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 3 hours ago

Updated : 1 hours ago

কলকাতা, 2 ডিসেম্বর: ইউনেস্কোর তরফে আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্যের তকমা পেল পশ্চিমবঙ্গ ৷ আজ রাজ্য বিধানসভায় একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ যে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এ-ও জানিয়েছেন, পুরীর আদলে দিঘায় যে জগন্নাথ মন্দির তৈরি করছে রাজ্য সরকার, তার কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ খুব শীঘ্রই এই মন্দির উদ্বোধন হবে বলে জানান তিনি ৷

মমতা এ-ও জানান, জগন্নাথ মন্দিরে মার্বেলের জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামের মূর্তি যেমন থাকবে, তেমনই পুরীর মন্দিরের আদলে নিমকাঠের ছোট্ট প্রতিমাও রাখা হবে পুজোর জন্য ৷ এর পাশাপাশি, জগন্নাথ মন্দিরের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠনের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ যার অধীনে মন্দিরের বিপুল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে ৷ মন্দিরের সঙ্গেই ভোগ-ঘর তৈরি করা হয়েছে ৷ যেখানে রোজ বিপুল পরিমাণে ভোগ রান্না হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷

ধর্মীয় পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাকে তুলে আনতে সরকার বদ্ধপরিকর, যেখানে সবার আগে পুণ্যার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিকে মাথায় রাখা হচ্ছে বলে জানান মমতা ৷ এ প্রসঙ্গে দর্শনার্থীদের জন্য দক্ষিণেশ্বরে তৈরি হওয়া স্কাই ওয়াকের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী ৷ এমনকি একান্ন সতিপীঠের মধ্যে অন্যতম কালীঘাট মন্দিরের স্কাই ওয়াকের কাজও প্রায় শেষ বলে জানান তিনি ৷ বলেন, যানজট ও ভিড় এড়িয়ে পুণ্যার্থীরা সেখানে সরাসরি মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন ৷

এর পাশাপাশি মমতা আরও বলেন, তরাই-ডুয়ার্সে জঙ্গল সাফারি আগাগোড়া রাজ্যের পর্যটনের একটা বড় অংশ ছিল ৷ এবার চা-বাগানগুলিকে কেন্দ্র করেও পর্যটন ক্ষেত্র গড়ে তোলার কাজ করছে রাজ্য সরকার ৷ এর জন্য চা-বলয়ে 15 শতাংশ জমি সরকারের তরফে পর্যটনের জন্য দেওয়া হয়েছে বলে আজ বিধানসভায় জানিয়েছেন মমতা ৷ যেখানে একাধিক গেস্ট হাউস তৈরি হচ্ছে ৷ সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ এবং পর্যটকদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য স্থানীয় চা-বাগানের লোকজনদের কাজ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

আন্তর্জাতিক পর্যটনের গন্তব্য হিসেবে বাংলায় হোম-ট্যুরিজম বর্তমানে জনপ্রিয় হয়েছে বলেও জানান মমতা ৷ তাঁর কথায়, "একটা বিষয় আমাদের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে ৷ তা হল, হোম-ট্যুরিজম ৷ রাজ্যে হোম-ট্যুরিজম এখন বেশ জনপ্রিয় হয়েছে ৷ কলকাতাতেও তা দেখা যাচ্ছে ৷ কারও বাড়িতে 3-4টে ঘর আছে, যার মধ্যে একটা বা দু’টো ঘরে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ এর ফলে কম খরচে ভালো পরিবেশে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে থাকতে পারেন ৷"

এ-প্রসঙ্গে স্থানীয় খাবারের জনপ্রিয়তার বিষয়টিও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, "অনেক পর্যটকই চান স্থানীয় খাবারের স্বাদ নিতে ৷ সেক্ষেত্রে হোমস্টে থেকেই বাঙালি খাবার তৈরি করে খাওয়ান অনেকে ৷ আমি এই হোম-ট্যুরিজম শুরু করেছিলাম দার্জিলিংয়ের লামাহাটা থেকে ৷ যা সফল হয়েছে ৷"

