বহরমপুর, 26 জুন : "চিনের সঙ্গে যুদ্ধে যেতে প্রধানমন্ত্রী হিম্মত হারিয়েছেন।" আজ বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি। তিনি বলেন, "দরকার হলে চিনের সঙ্গে সংঘাতে যেতে হবে। চিনকে উচ্ছেদ করতে শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। দরকার হলে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে । পারমাণবিক শক্তিশালী দেশ ভারতবর্ষ। দরকার হলে সব ধরনের অস্ত্র প্রয়োগ করে চিনকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। "
অধীরবাবুর পারমাণবিক অস্ত্রের কথায় তীব্র বিতর্ক ছড়িয়েছ। এদিন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অধীরবাবু বলেন, "আমাদের অস্ত্রাগারের অস্ত্র পুষে রাখার জন্য নয়। ডিম পাড়ার জন্যও নয়। 130 কোটি মানুষের দেশ আমরা। কোনও শক্তিকেই পরোয়া করি না আমরা। আমাদের ফৌজের তেজ,হিম্মত, সাহসিকতা আছে। একবার ছেড়ে দিয়ে দেখুন চিনা ফৌজকে লাদাখ ছাড়া করবে। আপনার অস্ত্র আছে, অর্থ আছে, পারমাণবিক শক্তি আছে। দরকারে সব অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। "
তিনি আরও বলেন, "1962 সালের ঘটনা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। 1962 সালের কাসুন্দি ঘেঁটে কংগ্রেসের দিকে আঙ্গুল তুলে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করবেন না। কংগ্রেস ছিল তাই 62 সালের পর আর চিন, লাদাখ দখলের চেষ্টা করেনি। "
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে অধীরবাবু বলেন, "পাকিস্তানের কথা উঠলে আপনাদের বাঘের বাচ্চা বলে মনে হয়। কিন্তু চিনের বিরুদ্ধে কথা হলে আপনারা কুঁকড়ে যান। চিন কোনও অপরাজেয় শক্তি নয়। 1979 সালে ভিয়েতনাম চিনকে উচিত শিক্ষা দিয়েছিল। দরকার হলে চিনের বিরুদ্ধে সংঘাত শুরু করতে হবে। যুদ্ধ ঘোষণা করে সব রকমের অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। ভারবর্ষের স্বাধীনতা, অখন্ডতা রক্ষা করতে না পারলে বেঁচে থেকে কী হবে? তাই কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলে নিজেদের ব্যর্থতা, কাপুরুষতা ঢাকার চেষ্টা করবেন না।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের পাশাপাশি টুইটে তিনি লেখেন, "ইন্দো-চিন সীমান্তের বর্তমান অবস্থা ভয়ানক। আমাদের বিকল্পগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ভারতের ইতস্তত মনোভাবের সুযোগ নিচ্ছে চিন। চিনের বিরুদ্ধে ভারতকে পালটা আক্রামণ করতে হবে। যে ভারতকে বশীভূত করতে চায় সেই ড্রাগনের দেশকে পালটা জবাব দিতে হবে।"
তিনি আরও লেখেন, "আমাদের দেশের মন্ত্র হল করো অথবা মরো। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে সহিংসতা সহকারে চলতে হবে, আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে চিন একটি আন্তর্জাতিক প্রতারক এবং চিন কখনই অপরাজেয় শক্তি নয়।"