ETV Bharat / state

মনোনয়ন জমায় নির্বাচনী বিধি ভেঙেছে তৃণমূল, অভিযোগ BJP-র

আমাদের প্রতিপদে বাধা দেওয়া হয়, কিন্তু তৃণমূল মনোনয়ন জমা দিতে গেলে ওদের জন্য নিরাপত্তা সরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ BJP-র।

তৃণমূল
author img

By

Published : Apr 4, 2019, 3:13 PM IST

Updated : Apr 4, 2019, 7:07 PM IST

মালদা, 4 এপ্রিল : মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে একাধিক নির্বাচনী বিধি ভেঙেছে তৃণমূল। এই অভিযোগ তুলল BJP। গতকাল মালদা জেলার দুই তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। সেখানেই নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করলেন BJP-র জেলা সভাপতি ও দক্ষিণ মালদার BJP প্রার্থী। তাঁদের প্রশ্ন, এত নির্বাচনী বিধিভঙ্গের পর কেন জেলার দুই তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হবে না।

মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল। সারারাত ধরে শহরের প্রতিটি সরকারি জায়গায় দলীয় ঝান্ডা লাগিয়ে ফেলে। যদিও সকালে নির্বাচন দপ্তর সেসব ঝান্ডা খুলে নেয়। এই ইশুতে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন BJP-র জেলা সভাপতি। গতকাল বেলা ১২টা নাগাদ দুই প্রার্থী কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে জেলা প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করেন। BJP-র অভিযোগ, এরপর ভেঙে পড়ে নিরাপত্তার আগল। ব্যারিকেডের সামনে কোনও পুলিশকর্মীরও তখন দেখা মেলেনি। প্রশাসনিক ভবন চত্বর দখল করে নেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে তখন ১৪৪ ধারার কোনও চিহ্নই নেই। শুধু তাই নয়, মনোনয়ন কক্ষেও কমিশন নির্ধারিত ৫ জনের অনেক বেশি তৃণমূল নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছে BJP। ওই কক্ষে প্রার্থী সহ মোট ৫ জন থাকার আইন থাকলেও দুই কক্ষেই নির্ধারিত সংখ্যার বেশি লোক নিয়ে দুই তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

শুনুন সঞ্জিৎ মিশ্র ও শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরির বক্তব্য

এপ্রসঙ্গে ETV ভারতকে BJP-র জেলা সভাপতি সঞ্জিৎ মিশ্র বলেন, "নমিনেশন করতে যাওয়ার সময় আমাদের প্রতি পদে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কমিশনের আইন মানার জন্য আমাদের ছেলেদের জোরও করা হয়েছে। কিন্তু কমিশন কোনও আইনই পালন করেনি। প্রশাসন তৃণমূলের উপরেই সব ছেড়ে দিয়েছে। যেমন খুশি তেমন চলার জন্য তৃণমূলকে সব ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ প্রশাসনের কেউ তাদের বাধা দেওয়ার জন্য ছিল না। গোটা ঘটনার ছবি ও ভিডিয়ো ফুটেজ আমাদের কাছে এসেছে। আমরা সেসব প্রমাণ দিয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছি। আমরা জানতে চাইব, আইন সবার ক্ষেত্রে কেন মানা হবে না। প্রশাসনই বা কেন এভাবে পক্ষপাতিত্ব করবে? আজকের ঘটনার জন্য প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে হবে। প্রশাসন যদি বলে এরা আমাদের কথা শোনেনি, তবে আইন ভঙ্গকারি দলের প্রার্থীপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটাও আমরা কমিশনের কাছে জানতে চাইব। সবচেয়ে সমস্যা হল, এখনও পর্যন্ত এই জেলার নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের সঙ্গে আমরা দেখা করতে পারছি না। পর্যবেক্ষক হলে আমরা এক ডালি অভিযোগ জমা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।"

দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি বলেন, "গতকালের ঘটনার প্রতিবাদে আমরা দলীয় স্তর থেকেই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব। সবচেয়ে বড় বিষয়, তৃণমূলের লোকজন প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে রাজনীতিকে এমনভাবে যুক্ত করে দিয়েছেন, তাতে আমরা দেখছি, সরকারি কোনও আইনকানুন তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। শুধুমাত্র আমাদের জন্য প্রযোজ্য। আমরা যখন মনোনয়ন জমা দিতে যাই, ব্যারিকেড দিয়ে আমাদের কর্মীদের আটকে দেওয়া হয়। গুনে গুনে আমাদের লোকজনকে ভিতরে ঢোকানো হয়। কিন্তু আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, নির্বাচনের সমস্ত আইন আজ ভঙ্গ করা হয়েছে। ব্যারিকেডে কোনও পুলিশও ছিল না। আমরা এনিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রমাণ সহ অভিযোগ জানাব। তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।"

