ETV Bharat / state

হাইকোর্টের নির্দেশে হল না অনাস্থা প্রস্তাবের তলবি সভা - হাইকোর্টের নির্দেশে তলবি সভায় স্থগিতাদেশ

কিছুদিন আগে প্রধান রঞ্জিতা হালদার মজুমদারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ব্লক প্রশাসনের কাছে চিঠি দেন বেশ কিছু পঞ্চায়েত সদস্য ৷ শুক্রবার তলবি সভা আহ্বান করেন বিডিও সঞ্জিৎ মণ্ডল ৷ কয়েকজন উপসমিতির সদস্য এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ চেয়ে রিট পিটিশন দাখিল করেন ৷ আবেদনের ভিত্তিতে তলবি সভায় স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট ৷

প্রধান রঞ্জিতা হালদার মজুমদার
প্রধান রঞ্জিতা হালদার মজুমদার
author img

By

Published : Jan 9, 2021, 2:17 PM IST

মালদা, 9 জানুয়ারি : শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে হাতে হাত দিয়ে বসে থাকতে হল বামনগোলা ব্লক তৃণমূলের একাংশকে ৷ প্রধানের ক্ষমতা কাড়তে সম্প্রতি এই পঞ্চায়েতের কিছু তৃণমূল সদস্য মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের চার সদস্যবিশিষ্ট উপসমিতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসে ৷ তার ভিত্তিতেই শুক্রবার তলবি সভা আহ্বান করেন বিডিও সঞ্জিৎ মণ্ডল ৷ কিন্তু এরপরেই রেখা টিকাদার (সরকার) সহ আরও কয়েকজন উপসমিতির সদস্য এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ চেয়ে রিট পিটিশন দাখিল করেন৷ আবেদনের ভিত্তিতে তলবি সভায় স্থগিতাদেশ জারি করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহা৷ ফলে শুক্রবার নির্ধারিত তলবি সভার আয়োজন করা যায়নি৷ গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত প্রধান দলীয় নেতৃত্বের দিকে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন৷ যদিও তাঁর প্রশ্নকে তেমন আমল দিতে চাননি বামনগোলা ব্লক তৃণমূল সভাপতি ৷

গত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের 19টি আসনের প্রতিটিতে জয় পায় শাসকদল ৷ বিরোধীশূন্য বোর্ডে চারজন সদস্য নিয়ে গঠিত হয় উপসমিতি ৷ মনে রাখতে হবে, পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে উপসমিতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ উপসমিতির সহায়তা ছাড়া কোনও আর্থিক কিংবা অন্যান্য বিষয় অনুমোদন করা পঞ্চায়েত প্রধানের পক্ষে কার্যত অসম্ভব৷ যাই হোক না কেন, নির্বাচনের পর দু’বছরের বেশি সময় স্বাভাবিক গতিতেই চলেছে মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজকর্ম৷ কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডের তাল কাটতে শুরু করেছে৷ সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে প্রধান রঞ্জিতা হালদার মজুমদারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ব্লক প্রশাসনের কাছে চিঠি দেন বেশ কিছু পঞ্চায়েত সদস্য ৷ সেই আনাস্থা প্রস্তাবের তলবি সভা ডেকেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে পিছিয়ে আসে ব্লক প্রশাসন ৷ পরে জানা যায়, পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী আড়াই বছরের আগে কোনও প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাঁকে অপসারিত করা যায় না৷ বিষয়টি জানার পরেই শাসকদলের এক তাবড় নেতার পরামর্শে সেই চিঠি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৷ আরও জানা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত আইন বলে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত প্রধানকে অপসারিত করা সম্ভব নয় দেখে প্রধান বিরোধীরা অন্য ছক ধরে৷ তারা প্রধানের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নিতে উপসমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছে৷ সেই প্রস্তাবের চিঠি দেওয়া হয় বিডিওকে৷ তার ভিত্তিতে শুক্রবার তলবি সভা ডাকেন বিডিও ৷

প্রধান রঞ্জিতা হালদার মজুমদারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ব্লক প্রশাসনের কাছে চিঠি দেন বেশ কিছু পঞ্চায়েত সদস্য । সেই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য

আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ চুরি করে ব্যবহারে, প্রতিবাদে জখম যুবক

আজ পঞ্চায়েত প্রধান রঞ্জিতা হালদার মজুমদার বলেন, উপসমিতির বিরুদ্ধে আনা অনাস্থার তলবি সভা ছিল শুক্রবার ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে সভা স্থগিত করা হয়েছে৷ বিডিও আমাকে সেকথা জানিয়েছেন৷ মদনাবতী পঞ্চায়েতের ১৯টি আসন ও বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির তিনটি আসনে সবাই তৃণমূল সদস্য৷ এখানে বিরোধীদের কোনও অস্বিত্ব নেই ৷ অথচ দলের কিছু লোক বিরোধীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বারংবার এই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার চেষ্টা করছে ৷ ব্লক সভাপতি অশোক সরকার সব জানেন ৷ এর আগে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, দলের কিছু লোকের নাকি অনাস্থা আনার শখ হয়েছে ৷

