কলকাতা, 2 ফেব্রুয়ারি: হেলা বাড়ি নিয়ে তোলপাড়ারের মাঝেই গোটা বিল্ডিং বিভাগের নীচতলার ইঞ্জিনিয়ার থেকে একদম বিভাগীয় প্রধান ডিজি বিল্ডিং-কে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম । জানালেন, গার্ডেনরিচ পরবর্তী সময়ে গত চার মাসে কলকাতায় বেআইনি নির্মাণ আর হয়নি । খারাপ কাজ করলে তিরস্কার, তেমনই ভালো কাজ হলে এবার পুরস্কার দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছেন বলেও জানালেন তিনি । এদিনের বৈঠকে মেয়র ইঞ্জিনিয়ারদের মনোবল বৃদ্ধি ও উৎসাহ দানের কাজ করলেন বলে মনে করছে পুরনিগমের একাংশ ।
গত চার মাসে কোনও বেআইনি নির্মাণ হয়নি শহরে । খুব ভালো কাজ করছেন ইঞ্জিনিয়াররা । সব হেলা বাড়িই বেআইনি নয় । শনিবার এমনই মন্তব্য করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । শুধু তাই নয়, আগামীতেও এভাবে ভালো কাজ চালিয়ে গেলে ভবিষ্যতে তাঁদের পুরস্কৃত করা হবে বলেও জানান তিনি ।শহরে একের পর এক যখন বাড়ি হেলে পড়ছে, অভিযোগ উঠছে বেআইনি নির্মাণের, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শনিবার পুরভবনের বিল্ডিং বিভাগকে নিয়ে শনিবার বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।
সেই বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র বলেন, গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর আর বেআইনি নির্মাণ হয়নি শহরে । গত চার মাসে বেআইনি নির্মাণ রুখতে সক্ষম হয়েছে কলকাতা পুরনিগম । ভালো কাজ করছেন ইঞ্জিনিয়াররা । তবে কিছু কিছু জায়গায় ইঞ্জিনিয়ারদের বাধাপ্রাপ্ত হতে হচ্ছে । সেক্ষেত্রে বরো 7 এবং বরো 15-এর এক্সিকিউটিভদের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । তবে যে কোনও ধরনের বেআইনি নির্মাণ রুখতে, কোনও রকম বাধা এলেই মেয়রের দরজা তাঁদের জন্য সব সময় খোলা আছে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম । অন্যদিকে, মেয়রের আরও বক্তব্য, কোথাও বেআইনি নির্মাণের জিগির তুলে কলকাতা পুরনিগমকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে । তবে সব হেলা বাড়িই বেআইনি নয় ।
শনিবার বিল্ডিংয়ের বৈঠকে মেয়র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুরকমিশনার ধবল জৈন, বিল্ডিং বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল, বরো এক্সিকিউটিভ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ও সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার । এই দিনের বৈঠকে মূলত আধিকারিকদের মনোবল বাড়ানো চেষ্টা করেন মেয়র ।
এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "গার্ডেনরিচের পর যে সমস্ত নিয়ম করেছি সেগুলো ভালো করে হচ্ছে । সিস্টেম বানাতে বেশ কয়েকমাস লেগেছে । গার্ডেনরিচ ভাঙার পর তাঁদের তিরস্কার করেছি । এখন উৎসাহ দিলাম যে, গত চার মাস আপনারা ভালো কাজ করেছেন । এখন শহরে নতুন বেআইনি নির্মাণ নেই ।"