মালদা, 4 এপ্রিল : মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে একাধিক নির্বাচনী বিধি ভেঙেছে তৃণমূল। এই অভিযোগ তুলল BJP। গতকাল মালদা জেলার দুই তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। সেখানেই নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করলেন BJP-র জেলা সভাপতি ও দক্ষিণ মালদার BJP প্রার্থী। তাঁদের প্রশ্ন, এত নির্বাচনী বিধিভঙ্গের পর কেন জেলার দুই তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হবে না।

মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল। সারারাত ধরে শহরের প্রতিটি সরকারি জায়গায় দলীয় ঝান্ডা লাগিয়ে ফেলে। যদিও সকালে নির্বাচন দপ্তর সেসব ঝান্ডা খুলে নেয়। এই ইশুতে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন BJP-র জেলা সভাপতি। গতকাল বেলা ১২টা নাগাদ দুই প্রার্থী কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে জেলা প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করেন। BJP-র অভিযোগ, এরপর ভেঙে পড়ে নিরাপত্তার আগল। ব্যারিকেডের সামনে কোনও পুলিশকর্মীরও তখন দেখা মেলেনি। প্রশাসনিক ভবন চত্বর দখল করে নেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে তখন ১৪৪ ধারার কোনও চিহ্নই নেই। শুধু তাই নয়, মনোনয়ন কক্ষেও কমিশন নির্ধারিত ৫ জনের অনেক বেশি তৃণমূল নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছে BJP। ওই কক্ষে প্রার্থী সহ মোট ৫ জন থাকার আইন থাকলেও দুই কক্ষেই নির্ধারিত সংখ্যার বেশি লোক নিয়ে দুই তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

শুনুন সঞ্জিৎ মিশ্র ও শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরির বক্তব্য

এপ্রসঙ্গে ETV ভারতকে BJP-র জেলা সভাপতি সঞ্জিৎ মিশ্র বলেন, "নমিনেশন করতে যাওয়ার সময় আমাদের প্রতি পদে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কমিশনের আইন মানার জন্য আমাদের ছেলেদের জোরও করা হয়েছে। কিন্তু কমিশন কোনও আইনই পালন করেনি। প্রশাসন তৃণমূলের উপরেই সব ছেড়ে দিয়েছে। যেমন খুশি তেমন চলার জন্য তৃণমূলকে সব ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ প্রশাসনের কেউ তাদের বাধা দেওয়ার জন্য ছিল না। গোটা ঘটনার ছবি ও ভিডিয়ো ফুটেজ আমাদের কাছে এসেছে। আমরা সেসব প্রমাণ দিয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছি। আমরা জানতে চাইব, আইন সবার ক্ষেত্রে কেন মানা হবে না। প্রশাসনই বা কেন এভাবে পক্ষপাতিত্ব করবে? আজকের ঘটনার জন্য প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে হবে। প্রশাসন যদি বলে এরা আমাদের কথা শোনেনি, তবে আইন ভঙ্গকারি দলের প্রার্থীপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটাও আমরা কমিশনের কাছে জানতে চাইব। সবচেয়ে সমস্যা হল, এখনও পর্যন্ত এই জেলার নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের সঙ্গে আমরা দেখা করতে পারছি না। পর্যবেক্ষক হলে আমরা এক ডালি অভিযোগ জমা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।"

দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি বলেন, "গতকালের ঘটনার প্রতিবাদে আমরা দলীয় স্তর থেকেই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব। সবচেয়ে বড় বিষয়, তৃণমূলের লোকজন প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে রাজনীতিকে এমনভাবে যুক্ত করে দিয়েছেন, তাতে আমরা দেখছি, সরকারি কোনও আইনকানুন তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। শুধুমাত্র আমাদের জন্য প্রযোজ্য। আমরা যখন মনোনয়ন জমা দিতে যাই, ব্যারিকেড দিয়ে আমাদের কর্মীদের আটকে দেওয়া হয়। গুনে গুনে আমাদের লোকজনকে ভিতরে ঢোকানো হয়। কিন্তু আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, নির্বাচনের সমস্ত আইন আজ ভঙ্গ করা হয়েছে। ব্যারিকেডে কোনও পুলিশও ছিল না। আমরা এনিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রমাণ সহ অভিযোগ জানাব। তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।"

sample description
Last Updated : Apr 4, 2019, 7:07 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.