ETV Bharat / state

উড়ছে আরশোলা, ভাত যেন প্লাস্টিকের মতো ; শতাব্দী-সফরে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

author img

By

Published : Sep 10, 2019, 1:39 AM IST

Updated : Sep 10, 2019, 1:53 AM IST

কামরায় উড়ে বেড়াচ্ছে আরশোলা । খাওয়ার খুলতেই তাতে এসে বসল গোটা কয়েক । এই অভিজ্ঞতার সাক্ষী শতাব্দী এক্সপ্রেসের যাত্রীরা ।

শতাব্দী এক্সপ্রেস

মালদা, 10 সেপ্টেম্বর : মালদায় আত্মীয়ের বাড়ি যাবেন । তাই হাওড়া থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন । কিন্তু ট্রেনের কামরায় উঠতেই চক্ষু চড়কগাছ । কামরায় ঘুরে বেড়াচ্ছে পোকামাকড় । তাও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলেন । কিন্তু ট্রেনের প্যান্ট্রিকারের খাবার আসতেই হতভম্ব হয়ে যান । খাবার এতটাই নিম্নমানের যে তা মুখেই তোলা যায়নি । এবারেও সবটাই মানিয়ে নিয়েছিলেন । সহ্যের বাঁধ ভাঙে যখন একমাত্র সম্বল বাড়ির খাবার খুলতেই তাতে উড়ে এসে বসে আরশোলা । কোনও লোকাল ট্রেন নয় শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো এলিট ট্রেনে এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন যাত্রীরা ।

চেন্নাইয়ের বাসিন্দা সৈকত বসাক । মালদায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসার জন্য হাওড়া থেকে শতাব্দী এক্সপ্রেসের C-3 কামরায় ওঠেন । ট্রেন থেকে নেমেই রেল কর্তৃপক্ষের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন । বলেন, "হাওড়া থেকে ট্রেনে ওঠার পর দেখি গোটা কামরা আরশোলায় ভরতি । পোকামাকড় গায়ে উঠে আসছে । তারপর এল ট্রেনের খাবার । মুখে তোলার অযোগ্য । জেলের কয়েদিদেরও এই খাবার দেওয়া হয় না । ভাত শক্ত হয়ে প্লাস্টিকের মতো হয়ে গিয়েছিল । বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে যে খাওয়ার এনেছিলাম তাই বের করি । তাতে আরশোলা উড়ে এসে বসে । এইসব দেখার পর ট্রেনে পুরো সময় আর কোনও খাবার বের করতে পারিনি । এই ঘটনা শুধু আজকের নয় । দু'দিন আগে আমার মা কোয়েম্বাতুর এক্সপ্রেসে করে ফিরছিলেন । মায়ের জন্য আমি IRCTC-কে অনলাইনে খাবার অর্ডার দিয়েছিলাম । সেই খাবার আসেনি । বাধ্য হয়ে মা প্যান্ট্রিকারের খাবার নিয়েছিল । ওই খাবার খেয়ে আমার মা এখনও অসুস্থ । রেলের কাছে এটা শুধুই ব্যবসা । ওরা আমাদের থেকে টাকা নেবে । কিন্তু ভালো পরিষেবা দেবে না । "

মালদার বাসিন্দা শুভঙ্কর পাল । বাড়ি ফেরার জন্য গতকাল তিনিও শতাব্দী এক্সপ্রেসের ওই একই কামরায় উঠেছিলেন । তিনি জানান, এর আগেও শতাব্দী এক্সপ্রেসে এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন । মৌখিকভাবে রেল কর্মীদের বিষয়টি বলেছেন । কিন্তু প্রত্যেকবারই আর হবে না বলে তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়া হয় । কিন্তু গতকালের ঘটনায় তিনি আর চুপ থাকতে পারেনি । সৈকতবাবুর সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি ।