এদিকে বামনগোলা ব্লক তৃণমূল সভাপতি অশোক সরকার জানিয়েছেন, দলে আলোচনা করেই এই অনাস্থা নিয়ে আসা হয়েছিল৷ এখন যদি কেউ তা অস্বীকার করেন, তবে আমার কিছু বলার নেই৷ সেই অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তলবি সভা ছিল৷ কিন্তু উপসমিতির সদস্যরা এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন৷ তার ভিত্তিতে হাইকোর্ট তলবি সভার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে৷ তাই আজ তলবি সভা হয়নি৷ এই নিয়ে দলীয় কোনও সমস্যা হলে তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে ৷

মালদা, 9 জানুয়ারি : শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে হাতে হাত দিয়ে বসে থাকতে হল বামনগোলা ব্লক তৃণমূলের একাংশকে ৷ প্রধানের ক্ষমতা কাড়তে সম্প্রতি এই পঞ্চায়েতের কিছু তৃণমূল সদস্য মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের চার সদস্যবিশিষ্ট উপসমিতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসে ৷ তার ভিত্তিতেই শুক্রবার তলবি সভা আহ্বান করেন বিডিও সঞ্জিৎ মণ্ডল ৷ কিন্তু এরপরেই রেখা টিকাদার (সরকার) সহ আরও কয়েকজন উপসমিতির সদস্য এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ চেয়ে রিট পিটিশন দাখিল করেন৷ আবেদনের ভিত্তিতে তলবি সভায় স্থগিতাদেশ জারি করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহা৷ ফলে শুক্রবার নির্ধারিত তলবি সভার আয়োজন করা যায়নি৷ গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত প্রধান দলীয় নেতৃত্বের দিকে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন৷ যদিও তাঁর প্রশ্নকে তেমন আমল দিতে চাননি বামনগোলা ব্লক তৃণমূল সভাপতি ৷

গত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের 19টি আসনের প্রতিটিতে জয় পায় শাসকদল ৷ বিরোধীশূন্য বোর্ডে চারজন সদস্য নিয়ে গঠিত হয় উপসমিতি ৷ মনে রাখতে হবে, পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে উপসমিতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ উপসমিতির সহায়তা ছাড়া কোনও আর্থিক কিংবা অন্যান্য বিষয় অনুমোদন করা পঞ্চায়েত প্রধানের পক্ষে কার্যত অসম্ভব৷ যাই হোক না কেন, নির্বাচনের পর দু’বছরের বেশি সময় স্বাভাবিক গতিতেই চলেছে মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজকর্ম৷ কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডের তাল কাটতে শুরু করেছে৷ সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে প্রধান রঞ্জিতা হালদার মজুমদারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ব্লক প্রশাসনের কাছে চিঠি দেন বেশ কিছু পঞ্চায়েত সদস্য ৷ সেই আনাস্থা প্রস্তাবের তলবি সভা ডেকেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে পিছিয়ে আসে ব্লক প্রশাসন ৷ পরে জানা যায়, পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী আড়াই বছরের আগে কোনও প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাঁকে অপসারিত করা যায় না৷ বিষয়টি জানার পরেই শাসকদলের এক তাবড় নেতার পরামর্শে সেই চিঠি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৷ আরও জানা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত আইন বলে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত প্রধানকে অপসারিত করা সম্ভব নয় দেখে প্রধান বিরোধীরা অন্য ছক ধরে৷ তারা প্রধানের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নিতে উপসমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছে৷ সেই প্রস্তাবের চিঠি দেওয়া হয় বিডিওকে৷ তার ভিত্তিতে শুক্রবার তলবি সভা ডাকেন বিডিও ৷

প্রধান রঞ্জিতা হালদার মজুমদারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ব্লক প্রশাসনের কাছে চিঠি দেন বেশ কিছু পঞ্চায়েত সদস্য । সেই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য

আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ চুরি করে ব্যবহারে, প্রতিবাদে জখম যুবক

আজ পঞ্চায়েত প্রধান রঞ্জিতা হালদার মজুমদার বলেন, উপসমিতির বিরুদ্ধে আনা অনাস্থার তলবি সভা ছিল শুক্রবার ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে সভা স্থগিত করা হয়েছে৷ বিডিও আমাকে সেকথা জানিয়েছেন৷ মদনাবতী পঞ্চায়েতের ১৯টি আসন ও বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির তিনটি আসনে সবাই তৃণমূল সদস্য৷ এখানে বিরোধীদের কোনও অস্বিত্ব নেই ৷ অথচ দলের কিছু লোক বিরোধীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বারংবার এই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার চেষ্টা করছে ৷ ব্লক সভাপতি অশোক সরকার সব জানেন ৷ এর আগে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, দলের কিছু লোকের নাকি অনাস্থা আনার শখ হয়েছে ৷

এদিকে বামনগোলা ব্লক তৃণমূল সভাপতি অশোক সরকার জানিয়েছেন, দলে আলোচনা করেই এই অনাস্থা নিয়ে আসা হয়েছিল৷ এখন যদি কেউ তা অস্বীকার করেন, তবে আমার কিছু বলার নেই৷ সেই অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তলবি সভা ছিল৷ কিন্তু উপসমিতির সদস্যরা এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন৷ তার ভিত্তিতে হাইকোর্ট তলবি সভার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে৷ তাই আজ তলবি সভা হয়নি৷ এই নিয়ে দলীয় কোনও সমস্যা হলে তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে ৷

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.