ETV Bharat / state

"পুলিশ গ্রেপ্তার করলে করুক", দোকান খুলবেন বলে জানালেন চাঁচলের ফুটপাথ ব্যবসায়ীরা

author img

By

Published : May 15, 2020, 6:27 PM IST

চাঁচলের ফুটপাথ ব্যবসায়ী শকুন্তলা সিংহ বলেন, "পুলিশ বলে গিয়েছে, বড় দোকান খুলবে ৷ কিন্তু আগামীকাল থেকে ফুটপাথে কেউ দোকান খুললে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে ৷ আমরা সবাই আগামীকালও ফুটপাথে দোকান খুলে বসব ৷ পুলিশ যা ইচ্ছে করতে পারে ৷ আমরা বুঝে নেব ৷"

footpath_traders
footpath_traders

মালদা, 15 মে: বড় দোকানপাট খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও এখনই কাউকে ফুটপাথে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না ৷ নবান্ন থেকে কোরোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ সেই নির্দেশ এসে পৌঁছাতেই মালদার চাঁচলে ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা গোটানোর কথা বলে পুলিশ ৷ কিন্তু ফুটপাথ ব্যবসায়ীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামীকালও তাঁরা ফুটপাথে দোকান খুলবে ৷ আর এতেই পুলিশ-ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ৷

এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই ফিরে আসতে শুরু করেছেন ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকরা ৷ এতে কোরোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে ৷ বড় দোকানগুলি সংক্রমণ মোকাবিলায় কিছু ব্যবস্থা নিতে পারলেও ফুটপাথের ব্যবসায়ীদের পক্ষে সেই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয় ৷ তাই আপাতত ফুটপাথে ব্যবসা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ নবান্নের এই সিদ্ধান্তের কথা জেলায় এসে পৌঁছাতেই ময়দানে নেমে পড়ে চাঁচল থানার পুলিশ ৷ আজ পুলিশ ও সিভিককর্মীরা চাঁচলের ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধের নির্দেশ দেন ৷ আগামীকাল থেকে কাউকে ফুটপাথে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না বলে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয় ৷ এতেই ক্ষুব্ধ ফুটপাথ ব্যবসায়ীরা ৷ তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামীকালও তাঁরা ফুটপাথে ব্যবসা করবেন ৷ পুলিশ পারলে তাঁদের গ্রেপ্তার করুক ৷

সামনেই ইদ ৷ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালদা জেলায় ইদের বড় বাজার রয়েছে ৷ এই সময় জামাকাপড়ের খুব ভালো ব্যবসা হয় ৷ তাই জেলার অনেক জায়গায় সরকারি নির্দেশিকা শিকেয় তুলেই ফুটপাথে পসরা সাজিয়ে বসেছিল ছোটো ব্যবসায়ীরা ৷ বিশেষত হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, রতুয়া, পুরাতন মালদা, কালিয়াচকের কয়েকটি জায়গায় সেই ছবি ধরা পড়েছে ৷ এনিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছিল ৷ অবশেষে ফুটপাথে ব্যবসা বন্ধ করতে আজ ময়দানে নামে চাঁচল থানার পুলিশ ৷

পুলিশের এই অভিযানের প্রেক্ষিতে ফুটপাথ ব্যবসায়ী আবদুল হাসান বলেন, "পুলিশ বলছে বড় দোকান খোলা যাবে ৷ অথচ আমরা দোকান সাজিয়ে বসতে পারব না ৷ সামনে খুশির ইদ ৷ বাড়ির ছোটোদের কীভাবে সামলে রাখব ? তা ছাড়া দিনের পর দিন দোকান বন্ধ রাখলে খাব কী ? পুলিশ বলছে, আমাদের যদি দোকান থাকে তবেই খুলতে পারব ৷ অত টাকা নেই ৷ আমাদের তাহলে চুরি করে খেতে হবে ৷" আরও এক ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বলেন, "পুলিশ বলছে বড় দোকান দুপুর 1টা থেকে সন্ধে 6টা পর্যন্ত খোলা যাবে ৷ কিন্তু ফুটপাথে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না ৷ আমাদের একটাই কথা ৷ দোকান খুললে সব দোকানকেই খুলতে দিতে হবে ৷ নইলে সব বন্ধ থাকুক ৷ দোকান বন্ধ থাকলে এবার আমাদের না খেয়েই মরতে হবে ৷" চাঁচলের ফুটপাথ ব্যবসায়ী শকুন্তলা সিংহ বলেন, "পুলিশ বলে গিয়েছে, বড় দোকান খুলবে ৷ কিন্তু আগামীকাল থেকে ফুটপাথে কেউ দোকান খুললে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে ৷ আমরা রেশন কিংবা সরকারি কোনও সাহায্যই পাই না ৷ ব্যবসা না করলে খাব কী ? বন্ধ করতে হলে সব দোকানই বন্ধ করতে হবে ৷ শুধুমাত্র ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি মারা যাবে না ৷ আমরা সবাই আগামীকালও ফুটপাথে দোকান খুলে বসব ৷ পুলিশ যা ইচ্ছে করতে পারে ৷ আমরা বুঝে নেব ৷"

এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি পুলিশ কর্তারা ৷ চাঁচলের মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায় জানিয়েছেন, "আজ ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের সরকারি নির্দেশনামা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ আগামীকাল থেকে তাদের ফুটপাথে বসতে বারণ করা হয়েছে ৷"

মালদা, 15 মে: বড় দোকানপাট খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও এখনই কাউকে ফুটপাথে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না ৷ নবান্ন থেকে কোরোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ সেই নির্দেশ এসে পৌঁছাতেই মালদার চাঁচলে ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা গোটানোর কথা বলে পুলিশ ৷ কিন্তু ফুটপাথ ব্যবসায়ীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামীকালও তাঁরা ফুটপাথে দোকান খুলবে ৷ আর এতেই পুলিশ-ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ৷

এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই ফিরে আসতে শুরু করেছেন ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকরা ৷ এতে কোরোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে ৷ বড় দোকানগুলি সংক্রমণ মোকাবিলায় কিছু ব্যবস্থা নিতে পারলেও ফুটপাথের ব্যবসায়ীদের পক্ষে সেই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয় ৷ তাই আপাতত ফুটপাথে ব্যবসা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ নবান্নের এই সিদ্ধান্তের কথা জেলায় এসে পৌঁছাতেই ময়দানে নেমে পড়ে চাঁচল থানার পুলিশ ৷ আজ পুলিশ ও সিভিককর্মীরা চাঁচলের ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধের নির্দেশ দেন ৷ আগামীকাল থেকে কাউকে ফুটপাথে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না বলে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয় ৷ এতেই ক্ষুব্ধ ফুটপাথ ব্যবসায়ীরা ৷ তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামীকালও তাঁরা ফুটপাথে ব্যবসা করবেন ৷ পুলিশ পারলে তাঁদের গ্রেপ্তার করুক ৷

সামনেই ইদ ৷ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালদা জেলায় ইদের বড় বাজার রয়েছে ৷ এই সময় জামাকাপড়ের খুব ভালো ব্যবসা হয় ৷ তাই জেলার অনেক জায়গায় সরকারি নির্দেশিকা শিকেয় তুলেই ফুটপাথে পসরা সাজিয়ে বসেছিল ছোটো ব্যবসায়ীরা ৷ বিশেষত হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, রতুয়া, পুরাতন মালদা, কালিয়াচকের কয়েকটি জায়গায় সেই ছবি ধরা পড়েছে ৷ এনিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছিল ৷ অবশেষে ফুটপাথে ব্যবসা বন্ধ করতে আজ ময়দানে নামে চাঁচল থানার পুলিশ ৷

পুলিশের এই অভিযানের প্রেক্ষিতে ফুটপাথ ব্যবসায়ী আবদুল হাসান বলেন, "পুলিশ বলছে বড় দোকান খোলা যাবে ৷ অথচ আমরা দোকান সাজিয়ে বসতে পারব না ৷ সামনে খুশির ইদ ৷ বাড়ির ছোটোদের কীভাবে সামলে রাখব ? তা ছাড়া দিনের পর দিন দোকান বন্ধ রাখলে খাব কী ? পুলিশ বলছে, আমাদের যদি দোকান থাকে তবেই খুলতে পারব ৷ অত টাকা নেই ৷ আমাদের তাহলে চুরি করে খেতে হবে ৷" আরও এক ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বলেন, "পুলিশ বলছে বড় দোকান দুপুর 1টা থেকে সন্ধে 6টা পর্যন্ত খোলা যাবে ৷ কিন্তু ফুটপাথে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না ৷ আমাদের একটাই কথা ৷ দোকান খুললে সব দোকানকেই খুলতে দিতে হবে ৷ নইলে সব বন্ধ থাকুক ৷ দোকান বন্ধ থাকলে এবার আমাদের না খেয়েই মরতে হবে ৷" চাঁচলের ফুটপাথ ব্যবসায়ী শকুন্তলা সিংহ বলেন, "পুলিশ বলে গিয়েছে, বড় দোকান খুলবে ৷ কিন্তু আগামীকাল থেকে ফুটপাথে কেউ দোকান খুললে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে ৷ আমরা রেশন কিংবা সরকারি কোনও সাহায্যই পাই না ৷ ব্যবসা না করলে খাব কী ? বন্ধ করতে হলে সব দোকানই বন্ধ করতে হবে ৷ শুধুমাত্র ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি মারা যাবে না ৷ আমরা সবাই আগামীকালও ফুটপাথে দোকান খুলে বসব ৷ পুলিশ যা ইচ্ছে করতে পারে ৷ আমরা বুঝে নেব ৷"

এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি পুলিশ কর্তারা ৷ চাঁচলের মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায় জানিয়েছেন, "আজ ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের সরকারি নির্দেশনামা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ আগামীকাল থেকে তাদের ফুটপাথে বসতে বারণ করা হয়েছে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.