ETV Bharat / state

হরিশ্চন্দ্রপুরে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন বৃদ্ধকে! আশঙ্কাজনক বৃদ্ধের স্ত্রী - MURDER IN MALDA

মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধকে খুনের অভিযোগ ৷ কোপানো হয়েছে বৃদ্ধের স্ত্রীকেও ৷ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বৃদ্ধা ৷ তদন্তে পুলিশ ৷

MURDER IN MALDA
হরিশ্চন্দ্রপুরে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন বৃদ্ধকে! আশঙ্কাজনক বৃদ্ধের স্ত্রী (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 11, 2025, 2:19 PM IST

Updated : Jan 11, 2025, 4:11 PM IST

মালদা, 11 জানুয়ারি: তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারকে নৃশংস খুনের ঘটনায় এখনও পর্দা পড়েনি ৷ তার মধ্যেই মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে বাড়িতে ঢুকে 68 বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ, কোপানো হয়েছে বৃদ্ধের স্ত্রীকেও ৷ বর্তমানে তিনি মালদা মেডিক্যাল ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি ৷

নিহত বৃদ্ধের নাম জসিমুদ্দিন আহমেদ ৷ তাঁর স্ত্রীর নাম সাহানা বিবি ৷ তাঁদের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশলপুর গ্রামে ৷ শুক্রবার রাতে বাড়ি বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন তাঁরা ৷ অভিযোগ, ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাঁদের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা ৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু’জনকে একাধিকবার কোপানো হয় ৷ তাঁদের আর্ত চিৎকারে গ্রামবাসীরা ঘুম থেকে উঠে ছুটে আসেন ৷ তড়িঘড়ি দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ৷

হরিশ্চন্দ্রপুরে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন বৃদ্ধকে! আশঙ্কাজনক বৃদ্ধের স্ত্রী (ইটিভি ভারত)

হাসপাতালে যান হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার ৷ আহত দম্পতির সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিস্থিতি বুঝে রাতেই আহত দম্পতিকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করে দেন ৷ ওই হাসপাতালে কিছুক্ষণ চিকিৎসার পর মৃত্যু হয় জসিমুদ্দিনের ৷ সাবানাকে রেফার করা হয় মালদা মেডিক্যালে ৷

জসিমুদ্দিন সাহেবদের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার ৷ সামান্য জমি রয়েছে ৷ কৃষিকাজ করেই সংসার চলে ৷ তাঁদের এক ছেলে মাঝেমধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন ৷ এমন এক পরিবারে এভাবে দুষ্কৃতীদের হামলা কেন, সেটা ভাবাচ্ছে পুলিশ ও গ্রামবাসীদের ৷

যদিও এই ঘটনার পিছনে পারিবারিক ঝামেলার প্রসঙ্গও উঠে আসছে ৷ তাঁদের এক মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন এক যুবক ৷ পরবর্তীতে ওই মেয়ে ফের বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন ৷ এনিয়ে সেই যুবকের সঙ্গে নাকি তাঁদের ঝামেলা চলছিল !

MURDER IN MALDA
নিহত জসিমুদ্দিন আহমেদ (নিজস্ব চিত্র)

গ্রামের এক বাসিন্দা তৈমুর রহমান বলেন, “কয়েকদিন আগে জসিমুদ্দিন আমাকে বলেছিল, ওর জামাই নাকি ওকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে ৷ ওর মেয়ে ভালোবাসা করে বিয়ে করেছিল ৷ মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত ওর স্বামী ৷ মেয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে ৷ আর স্বামীর কাছে যায়নি ৷ এরই মধ্যে জসিমুদ্দিন ওর জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের মামলা করে ৷ এরপরেই ওর জামাই ওকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল বলে আমাকে 10-15 দিন আগে জানিয়েছিল ৷ আমরা চাই, এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে অপরাধীদের ধরে ফাঁসির ব্যবস্থা করুক ৷”

কুশলপুর গ্রামের নাইম আখতারের বক্তব্য, “যে বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে, তার পাশে মাঠে প্রতি রাতে আমরা ভলিবল খেলি ৷ গতকাল রাত সাড়ে 10টা পর্যন্ত খেলেছি ৷ তারপর আমরা বাড়ি চলে যাই ৷ শীতের রাতে লেপের ভিতর ঢুকে গিয়েছিলাম ৷ লেপের ভিতর থেকেই শুনতে পাই, কেউ বা কারা কান্নাকাটি করছে ৷ কৌতুহলবশত দরজা খুলে ঘরের বাইরে আসি ৷’’

