মুর্শিদাবাদ, 28 মে: ভরতপুর থানার হামিদপুর বাঘেশ্বরী মন্দিরের পাশের একটি জঙ্গলে চিতাবাঘ আতঙ্কে চাঞ্চল্য ছড়াল রবিবার সকালে। সকালে গ্রামের এক ব্যক্তি জঙ্গলে আম কুড়োতে গিয়ে অপরিচিত এই জন্তুটিকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারপর গ্রামের বাসিন্দাদের খবর দিলে সকলের এক নজরে মনে হয় সেটি চিতাবাঘ। যদিও কিছুক্ষণ পরে সকলে বুঝতে পারে সেটি চিতাবাঘ নয়। তারপরই খবর দেওয়া বনদফতরকে। খবর পেয়ে গ্ৰামে এসে তল্লাশি চালিয়ে বনদফতরের কর্মীরা ও গ্ৰামবাসীরা ফিসিং ক্যাট বা মেছো বেড়াল নামক প্রাণীটিকে উদ্ধার করে হামিদপুর গ্রামের ভিতর থেকে।
গ্রামের মানুষজন আবার এই প্রাণীটিকে বাঘরোল বলে থাকেন। বাসিন্দাদের অনেকেরই অভিমত পাশেই রয়েছে বাঘেশ্বরী মন্দির ৷ আর এই মন্দিরের সঙ্গে বাঘের সম্পর্ক বহু প্রাচীন আমলের। বহু যুগ আগে বাঘের পিঠে চেপে বাঘেশ্বরী বাবাকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেখা যেত বলে কথিত আছে। এলাকায় তাই আজ বাঘেশ্বরী বাবার কৃপায় এই অলৌকিক এই ঘটনা ঘটেছে বলেও অনেকে দাবি করছে। আবার ঠিক একই ভাবেই গ্রামে চিতাবাঘ ঢুকেছে বলেও সকাল থেকেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয় গ্রামজুড়ে।
আরও পড়ুন: 25 ফুট রিজার্ভারে পড়ে গজরাচ্ছে চিতাবাঘ, ঘুমপাড়ানি গুলি করে উদ্ধার বন দফতরের
আশেপাশে গ্রামের লোকজনও ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। বহু খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে বিরল প্রজাতির ওই প্রাণীটিকে ৷ যার নাম মেছো বেড়াল বলে জানাচ্ছে বনদফতর বনদফতরের কর্মী সঞ্জয় সরকার জানান, এটি প্রাণীটি প্রায় লুপ্তপ্রায়। খুব কম সংখ্যায় আছে। হয়তো কোথাও থেকে চলে এসেছে। খুব একটা আক্রমণাত্বক নয়। শ্রীমন্ত সরকার তিনিই প্রথম প্রাণীটিকে দেখেন সকালে মাঠ দিয়ে যাওয়ার সময়। তার চিৎকার শুনে গ্রামের মানুষজন ছুটে আসে। সে সময় ভয়ে প্রাণীটি পাশের একটি ক্ষেতে লুকিয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত সমিতির বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ বাগদিও ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। যদিও এটি দেখলে সকলেই মনে করবেন বাঘ, তবে এটি পশ্চিমবঙ্গের একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী যা কৃষি জমিতে বেশিরভাগ দেখা যায় বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।