মুর্শিদাবাদ, 18 নভেম্বর : একদিনের জেলা সফরে এসে রাজ্য প্রশাসনের উপর আরও একবার ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । সাংবাদিক বৈঠকে শুরু থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে একের পর এক অভিযোগ সামনে আনেন তিনি । মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতির সিকিউরিটি তুলে নেওয়া থেকে শুরু করে নদিয়ার BJP সাংসদকে জঙ্গি হামলায় শহিদের মরদেহে মাল্যদানে বাধা দেওয়ার তীব্র নিন্দা করেন । পাশাপাশি রাজ্যের হিংসার ঘটনার কথা উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন । সবশেষে জেলা প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তার গরহাজির নিয়েও অভিমানের সুর ফুটে ওঠে রাজ্যপালের মুখে ।
শুভেন্দু অধিকারীর সভায় যাওয়ায় তুলে নেওয়া হয় জেলা পরিষদের সভাধিপতির সিকিউরিটি । এবিষয়ে জানতে চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন সভাধিপতি মোশারফ হোসেন । আজ এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতির সিকিউরিটি তুলে নেওয়া কোনওভাবেই উচিত হয়নি । এই কাজ অসাংবিধানিক ।" একই সঙ্গে নদিয়ার BJP সাংসদকে শহিদ সুবোধ ঘোষের বাড়ি যেতে বাধা দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, "শাসক দলের সাংসদদের ক্ষেত্রে লাল কার্পেট বিছানো হয় । আর BJP সাংসদের ক্ষেত্রে ঠিক তার বিপরীত । এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না ।"
রাজ্যে দিন দিন খুন, সন্ত্রাস বাড়ছে । এটাকে অশনি সংকেত বলে মনে করছেন তিনি । রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন তাঁর লক্ষ্য বলেও জানান । রাজ্যে রক্তক্ষয়ী নির্বাচন কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন । পাশাপাশি প্রশাসকের উর্দি পরে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদেরকেও সতর্ক করেছেন রাজ্যপাল । সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি । তাঁর কথায়, সাংবাদিকদের নির্ভীকভাবে সত্য ঘটনাকে সামনে আনা উচিত ।
একদিনের ঝটিকা সফরে আজ সস্ত্রীক মুর্শিদাবাদ ঘুরে গেলেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । সাড়ে এগারোটা নাগাদ হেলিপ্যাডে নেমে সরাসরি চলে যান সতীপীঠ কিরীটেশ্বরী মন্দিরে । সেখানে পুজো দিয়ে লালবাগ শহরে ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলি পরিদর্শন করেন ।