বহরমপুর, 25 মে : নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে জয়শ্রীরাম শুনলে লোকে তেড়ে আসত । আর এখন এই স্লোগানেই জনপ্রিয় বহরমপুরের বাজারপাড়ার বাসিন্দা সুব্রত রায় । লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে BJP-র 18টি সিট একটু হলেও পালটেছে তাঁর জীবন । কংগ্রেসের ভরাডুবির মাঝে একক সৈনিক অধীর নিজের সিট আগলে রাখলেও আপাতত বহরমপুরে জয়শ্রীরাম স্লোগানে তাড়া খাচ্ছেন না এই বহুরূপী ।
1996 সাল থেকে বহুরূপী পেশায় রয়েছেন সুব্রতবাবু । কখনও হনুমান, কখনও রাক্ষস, আবার কখনও শিব সেজেই সকলকে আনন্দ দেন । রোজগারও হয়েছে । এভাবেই তিনি সংসার চালাচ্ছেন তেইশ বছর ধরে । রাজ্যে পালাবদল হলেও সংসারের পাল্লা একই থেকে গেছে বছরের পর বছর । তাঁর দুই মেয়ে গ্লুকোমায় আক্রান্ত এবং স্ত্রী অন্ধ । তাই চারজনের সংসারে অভাব আছে । 2014 সালে তথ্য দপ্তর থেকে তিনি লোকশিল্পীর মর্যাদা পান । 2015 সাল থেকে শুরু হয় 1000 টাকা মাসিক ভাতা । কিন্তু তাতেও অভাব মেটেনি । এদিকে, হঠাৎ নির্বাচনের আগে হনুমান সেজে জয়শ্রীরাম বলায় পেশায় আরও টান পড়ে তাঁর । বেশ কয়েকবার দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন । চিত্রটা পালটায় রাজ্যে BJP 18টি আসন পাওয়ার পর ।
এবিষয়ে সুব্রতবাবু বলেন, "নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে মানুষের বাড়ি বাড়ি গেলেই জয়শ্রীরাম বলতে নিষেধ করত । আমাকে চুপ করতে বলা হত । কিন্তু 23 মে-র পর থেকে আমি জয়শ্রীরাম বলতে পারছি । পরিবর্তন এসেছে শহরেও । কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার মোদি সরকার আসায় এই পেশায় আমি আপাতত স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি ।" এখন তাঁর আবেদন, "মোদি সরকার আমাদের সাহায্য করলে ভালোভাবে মেয়েদের পড়াশোনা করাতে পারব । মোদি সরকারকে আমার প্রণাম ।"