নাইম আখতারের আরও বক্তব্য, ‘‘যে লোকটির বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে, তাঁর হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে ৷ তাঁর বাড়ির দিক থেকেই কান্নার আওয়াজ আসছিল ৷ আমি ভেবেছিলাম, হয়তো তাঁর হৃদরোগের সমস্যা হয়েছে ৷ দৌড়ে তাঁর বাড়িতে যাই ৷ দেখি, ঘরের বারান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রী পড়ে রয়েছেন ৷ আর বৃদ্ধ রক্তে মাখামাখি হয়ে চৌকিতে পড়ে ৷’’

MURDER IN MALDA
নিহতদের বাড়ির সামনে প্রতিবেশীদের ভিড় (নিজস্ব চিত্র)

তিনি আরও বলেন, ‘‘সঙ্গে সঙ্গে আমরা দু’জনকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাই ৷ সেখান থেকে দু’জনকেই চাঁচল সুপার স্পেশালিটিতে রেফার করে দেওয়া হয় ৷ সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বৃদ্ধ মারা যান ৷ কোনও কাস্তে কিংবা তলোয়ার দিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়েছে ৷ গ্রামের কারও সঙ্গে বৃদ্ধের কোনও ঝামেলা ছিল না ৷ তবে তাঁদের সঙ্গে এক জামাইয়ের ঝামেলা চলছিল ৷ যদিও কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা বলতে পারব না ৷ কারণ, আমরা কাউকে দেখতে পাইনি ৷”

নিহত বৃদ্ধের পুত্রবধূ আইমনা বলেন, “রাতের খাবার খেয়ে শ্বশুর আর শাশুড়ি বারান্দায় শুয়েছিলেন ৷ রাতে হঠাৎ শাশুড়ি চিৎকার করে ওঠেন ৷ আমরা সবাই বেরিয়ে দেখি, শ্বশুরকে খুন করা হয়েছে ৷ শাশুড়িকেও তিন জায়গায় কেটে দেওয়া হয়েছে ৷ তবে আমরা কেউ সেখানে কাউকে দেখতে পাইনি ৷ আমাদের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না ৷ কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল বুঝতে পারছি না ৷”

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, “এই ঘটনায় পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ যে জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠছে, তার খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷ তবে তাকে এখনও পাওয়া যায়নি ৷ বৃদ্ধের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হচ্ছে ৷”

মালদা, 11 জানুয়ারি: তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারকে নৃশংস খুনের ঘটনায় এখনও পর্দা পড়েনি ৷ তার মধ্যেই মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে বাড়িতে ঢুকে 68 বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ, কোপানো হয়েছে বৃদ্ধের স্ত্রীকেও ৷ বর্তমানে তিনি মালদা মেডিক্যাল ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি ৷

নিহত বৃদ্ধের নাম জসিমুদ্দিন আহমেদ ৷ তাঁর স্ত্রীর নাম সাহানা বিবি ৷ তাঁদের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশলপুর গ্রামে ৷ শুক্রবার রাতে বাড়ি বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন তাঁরা ৷ অভিযোগ, ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাঁদের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা ৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু’জনকে একাধিকবার কোপানো হয় ৷ তাঁদের আর্ত চিৎকারে গ্রামবাসীরা ঘুম থেকে উঠে ছুটে আসেন ৷ তড়িঘড়ি দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ৷

হরিশ্চন্দ্রপুরে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন বৃদ্ধকে! আশঙ্কাজনক বৃদ্ধের স্ত্রী (ইটিভি ভারত)

হাসপাতালে যান হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার ৷ আহত দম্পতির সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিস্থিতি বুঝে রাতেই আহত দম্পতিকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করে দেন ৷ ওই হাসপাতালে কিছুক্ষণ চিকিৎসার পর মৃত্যু হয় জসিমুদ্দিনের ৷ সাবানাকে রেফার করা হয় মালদা মেডিক্যালে ৷

জসিমুদ্দিন সাহেবদের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার ৷ সামান্য জমি রয়েছে ৷ কৃষিকাজ করেই সংসার চলে ৷ তাঁদের এক ছেলে মাঝেমধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন ৷ এমন এক পরিবারে এভাবে দুষ্কৃতীদের হামলা কেন, সেটা ভাবাচ্ছে পুলিশ ও গ্রামবাসীদের ৷

যদিও এই ঘটনার পিছনে পারিবারিক ঝামেলার প্রসঙ্গও উঠে আসছে ৷ তাঁদের এক মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন এক যুবক ৷ পরবর্তীতে ওই মেয়ে ফের বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন ৷ এনিয়ে সেই যুবকের সঙ্গে নাকি তাঁদের ঝামেলা চলছিল !

