মালদা, 8 এপ্রিল : লকডাউনে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী বিতরণ করা হবে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন গরিব মানুষজন ৷ কিন্তু সেই রেশন নিয়েই দেখা দিয়েছে বিপত্তি ৷ জেলার একাধিক জায়গায় রেশন দোকানে খাদ্যসামগ্রী বিলি নিয়ে অভিযোগ উঠছে ডিলারদের বিরুদ্ধে ৷ আজ সেই অভিযোগ এসেছে পুরাতন মালদা ব্লকের মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতনটোলা গ্রাম থেকে ৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই রেশন ডিলার পরিমাণে কম জিনিস বিতরণ করছেন ৷ এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধানও ৷ এনিয়ে আজ গ্রামবাসী কোরোনা সতর্কতা ভুলেই প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় মালদা থানার পুলিশ ৷ এই মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে রেশন সামগ্রী বিতরণ ৷ গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দোকান ৷
এলাকার বাসিন্দা বাদেলুর রহমান বলেন, "এই রেশন ডিলার 1 তারিখ থেকে জিনিস দিচ্ছেন ৷ 6 তারিখ পর্যন্ত সেসব জিনিস কম দিয়েছেন ৷ ডিলারের সঙ্গে প্রধানও বলেছেন, 2 কেজি করে চাল, আর 2 কেজি করে আটা দেওয়া হবে ৷ প্রধান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, 4 কিলোর বেশি জিনিস কাউকে দেওয়া হবে না ৷ এর বিরুদ্ধে গ্রামের একজন অভিযোগ করেছিলেন ৷ প্রধান তাঁকে মারতে পর্যন্ত চেয়েছিলেন ৷ এখন ডিলার বলছেন, যে জিনিস বাকি থাকছে, তা পরে দেবেন ৷ এখানে রেশন দুর্নীতির সঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান সবাই জড়িত ৷ আমরা চাই, আমাদের পাওনা পুরোপুরি মিটিয়ে দেওয়া হোক ৷ প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, এই রেশন ডিলারকে বদল করা হোক ৷ আমরা এমন ডিলার চাই না ৷"
অভিযুক্ত রেশন ডিলার এমাদুর রহমানের সাফাই, "আমি গ্রাহকদের বরাদ্দের জন্য সম্পূর্ণ আটা পাইনি ৷ তাই ডিউ স্লিপ ইশু করেছি ৷ ওই স্লিপ নিয়েই এখানে গন্ডগোল ৷ জিনিস আমি কম দিই না ৷ প্রত্যেককে 3 কিলো আটা, আর 2 কিলো করে চাল দিচ্ছি ৷ এখনও পর্যন্ত জেলা খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে আমার কাছে গ্রাহকদের জন্য 2 কিলো করে চাল এসেছে ৷ আটাও সম্পূর্ণ আসেনি ৷ আর পঞ্চায়েত সদস্য কিংবা প্রধান গ্রাহকদের সঙ্গে কী করেছেন তা আমার জানা নেই ৷ গ্রামবাসীদের গোলমালে এখন রেশন বিলি বন্ধ রয়েছে ৷ আর জিনিস কম দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ৷"
অভিযোগের বিষয়ে প্রধানের বক্তব্য জানতে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