কিন্তু কেন শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো এলিট ট্রেনে এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল যাত্রীদের ? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে । কিন্তু এবিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । এমন কী, মালদা ডিভিশনের ম্যানেজার তনু চন্দ্রার সঙ্গে এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য ফোন করা হয় । তিনিও ফোন ধরেননি । তবে, সৈকতবাবুর বক্তব্য, অভিযোগ করার সময় রেল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে জানানো হয় ওই কামরাটি না কি গতকালই এক্সপ্রেসের সঙ্গে লাগানো হয় । যার ফলে কামরাটিকে পরিষ্কার করার সময় পাওয়া যায়নি ।

মালদা, 10 সেপ্টেম্বর : মালদায় আত্মীয়ের বাড়ি যাবেন । তাই হাওড়া থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন । কিন্তু ট্রেনের কামরায় উঠতেই চক্ষু চড়কগাছ । কামরায় ঘুরে বেড়াচ্ছে পোকামাকড় । তাও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলেন । কিন্তু ট্রেনের প্যান্ট্রিকারের খাবার আসতেই হতভম্ব হয়ে যান । খাবার এতটাই নিম্নমানের যে তা মুখেই তোলা যায়নি । এবারেও সবটাই মানিয়ে নিয়েছিলেন । সহ্যের বাঁধ ভাঙে যখন একমাত্র সম্বল বাড়ির খাবার খুলতেই তাতে উড়ে এসে বসে আরশোলা । কোনও লোকাল ট্রেন নয় শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো এলিট ট্রেনে এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন যাত্রীরা ।

চেন্নাইয়ের বাসিন্দা সৈকত বসাক । মালদায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসার জন্য হাওড়া থেকে শতাব্দী এক্সপ্রেসের C-3 কামরায় ওঠেন । ট্রেন থেকে নেমেই রেল কর্তৃপক্ষের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন । বলেন, "হাওড়া থেকে ট্রেনে ওঠার পর দেখি গোটা কামরা আরশোলায় ভরতি । পোকামাকড় গায়ে উঠে আসছে । তারপর এল ট্রেনের খাবার । মুখে তোলার অযোগ্য । জেলের কয়েদিদেরও এই খাবার দেওয়া হয় না । ভাত শক্ত হয়ে প্লাস্টিকের মতো হয়ে গিয়েছিল । বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে যে খাওয়ার এনেছিলাম তাই বের করি । তাতে আরশোলা উড়ে এসে বসে । এইসব দেখার পর ট্রেনে পুরো সময় আর কোনও খাবার বের করতে পারিনি । এই ঘটনা শুধু আজকের নয় । দু'দিন আগে আমার মা কোয়েম্বাতুর এক্সপ্রেসে করে ফিরছিলেন । মায়ের জন্য আমি IRCTC-কে অনলাইনে খাবার অর্ডার দিয়েছিলাম । সেই খাবার আসেনি । বাধ্য হয়ে মা প্যান্ট্রিকারের খাবার নিয়েছিল । ওই খাবার খেয়ে আমার মা এখনও অসুস্থ । রেলের কাছে এটা শুধুই ব্যবসা । ওরা আমাদের থেকে টাকা নেবে । কিন্তু ভালো পরিষেবা দেবে না । "

মালদার বাসিন্দা শুভঙ্কর পাল । বাড়ি ফেরার জন্য গতকাল তিনিও শতাব্দী এক্সপ্রেসের ওই একই কামরায় উঠেছিলেন । তিনি জানান, এর আগেও শতাব্দী এক্সপ্রেসে এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন । মৌখিকভাবে রেল কর্মীদের বিষয়টি বলেছেন । কিন্তু প্রত্যেকবারই আর হবে না বলে তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়া হয় । কিন্তু গতকালের ঘটনায় তিনি আর চুপ থাকতে পারেনি । সৈকতবাবুর সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি ।

কিন্তু কেন শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো এলিট ট্রেনে এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল যাত্রীদের ? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে । কিন্তু এবিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । এমন কী, মালদা ডিভিশনের ম্যানেজার তনু চন্দ্রার সঙ্গে এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য ফোন করা হয় । তিনিও ফোন ধরেননি । তবে, সৈকতবাবুর বক্তব্য, অভিযোগ করার সময় রেল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে জানানো হয় ওই কামরাটি না কি গতকালই এক্সপ্রেসের সঙ্গে লাগানো হয় । যার ফলে কামরাটিকে পরিষ্কার করার সময় পাওয়া যায়নি ।

Intro:মালদা, 09 সেপ্টেম্বর : এবার শতাব্দি এক্সপ্রেসের মত এলিট ট্রেনের কামরাতেও খাবার সহ একাধিক বিষয় নিয়ে উঠল অভিযোগ। আজ রাতে এনিয়ে মালদা স্টেশনে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন যাত্রীদের একাংশ। তাঁরা গোটা ঘটনা নিয়ে রেল দপ্তরেও অভিযোগ জানিয়েছেন।


Body:মালদা দিয়ে যে ক'টি ট্রেন চলাচল করে তার মধ্যে শতাব্দি এক্সপ্রেস অন্যতম নামি ট্রেন। আজ হাওড়া থেকে ওই ট্রেনের C 3 নম্বর কামরায় ফিরছিলেন মালদার বেশ কিছু যাত্রী। তাঁদের মধ্যে সৈকত বসাক ও শুভঙ্কর পাল যাত্রী পরিষেবা নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। চেন্নাইয়ের বাসিন্দা সৈকতবাবু এক আত্মীয়ের বাড়িতে মালদায় আসছিলেন। তিনি বলেন, "ট্রেনে আমাদের যে খাবার খেতে দেওয়া হয়েছিল, তা জেলখানার কয়েদিদেরও দেওয়া হয় না। শুধু আজ নয়, দু'দিন আগে আমার মা কোয়েম্বাটুর এক্সপ্রেসে যাত্রা করেছিলেন। ট্রেনের খাবার খেয়ে তিনি এখনও অসুস্থ। আজ হাওড়া থেকে ট্রেন ছাড়ার পরেই আমরা লক্ষ্য করি, গোটা কামরা আরশোলায় ভরতি। পোকামাকড় গায়ে উঠে আসছে। যে খাবার দেওয়া হয়েছে তা মুখে তোলা যায় না। ভাত শক্ত হয়ে প্লাস্টিকের মতো হয়ে গেছে। সব খাবারেই আরশোলা ঘুরছিল। বাধ্য হয়ে আমি ঘর থেকে আনা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু সেই খাবারে আরশোলা উড়ে এসে বসে। ফলে ওই খাবারও খেতে পারিনি। আমি সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনে কর্তব্যরত রেলকর্মীকে বিষয়টি জানায় তিনি বলেন, আজই নাকি এই কামরাটি লাগানো হয়েছে। কিন্তু নতুন কামরায় কেন পোকামাকড় মারার ব্যবস্থা করা হয়নি তা তিনি বলতে পারেননি। আজ ট্রেনটি 30 মিনিট আগেই হাওড়া স্টেশনে গিয়েছিল। তাহলে সেখানে কামরার পোকামাকড় মারার ব্যবস্থা করা হল না কেন? আমাদের কাছ থেকে টাকা নিলেও রেল সঠিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। এনিয়ে আমরা বেশ কয়েকজন আজ রেল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।"
এদিকে শুভঙ্কর বাবু বলেন, "আমার মেয়ে কলকাতায় পড়াশোনা করে। তাই আমাকে মাঝেমধ্যেই এই ট্রেনে কলকাতা যাতায়াত করতে হয়। প্রতিবারই এই অভিজ্ঞতা হয়। অভিযোগ জানালে ক্যাটারিং-এর কর্মীরা জানায়, পরেরবার আর এমন হবে না। কিন্তু সেই ছবির আজও কোনও পরিবর্তন হয়নি। আজ আমাদের যে খাবার খেতে দেওয়া হয়েছিল, তা মুখে তোলা যাচ্ছিল না। আমিও আজ বিষয়টি নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।"


Conclusion:যদিও এই ঘটনা নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ফোন ধরেননি মালদা মালদা ডিভিশনের ম্যানেজার তনু চন্দ্রা।
Last Updated : Sep 10, 2019, 1:53 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.