কান্দি, 25 নভেম্বর: মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার অন্তর্গত এক নাবালিকার সঙ্গে প্রেম ছিল খড়গ্রাম থানা এলাকার যুবকের সঙ্গে ৷ কিন্তু এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি মেয়েটির পরিবার ৷ শুক্রবার ওই নাবালিকাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বিয়ে করবে বলে তুলে নিয়ে যায় ওই যুবক ৷ এরপরই অভিযোগ ওঠে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে ৷ নাবালিকা শনিবার সকালে বাড়ি এসে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হয় ৷
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর দু'জন যুবক সারারাত ধরে ওই নাবালিকাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে। এরপর ওই যুবকের মা জানতে চায়, মেয়েটি তাদের বাড়িতে সঙ্গে করে কোনও টাকা বা গয়না এনেছে কি না ৷ নাবালিকা উত্তরে জানায় না ৷ এরপরই চলে শারীরিক অত্যাচার ৷ এদিকে রাতে মেয়েকে খুঁজে না-পেয়ে চারিদিক খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে মেয়েটির পরিবার ৷ এরপর ঘটনা মেনে নিতে না-পেরে নাবালিকা শনিবার সকালে নিজের বাড়িতে এসে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মঘাতী হয় ৷
সূত্রের খবর, নিজের বাড়ি ফেরার পর, গায়ে আগুন দেওয়ার আগে আগেরদিন রাতের ঘটনা পরিবারকে জানায় ওই নাবালিকা। তারপর নিজের ঘরে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মহত্যা করে বছর 14-র নাবালিকা ৷ নাবালিকার চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কান্দি থানার পুলিশ মৃতদেহ কান্দি মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।
ইতিমধ্যে নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রেমিক-সহ মোট 3 জনের বিরুদ্ধে কান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কান্দি থানার পুলিশ। পরিবার জানিয়েছে, অভিযুক্তের যেন ফাঁসি হয় ৷ কান্দি থানার আইসি সুভাষ ঘোষ জানান, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷
আরও পড়ুন: