কলকাতা, 17 নভেম্বর: আর চার দেওয়ালের মধ্যে নয় ৷ কার্তিক পুজো হবে দশটা লোকের মাঝে, বারোয়ারি ৷ এমনই প্রস্তাব নিয়ে রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার কাছে গিয়েছিলেন সোনাগাছির যৌনকর্মীদের সন্তানরা ৷ মন্ত্রীর সম্মতিতে সেই পুজোর সফল আয়োজনও করলেন তাঁরা ৷ পুজোর উদ্বোধনে এসে সেই আয়োজন দেখে অবাক মন্ত্রী মহাশয়া নিজেও ৷
এবছর সোনাগাছির ঘরবন্দি 'বাবু' কার্তিকের পুজো বারোয়ারি ৷ চিরাচরিত প্রথা ভাঙার ক্ষেত্রে যে ঝুঁকি আছে, তা জানতেন যৌনকর্মী এবং তাঁদের সন্তানরা ৷ তাই স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শশী পাঁজার দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা ৷ তিনি সম্মতি দিয়েছিলেন ৷ তবে, পুজোর রীতিনীতি যাতে সঠিকভাবে পালন হয়, তাও খেয়াল রাখতে বলেছিলেন ৷
শনিবার সন্ধেয় যৌনকর্মীদের সন্তানদের আয়োজিত কার্তিক পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে অবাক মন্ত্রী ৷ জানালেন, কার্তিক পুজোকে বারোয়ারি রূপ দেওয়ার মতো ঘটনা খুবই সাহসী পদক্ষেপ ৷ তাঁদের এই পদক্ষেপকে কুর্ণিশ জানিয়ে শশী পাঁজা বলেন, "আমার কাছে যখন প্রথম এই প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া হল, আমি অবাক হয়েছিলাম ৷ ওঁদের প্রশ্ন করেছিলাম, পারবেন তো আপনারা ? ওঁরা বলেছিলেন, হ্যাঁ দিদি পারব ৷ আজ এখানে পুজোর উদ্বোধনে এসে এত লোকের উপস্থিতি দেখে বুঝলাম, সত্যি ওঁরা পেরেছেন ৷ ওঁদের আমি কুর্নিশ জানাই ৷ আমার পক্ষে এই সাহস দেখানো সম্ভব হত না ৷"
তবে, প্রথা ভেঙে বারোয়ারি এই পুজোর কারণ কী ? যৌনকর্মীদের সন্তানদের সংগঠন আমরা পদাতিকের সভাপতি বলেন, "আমরা যেমন মায়ের সন্তান, কার্তিককেও সন্তান স্নেহে পুজো করা হয় ৷ দুর্গাপুজোর পর ফের মামার বাড়ি এসেছেন ছোট্ট কার্তিক ৷ তাই আর ঘরের কোণে নয় ৷ আমরা যৌনকর্মী-ভাইবোন মিলে কার্তিককে প্রকাশ্যে আপ্যায়ন করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷"