মালদা, ১৬ মার্চ : ভোটের মুখে মালতিপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা আরএসপির প্রাক্তন বিধায়ক আবদুর রহিম বকসি-র বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আদালতে জালিয়াতির মামলা রুজু করলেন আরএসপির জেলা সম্পাদক সর্বানন্দ পাণ্ডে । তাঁর অভিযোগ, তাঁদেরই প্রাক্তন বিধায়ক, বর্তমানে তৃণমূল নেতা আবদুর রহিম বকসি জালিয়াতি করে মালতিপুরে আরএসপির দলীয় দপ্তরের জমি তাঁর স্ত্রীকে বিক্রি করে দিয়েছেন ৷ এর বিরুদ্ধে তিনি চাঁচল থানা এবং জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেও কোন কাজ না হওয়ায় মঙ্গলবার তিনি বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন৷
যদিও এই অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন রহিম সাহেব৷ তিনি সর্বানন্দবাবুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করারও হুমকি দিয়েছেন৷
আরও পড়ুন : অঞ্জনা বসুকে প্রার্থী করায় সোনারপুর দক্ষিণে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ
সর্বানন্দবাবু বলেন, “আজ আমি চাঁচল মহকুমা আদালতে আবদুর রহিম বকসির বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা রুজু করেছি৷ ২০১০ সালে মালতিপুরের কাশিপুর মৌজায় আমরা দলীয় কার্যালয় করার জন্য প্রায় দুই শতক পরিমাণ জায়গা কিনেছিলাম৷ সেই সময় রহিম বকসি আমাদের দলে থাকার জন্য ওই জায়গা রেজিস্ট্রি করার দায়িত্বও আমরা তাঁকেই দিয়েছিলাম৷ আমাদের দলের নিয়ম, যে কোনও রেজিস্ট্রি দলের জেলা সম্পাদকের নামেই করতে হয়৷ কিন্তু তা না করে তিনি মহকুমা সমন্বয় কমিটির নাম করে নিজের নামেই ওই জায়গাটি রেজিস্ট্রি করান "৷
তাঁর দাবি, এই জালিয়াতিতে রহিম বকসি ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা খাতুন সহ মোট ১৪ জন জড়িত আছেন৷ সর্বানন্দ আরও বলেন ,আমরা চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলাম৷ ওই থানার পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ১৫ জানুয়ারি পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানাই৷ পুলিশ সুপার আইসিকে নির্দেশ দেন, তিনি যেন রহিম বকসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন৷ তারপরেও কিছু না হওয়ায় আমরা চাঁচল মহকুমা আদালতে রহিম বকসির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করি ৷”
আরও পড়ুন : উন্নয়ন আর শান্তির খেলা হবে, মমতার উদ্দেশে রাজনাথ
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আবদুর রহিম বকসি বলেন, “আরএসপির জেলা সম্পাদক এর আগেও এ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন৷ কিন্তু পুলিশ তদন্ত করে কোনও কিছু পায়নি৷ এবারের ভোটে আমি মালতিপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী৷ ভোটের আগে আমাকে বদনাম করতেই আরএসপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যে অভিযোগ নিয়ে আসছে৷ এসব রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র৷ আমি এনিয়ে সর্বানন্দ পাণ্ডের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার চিন্তাভাবনা করছি৷”