কলকাতা, 2 ডিসেম্বর: ইউনেস্কোর তরফে আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্যের তকমা পেল পশ্চিমবঙ্গ ৷ আজ রাজ্য বিধানসভায় একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ যে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এ-ও জানিয়েছেন, পুরীর আদলে দিঘায় যে জগন্নাথ মন্দির তৈরি করছে রাজ্য সরকার, তার কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ খুব শীঘ্রই এই মন্দির উদ্বোধন হবে বলে জানান তিনি ৷

মমতা এ-ও জানান, জগন্নাথ মন্দিরে মার্বেলের জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামের মূর্তি যেমন থাকবে, তেমনই পুরীর মন্দিরের আদলে নিমকাঠের ছোট্ট প্রতিমাও রাখা হবে পুজোর জন্য ৷ এর পাশাপাশি, জগন্নাথ মন্দিরের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠনের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ যার অধীনে মন্দিরের বিপুল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে ৷ মন্দিরের সঙ্গেই ভোগ-ঘর তৈরি করা হয়েছে ৷ যেখানে রোজ বিপুল পরিমাণে ভোগ রান্না হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷

ধর্মীয় পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাকে তুলে আনতে সরকার বদ্ধপরিকর, যেখানে সবার আগে পুণ্যার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিকে মাথায় রাখা হচ্ছে বলে জানান মমতা ৷ এ প্রসঙ্গে দর্শনার্থীদের জন্য দক্ষিণেশ্বরে তৈরি হওয়া স্কাই ওয়াকের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী ৷ এমনকি একান্ন সতিপীঠের মধ্যে অন্যতম কালীঘাট মন্দিরের স্কাই ওয়াকের কাজও প্রায় শেষ বলে জানান তিনি ৷ বলেন, যানজট ও ভিড় এড়িয়ে পুণ্যার্থীরা সেখানে সরাসরি মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন ৷

এর পাশাপাশি মমতা আরও বলেন, তরাই-ডুয়ার্সে জঙ্গল সাফারি আগাগোড়া রাজ্যের পর্যটনের একটা বড় অংশ ছিল ৷ এবার চা-বাগানগুলিকে কেন্দ্র করেও পর্যটন ক্ষেত্র গড়ে তোলার কাজ করছে রাজ্য সরকার ৷ এর জন্য চা-বলয়ে 15 শতাংশ জমি সরকারের তরফে পর্যটনের জন্য দেওয়া হয়েছে বলে আজ বিধানসভায় জানিয়েছেন মমতা ৷ যেখানে একাধিক গেস্ট হাউস তৈরি হচ্ছে ৷ সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ এবং পর্যটকদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য স্থানীয় চা-বাগানের লোকজনদের কাজ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

আন্তর্জাতিক পর্যটনের গন্তব্য হিসেবে বাংলায় হোম-ট্যুরিজম বর্তমানে জনপ্রিয় হয়েছে বলেও জানান মমতা ৷ তাঁর কথায়, "একটা বিষয় আমাদের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে ৷ তা হল, হোম-ট্যুরিজম ৷ রাজ্যে হোম-ট্যুরিজম এখন বেশ জনপ্রিয় হয়েছে ৷ কলকাতাতেও তা দেখা যাচ্ছে ৷ কারও বাড়িতে 3-4টে ঘর আছে, যার মধ্যে একটা বা দু’টো ঘরে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ এর ফলে কম খরচে ভালো পরিবেশে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে থাকতে পারেন ৷"

এ-প্রসঙ্গে স্থানীয় খাবারের জনপ্রিয়তার বিষয়টিও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, "অনেক পর্যটকই চান স্থানীয় খাবারের স্বাদ নিতে ৷ সেক্ষেত্রে হোমস্টে থেকেই বাঙালি খাবার তৈরি করে খাওয়ান অনেকে ৷ আমি এই হোম-ট্যুরিজম শুরু করেছিলাম দার্জিলিংয়ের লামাহাটা থেকে ৷ যা সফল হয়েছে ৷"

Last Updated : 1 hours ago
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.