খড়দা, 10 ফেব্রুয়ারি: প্রাক্তন পুলিশকর্মীর মেয়েকে শ্লীলতাহানি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি রবিবার সামনে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর 24 পরগনার খড়দায় ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আবাসনের ভিতরেই প্রাক্তন পুলিশকর্মীর মেয়ে-সহ দু'জনের রাস্তা আটকে তাঁদের মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে । প্রতিবাদ করলে গুলি করারও হুমকির অভিযোগ উঠছে । ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায় (যার সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত) ।
খড়দা এলাকার বাসিন্দা এই কলেজ পড়ুয়া ও তাঁর দিদি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত । তাঁরা ওই আবাসনের ভিতরের রাস্তা দিয়ে স্কুটি করে যাচ্ছিলেন । অভিযোগ, ঠিক সেই সময় গেটের সামনে তাঁদের আবাসনের বাইরে বেরতে বাধা দেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য । রাস্তা আটকে দাঁড়ান অভিযুক্ত নেতার দলবল ।
অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতা এসে বলেন এখন থেকে আবাসনের রাস্তা দিয়ে যাওয়া যাবে না, নতুন নিয়ম হয়েছে সেখানে । এরই প্রতিবাদ করেছিলেন দুই মহিলা । তারপরই দলবলের সামনে হুমকি দিতে শুরু করেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য । দুই মহিলাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মেয়েটির পরিবারের লোকজন । তাঁদের সামনেই চলে হেনস্থা । এমনটাই দাবি নির্যাতিতার । তরুণীর বাবা প্রাক্তন পুলিশকর্মী । ঘটনার জেরে আতঙ্কিত গোটা পরিবার ।
এই বিষয়ে অভিযোগকারী বলেন, "প্রতিদিন আবাসনের ভিতরের রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করি আমরা । সেই কথায় জানানো হয়েছিল ওঁদের । কিন্তু, তারপরেও রাস্তা আটকে বাইরে যেতে বাধা দেন তৃণমূল নেতা ও তাঁর দলবল, যার প্রতিবাদ করতেই মারধর করা হয় আমাদের ।"
এদিকে, ঘটনার দায় অস্বীকার করে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আজব যুক্তি খাঁড়া করেছেন । তাঁর দাবি, "ওই আবাসনের ভিতরের রাস্তায় দিন দিন বাইক দৌরাত্ম্য বাড়ছিল । ফলে আবাসিকদের অনেকেরই সমস্যা হচ্ছিল তাতে । তাই, সেখানে বাইক দৌরাত্ম বন্ধ করতে চেয়েছিলাম । কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি । শুধু ওঁদের বোঝানো হচ্ছিল ।" ভিডিয়োর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্য ।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেনি । এর ফলে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা ৷ যদিও এই বিষয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দ্রবদন ঝাঁ বলেন, "তদন্ত চলছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয় ।"