MURDER IN MALDA
নিহত জসিমুদ্দিন আহমেদ (নিজস্ব চিত্র)

গ্রামের এক বাসিন্দা তৈমুর রহমান বলেন, “কয়েকদিন আগে জসিমুদ্দিন আমাকে বলেছিল, ওর জামাই নাকি ওকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে ৷ ওর মেয়ে ভালোবাসা করে বিয়ে করেছিল ৷ মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত ওর স্বামী ৷ মেয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে ৷ আর স্বামীর কাছে যায়নি ৷ এরই মধ্যে জসিমুদ্দিন ওর জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের মামলা করে ৷ এরপরেই ওর জামাই ওকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল বলে আমাকে 10-15 দিন আগে জানিয়েছিল ৷ আমরা চাই, এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে অপরাধীদের ধরে ফাঁসির ব্যবস্থা করুক ৷”

কুশলপুর গ্রামের নাইম আখতারের বক্তব্য, “যে বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে, তার পাশে মাঠে প্রতি রাতে আমরা ভলিবল খেলি ৷ গতকাল রাত সাড়ে 10টা পর্যন্ত খেলেছি ৷ তারপর আমরা বাড়ি চলে যাই ৷ শীতের রাতে লেপের ভিতর ঢুকে গিয়েছিলাম ৷ লেপের ভিতর থেকেই শুনতে পাই, কেউ বা কারা কান্নাকাটি করছে ৷ কৌতুহলবশত দরজা খুলে ঘরের বাইরে আসি ৷’’

নাইম আখতারের আরও বক্তব্য, ‘‘যে লোকটির বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে, তাঁর হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে ৷ তাঁর বাড়ির দিক থেকেই কান্নার আওয়াজ আসছিল ৷ আমি ভেবেছিলাম, হয়তো তাঁর হৃদরোগের সমস্যা হয়েছে ৷ দৌড়ে তাঁর বাড়িতে যাই ৷ দেখি, ঘরের বারান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রী পড়ে রয়েছেন ৷ আর বৃদ্ধ রক্তে মাখামাখি হয়ে চৌকিতে পড়ে ৷’’

MURDER IN MALDA
নিহতদের বাড়ির সামনে প্রতিবেশীদের ভিড় (নিজস্ব চিত্র)

তিনি আরও বলেন, ‘‘সঙ্গে সঙ্গে আমরা দু’জনকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাই ৷ সেখান থেকে দু’জনকেই চাঁচল সুপার স্পেশালিটিতে রেফার করে দেওয়া হয় ৷ সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বৃদ্ধ মারা যান ৷ কোনও কাস্তে কিংবা তলোয়ার দিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়েছে ৷ গ্রামের কারও সঙ্গে বৃদ্ধের কোনও ঝামেলা ছিল না ৷ তবে তাঁদের সঙ্গে এক জামাইয়ের ঝামেলা চলছিল ৷ যদিও কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা বলতে পারব না ৷ কারণ, আমরা কাউকে দেখতে পাইনি ৷”

নিহত বৃদ্ধের পুত্রবধূ আইমনা বলেন, “রাতের খাবার খেয়ে শ্বশুর আর শাশুড়ি বারান্দায় শুয়েছিলেন ৷ রাতে হঠাৎ শাশুড়ি চিৎকার করে ওঠেন ৷ আমরা সবাই বেরিয়ে দেখি, শ্বশুরকে খুন করা হয়েছে ৷ শাশুড়িকেও তিন জায়গায় কেটে দেওয়া হয়েছে ৷ তবে আমরা কেউ সেখানে কাউকে দেখতে পাইনি ৷ আমাদের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না ৷ কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল বুঝতে পারছি না ৷”

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, “এই ঘটনায় পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ যে জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠছে, তার খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷ তবে তাকে এখনও পাওয়া যায়নি ৷ বৃদ্ধের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হচ্ছে ৷”

Last Updated : Jan 11, 2025, 4:11 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.